মিনার করোনা জয়ের গল্প
মিনার করোনা জয়ের গল্প
-স্বপন রোজারিও
মিনা উপজেলা শহরে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা বিভাগে মাস্টার্স করে মিনা। আজ দু’বছর হয় বিভিন্ন কলেজে ও স্কুলে ইন্টারভিউ দিয়ে দিয়ে জুতা ক্ষয় করে ফেলেছে, কিন্তু চাকুরী নামে সোনার হরিণটি তার জালে ধরা দেয় নি। হতাশ হয়ে লেখালেখি শুরু করে সে। বিভিন্ন স্থানীয় পত্রিকায় তার লেখা বেশ ছাপতে থাকে। এবার ধার-দেনা করে টাকা জোগাড় করে বই মেলার জন্য একটি কবিতার বই বের করে মিনা। কিন্তু মিনার বইটির তেমন কাটতি না থাকায় তার হতাশা আরও বেড়ে যায়। বাংলাদেশের পাঠকদের একটা বড় দোষ হল- তারা বড় বড় হোমরা-চোমরা লেখকদের বই বেশী পছন্দ করে। পড়ে অর্থ বুঝুক আর না বুঝুক বড় লেখকের বই তার চাই চাই। মিনাদের মত ছোট লেখকদের বই-এর কোন মূল্য পাঠকদের কাছে নেই। এজন্য আমাদের দেশে নতুন লেখক জন্মায় না। বড় লেখকরা আরো বড় হয় আর মিনার মত ছোটরা এগুতে পারে না।
মিনার এক বান্ধবী ঢাকার একটি সমবায় সমিতিতে কাজ করে। মিনা তার বান্ধবীর নিকট থেকে সমবায় প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তালিম নিয়ে তার উপশহরে নিজেই একটি সমবায় সমিতি প্রতিষ্ঠা করে বসে এবং সেখানেই প্রধান নির্বাহী হিসেবে চাকুরী নেয়। সেখানে মিনার জীবন খুব সুন্দরভাবে চলছে। এই করোনা ভাইরাসের প্রদুর্ভাবের ফলে বিশ্বের বিশাল বিশাল কোম্পানী অবস্থা যখন নাজুক তখন মিনার বেতন একমাসের জন্যও বন্ধ হয় নি।
কিছুদিন আগে মিনাদের উপজেলা শহরে কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) টেস্ট করার সেন্টার খোলা হয়েছে। মিনার কোন উপসর্গ ছিলো না কিন্তু কৌতুহলী হয়ে সে তাদের করোনাভাইরাস টেস্ট করার সেন্টারে গিয়ে নমুনা দিয়ে আসে। ৩ দিন পরে টেস্টের রেজাল্টে তার করোনাভাইরাস পজেটিভ আসে। এতে মিনা কোন দুশ্চিন্তাই করে নি বরং এটিকে একটি সাধারণ রোগ হিসেবে ধরে নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে চলেছে। পরে দ্বিতীয়বার টেস্ট করে তার রেজাল্ট করোনা নেগেটিভ এসেছে। সুতরাং করোনায় আক্রান্ত হলেই তার মৃত্যু হবে, এ কথাটি সঠিক নয়।
নীলকন্ঠ, নয়াটোলা, মধুবাগ, ঢাকা
১১.৫.২০ (করোনাকাল)
-স্বপন রোজারিও
মিনা উপজেলা শহরে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা বিভাগে মাস্টার্স করে মিনা। আজ দু’বছর হয় বিভিন্ন কলেজে ও স্কুলে ইন্টারভিউ দিয়ে দিয়ে জুতা ক্ষয় করে ফেলেছে, কিন্তু চাকুরী নামে সোনার হরিণটি তার জালে ধরা দেয় নি। হতাশ হয়ে লেখালেখি শুরু করে সে। বিভিন্ন স্থানীয় পত্রিকায় তার লেখা বেশ ছাপতে থাকে। এবার ধার-দেনা করে টাকা জোগাড় করে বই মেলার জন্য একটি কবিতার বই বের করে মিনা। কিন্তু মিনার বইটির তেমন কাটতি না থাকায় তার হতাশা আরও বেড়ে যায়। বাংলাদেশের পাঠকদের একটা বড় দোষ হল- তারা বড় বড় হোমরা-চোমরা লেখকদের বই বেশী পছন্দ করে। পড়ে অর্থ বুঝুক আর না বুঝুক বড় লেখকের বই তার চাই চাই। মিনাদের মত ছোট লেখকদের বই-এর কোন মূল্য পাঠকদের কাছে নেই। এজন্য আমাদের দেশে নতুন লেখক জন্মায় না। বড় লেখকরা আরো বড় হয় আর মিনার মত ছোটরা এগুতে পারে না।
মিনার এক বান্ধবী ঢাকার একটি সমবায় সমিতিতে কাজ করে। মিনা তার বান্ধবীর নিকট থেকে সমবায় প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তালিম নিয়ে তার উপশহরে নিজেই একটি সমবায় সমিতি প্রতিষ্ঠা করে বসে এবং সেখানেই প্রধান নির্বাহী হিসেবে চাকুরী নেয়। সেখানে মিনার জীবন খুব সুন্দরভাবে চলছে। এই করোনা ভাইরাসের প্রদুর্ভাবের ফলে বিশ্বের বিশাল বিশাল কোম্পানী অবস্থা যখন নাজুক তখন মিনার বেতন একমাসের জন্যও বন্ধ হয় নি।
কিছুদিন আগে মিনাদের উপজেলা শহরে কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) টেস্ট করার সেন্টার খোলা হয়েছে। মিনার কোন উপসর্গ ছিলো না কিন্তু কৌতুহলী হয়ে সে তাদের করোনাভাইরাস টেস্ট করার সেন্টারে গিয়ে নমুনা দিয়ে আসে। ৩ দিন পরে টেস্টের রেজাল্টে তার করোনাভাইরাস পজেটিভ আসে। এতে মিনা কোন দুশ্চিন্তাই করে নি বরং এটিকে একটি সাধারণ রোগ হিসেবে ধরে নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে চলেছে। পরে দ্বিতীয়বার টেস্ট করে তার রেজাল্ট করোনা নেগেটিভ এসেছে। সুতরাং করোনায় আক্রান্ত হলেই তার মৃত্যু হবে, এ কথাটি সঠিক নয়।
নীলকন্ঠ, নয়াটোলা, মধুবাগ, ঢাকা
১১.৫.২০ (করোনাকাল)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সিবগাতুর রহমান ১২/০৫/২০২০করোনা জয়ের গল্পের মাধ্যমে নতুন কবিদের মনের অব্যাক্ত বেদনা তুলে ধরেছেন। অনেক ধন্যবাদ।
-
ফয়জুল মহী ১২/০৫/২০২০Very good