সমবায়ে সুশাসন
‘সু’ উপসর্গযোগে ‘সুশাসন’ শব্দটি গঠিত হয়েছে। ‘সু’ অর্থ হলো ভালো, চমৎকার, উত্তম, উৎকৃষ্ট, সুন্দর, মধুর, শুভ ইত্যাদি। শাসন হল পরিচালনা দান। অতএব সমবায়ে ‘সুশাসন’ হলো ন্যায়নীতি অনুসারে উত্তমরূপে সুষ্ঠুভাবে ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে সমবায় পরিচালনা করা। কোনো সমবায়ে সুশাসন আছে কিনা তা বোঝার জন্য প্রথমে দেখতে হবে সে সমবায় পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিচালকদের জবাবদিহিতা আছে কি-না এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশে দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনিক স্বচ্ছতা আছে কি-না। সুশাসন একটি সমবায়কে কাংখিত উন্নয়নের চরম শিখরে পৌঁছে দেয়। সুশাসনকে এক প্রকার মানদন্ডও বলা যায় যে মানদন্ডের সাহায্যে একটি সমিতির সামগ্রিক অবস্থা যাচাই করা যায়। যে সমিতি যত বেশি সুশাসন দ্বারা পরিচালিত হয় সেই সমবায় ততো বেশি অগ্রগতির দিকে ধাবিত হয়। তাহলে সুশাসনের কতগুলো প্রধানতম উপাদান হল- জবাবদিহিতা, গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা, অংশগ্রহণ, সমতা, ন্যায়পরায়নতা ও শ্রদ্ধাবোধ।
সমবায়ে পরিচালকমন্ডলীর সদস্যরা সাধারণ সদস্যদের কাছে জবাবদিহি করে থাকে। কোন পরিচালকমন্ডলী তাদের ইচ্ছা অনুসারে যা খুশি তা করতে পারে না। পরিচালকমন্ডলী প্রতি বছর সাধারণ সভার মাধ্যমে সদস্যদের নিকট তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে থাকে। এই জন্য সমবায় সমিতির জন্য প্রতি বছর সাধারণ সভা করা বাধ্যতামূলক।
সমবায় গণতন্ত্র চর্চা করার উত্তম ক্ষেত্র। দেশের অনেক সমবায়েই গণতন্ত্র চর্চা করা হয়। অনেক সমিতিতে সঠিক সময়ে নির্বাচন হয়, বার্ষিক সাধারণ সভা হয় যা গণতন্ত্র চর্চারই নামান্তর। এ ধরণের ভালো সমিতিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, ঢাকা, সম্প্রীতি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি: প্রমুখ। আমি মনে করি, যারা জাতীয় ভাবধারায় গণতন্ত্র চর্চা করতে চান তারা একটি ভালো সমিতির সদস্য হলে গণতন্ত্র চর্চাটা বুঝতে পারবেন।
স্বচ্ছতা হল- যে সমিতির হিসাব ব্যবস্থাপনায় কোন নয়-ছয় বা গুজামিল বা অস্বচ্ছতা নেই। স্বচ্ছতা সমবায়ের একটি সৌন্দর্য্য। যে সমবায়ে স্বচ্ছতা নেই সেই সমবায় বেশী দূর অগ্রসর হতে পারে না।
সমবায়ে সবার অংশগ্রহণ একান্ত কাম্য। সমবায়ের অর্থ হল দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ। সমবায়ে জাতি-ধর্ম-বর্ণ সবার অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করা গেলে সমবায় অধিকতর মহিমায় উদ্ভাসিত হয়।
সমবায়ে সকলের সমান অধিকার রয়েছে। এখানে কোন বড় বা ছোট সদস্য নেই। সবাই সমান ও সবার মর্যাদা এক। সমবায়ে সবার একটি ভোটাধিকার রয়েছে।
সমবায়ে ন্যায়পরায়নতা চর্চা করতে হয়। সমবায়ে যেটা ন্যায় সেটাই করতে হবে এবং অন্যায়ের সাথে আপোষ করা যাবে না। অন্যায়ের সাথে আপোষ করলে সমবায়ে অসৎ ব্যাক্তির অনুপ্রবেশ ঘটবে এবং এই অসৎ ব্যক্তিরা সমবায়কে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য যথেষ্ঠ।
