ক্রেডিট ইউনিয়নের সামাজিক কার্যক্রম
ক্রেডিট ইউনিয়নের সামাজিক কার্যক্রম
-স্বপন রোজারিও
সফিক একটি ক্রেডিট ইউনিয়নে কাজ করে। সে সেখানে চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার পদে কর্মরত। তাদের ক্রেডিটে ১০ হাজার সদস্য রয়েছে। সরকারী নির্দেশ অনুসারে তাদের অফিস ২৬ মার্চ থেকে অঘোষিত লকডাউন হয়ে যায়। ফলে তাদের সদস্যরা অসুবিধায় পড়ে যায়। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের সদস্যরা খুবই সমস্যায় পড়ে যায়। এই বিষয়টি সফিককে বড় চিন্তায় ফেলে দেয়। সে ভাবতে থাকে সদস্যদের কল্যাণে কি করা যায়? সফিক বিষয়টি নিয়ে ম্যানেজমেন্টের সাথে কথা বলে। সে দুর্গতদের কল্যাণে একটি কল্যাণ ফান্ড গঠন করে সদস্যদের পাশে দাঁড়ানোর প্রস্তাবনা করে। কিছুদিন আগে অনলাইনে বোর্ডের সভা হয়। সভায় ফান্ড গঠনের বিষয়টি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত ও অনুমোদিত হয়। বোর্ডের সিদ্ধান্তে সফিক করোনার ফলে দুর্দশাগ্রস্থদের সহায়তা করার জন্য একটি আলাদা ফান্ড গঠন করে। সেই ফান্ডে স্টাফদের একদিনের বেতন প্রদান করা হয়। সমিতির কল্যাণ ফান্ড থেকে কিছু টাকা সেখানে দেয়া হয়। তাছাড়া কর্মকর্তা ও সমাজের বিত্তবান লোকেরা সেই ফান্ডে দান করতে থাকে। এক পর্যায়ে এটি একটি বিশাল ফান্ড হিসেবে রূপ লাভ করে।
সফিক পরে সেই ফান্ড থেকে তাদের সমিতির নিম্ন আয়ের সদস্যদের ১ মাসের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি প্রদান করে। সদস্যরা খুব খুশী এজন্য যে, তারা এই দুর্দিনে সমিতি থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পেয়েছে। অন্যদিকে সমিতির পক্ষ থেকে ম্যানেজমেন্ট এবং বিশেষ করে সফিক খুবই সস্তুষ্ট, কারণ এই দুর্দিনে সমিতি তাদের সদস্যদের সঙ্গে রয়েছে এটা ভেবে।
মধুবাগ, ঢাকা ১৯.৫.২০
-স্বপন রোজারিও
সফিক একটি ক্রেডিট ইউনিয়নে কাজ করে। সে সেখানে চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার পদে কর্মরত। তাদের ক্রেডিটে ১০ হাজার সদস্য রয়েছে। সরকারী নির্দেশ অনুসারে তাদের অফিস ২৬ মার্চ থেকে অঘোষিত লকডাউন হয়ে যায়। ফলে তাদের সদস্যরা অসুবিধায় পড়ে যায়। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের সদস্যরা খুবই সমস্যায় পড়ে যায়। এই বিষয়টি সফিককে বড় চিন্তায় ফেলে দেয়। সে ভাবতে থাকে সদস্যদের কল্যাণে কি করা যায়? সফিক বিষয়টি নিয়ে ম্যানেজমেন্টের সাথে কথা বলে। সে দুর্গতদের কল্যাণে একটি কল্যাণ ফান্ড গঠন করে সদস্যদের পাশে দাঁড়ানোর প্রস্তাবনা করে। কিছুদিন আগে অনলাইনে বোর্ডের সভা হয়। সভায় ফান্ড গঠনের বিষয়টি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত ও অনুমোদিত হয়। বোর্ডের সিদ্ধান্তে সফিক করোনার ফলে দুর্দশাগ্রস্থদের সহায়তা করার জন্য একটি আলাদা ফান্ড গঠন করে। সেই ফান্ডে স্টাফদের একদিনের বেতন প্রদান করা হয়। সমিতির কল্যাণ ফান্ড থেকে কিছু টাকা সেখানে দেয়া হয়। তাছাড়া কর্মকর্তা ও সমাজের বিত্তবান লোকেরা সেই ফান্ডে দান করতে থাকে। এক পর্যায়ে এটি একটি বিশাল ফান্ড হিসেবে রূপ লাভ করে।
সফিক পরে সেই ফান্ড থেকে তাদের সমিতির নিম্ন আয়ের সদস্যদের ১ মাসের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি প্রদান করে। সদস্যরা খুব খুশী এজন্য যে, তারা এই দুর্দিনে সমিতি থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পেয়েছে। অন্যদিকে সমিতির পক্ষ থেকে ম্যানেজমেন্ট এবং বিশেষ করে সফিক খুবই সস্তুষ্ট, কারণ এই দুর্দিনে সমিতি তাদের সদস্যদের সঙ্গে রয়েছে এটা ভেবে।
মধুবাগ, ঢাকা ১৯.৫.২০
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মশিউর ইসলাম (বিব্রত কবি) ২০/০৫/২০২০
-
বোরহানুল ইসলাম লিটন ২০/০৫/২০২০সুন্দর উপস্থাপন।
প্রত্যেকের ভাবনা এমন হলে
হয়তো বা আজ এতোটা সমস্যা থাকতো না। -
ফয়জুল মহী ১৯/০৫/২০২০খুব ভাল লাগলো ll
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৯/০৫/২০২০সৎচিন্তার প্রতিফলন।
অসাধারণ