আর সমবায়ে পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে। সমবায়ে একজন কর্মকর্তার যেমন সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে ঠিক তেমনি একজন সদস্য ও স্টাফেরও সম্মান এবং শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। সমবায়ে এই শ্রদ্ধাবোধ থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।
পরিশেষে আশা করি, দেশের প্রতিটি সমবায় সুশাসনের সাথে পরিচালিত হবে।
সমবায়ে পরিচালকমন্ডলীর সদস্যরা সাধারণ সদস্যদের কাছে জবাবদিহি করে থাকে। কোন পরিচালকমন্ডলী তাদের ইচ্ছা অনুসারে যা খুশি তা করতে পারে না। পরিচালকমন্ডলী প্রতি বছর সাধারণ সভার মাধ্যমে সদস্যদের নিকট তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে থাকে। এই জন্য সমবায় সমিতির জন্য প্রতি বছর সাধারণ সভা করা বাধ্যতামূলক।
সমবায় গণতন্ত্র চর্চা করার উত্তম ক্ষেত্র। দেশের অনেক সমবায়েই গণতন্ত্র চর্চা করা হয়। অনেক সমিতিতে সঠিক সময়ে নির্বাচন হয়, বার্ষিক সাধারণ সভা হয় যা গণতন্ত্র চর্চারই নামান্তর। এ ধরণের ভালো সমিতিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, ঢাকা, সম্প্রীতি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি: প্রমুখ। আমি মনে করি, যারা জাতীয় ভাবধারায় গণতন্ত্র চর্চা করতে চান তারা একটি ভালো সমিতির সদস্য হলে গণতন্ত্র চর্চাটা বুঝতে পারবেন।
স্বচ্ছতা হল- যে সমিতির হিসাব ব্যবস্থাপনায় কোন নয়-ছয় বা গুজামিল বা অস্বচ্ছতা নেই। স্বচ্ছতা সমবায়ের একটি সৌন্দর্য্য। যে সমবায়ে স্বচ্ছতা নেই সেই সমবায় বেশী দূর অগ্রসর হতে পারে না।
সমবায়ে সবার অংশগ্রহণ একান্ত কাম্য। সমবায়ের অর্থ হল দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ। সমবায়ে জাতি-ধর্ম-বর্ণ সবার অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করা গেলে সমবায় অধিকতর মহিমায় উদ্ভাসিত হয়।
সমবায়ে সকলের সমান অধিকার রয়েছে। এখানে কোন বড় বা ছোট সদস্য নেই। সবাই সমান ও সবার মর্যাদা এক। সমবায়ে সবার একটি ভোটাধিকার রয়েছে।
সমবায়ে ন্যায়পরায়নতা চর্চা করতে হয়। সমবায়ে যেটা ন্যায় সেটাই করতে হবে এবং অন্যায়ের সাথে আপোষ করা যাবে না। অন্যায়ের সাথে আপোষ করলে সমবায়ে অসৎ ব্যাক্তির অনুপ্রবেশ ঘটবে এবং এই অসৎ ব্যক্তিরা সমবায়কে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য যথেষ্ঠ।
আর সমবায়ে পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে। সমবায়ে একজন কর্মকর্তার যেমন সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে ঠিক তেমনি একজন সদস্য ও স্টাফেরও সম্মান এবং শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। সমবায়ে এই শ্রদ্ধাবোধ থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।
পরিশেষে আশা করি, দেশের প্রতিটি সমবায় সুশাসনের সাথে পরিচালিত হবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোহন দাস (বিষাক্ত কবি) ১২/০২/২০২০ভালো রচনা ।
-
ফয়জুল মহী ০৭/০২/২০২০পরিপক্ব লেখা । মন ছুঁয়ে গেল লেখা।
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৭/০২/২০২০অনবদ্য উপস্থাপন