সনাতন ধর্মে মৃত দেহ পোড়ানোর কয়েকটি কারণ
আধ্যাত্নিক কারণঃ--
সনাতন অনুসারীগণ পূর্ণজন্মে বিশ্বাসী।
এই ত্রিতাপদগ্ধ সংসারে পুনরায় জন্ম নিয়ে দুঃখ ভোগ করুক তা আমরা চাই না। আত্না যে দেহে এত দিন বাস করেছে তাকে সাজিয়ে-গুছিয়ে রেখেছে, যাবতীয় সুখের স্বাদ তাকে দিয়েছে। সে দেহের প্রতি মায়া জাগাটাই স্বাভাবিক।
দেহের প্রতি আর্কষনে পুনঃ দেহ ধারণে আত্নার আকাঙ্খা জাগতে পারে, আর ঐ আকাঙ্খা দুর করার উদ্দেশই মৃত দেহকে পোড়ানো হয়।
সামাজিক কারণঃ--
আর্যঋষিদের ভবিষৎ চিন্তা এতে প্রতিফলিত হয়েছে। মানুষ সৃষ্টি হবে আর এমন একদিন আসতে পারে যখন স্থানাভাব দেখা দিবে। মৃত মানুষের দেহ না পুড়িয়ে মাটিতে পুতে রাখলে ক্রমশ মাটিতে রাখার জায়গার অভাব দেখা দিতে পারে।
আর এ ক্রণেও মৃত দেহ পোড়ান্নে ব্যবস্থা করা হয়।
বৈজ্ঞানিক কারণঃ--
মানুষের মৃতু বিভিন্ন কারণে হতে পারে। তার মধ্যে রোগের কারণটাই সর্বাধিক। এই সকল মৃত দেহে পচন ধরলে পরিবেশে বিভিন্ন রোগ জীবানু ছড়িয়ে পরতে পারে এবং পরিবেশে মহামারী হবার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য মৃত দেহ পোড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়।
মুখাগ্নি করার কারণঃ--
মৃতদেহের আত্নার স্বর্গ প্রাপ্তির লক্ষে বৈদিক নিয়ম অনুসারে মৃত দেহের মুখাগ্নি করা হয়। দেবলোক বা স্বর্গলোকে পাঠাতে হলে দেবতাদের পুরোহিত অগ্নিতে আহুতি দিতে হয়। সে অচর্না বা আহুতি দেবলোকে নিয়ে যায়। এজন্য যে মৃত বরণ করেছেন তার প্রাণ বায়ু অগ্নিদেবকে আহুতি দিতে হয় । নিমোক্ত মন্ত্র উচ্চারণ করতে করতে--
"ওঁ কৃত্বাতু দুষ্কৃতং কর্মং জানতা বাপ্য জানতা।
মৃতকালবশং প্রাপ্য নরং পঞ্চত্বমাগতম্
ধর্মা ধর্ম সমাযুক্তং লোভ মোহ সমাবৃত্তম্
দহেয়ং সর্বগাত্রানি দিব্যান লোকান্ স গচ্ছাতু"
১৩/০৯/২০১৫ ইং
সনাতন অনুসারীগণ পূর্ণজন্মে বিশ্বাসী।
এই ত্রিতাপদগ্ধ সংসারে পুনরায় জন্ম নিয়ে দুঃখ ভোগ করুক তা আমরা চাই না। আত্না যে দেহে এত দিন বাস করেছে তাকে সাজিয়ে-গুছিয়ে রেখেছে, যাবতীয় সুখের স্বাদ তাকে দিয়েছে। সে দেহের প্রতি মায়া জাগাটাই স্বাভাবিক।
দেহের প্রতি আর্কষনে পুনঃ দেহ ধারণে আত্নার আকাঙ্খা জাগতে পারে, আর ঐ আকাঙ্খা দুর করার উদ্দেশই মৃত দেহকে পোড়ানো হয়।
সামাজিক কারণঃ--
আর্যঋষিদের ভবিষৎ চিন্তা এতে প্রতিফলিত হয়েছে। মানুষ সৃষ্টি হবে আর এমন একদিন আসতে পারে যখন স্থানাভাব দেখা দিবে। মৃত মানুষের দেহ না পুড়িয়ে মাটিতে পুতে রাখলে ক্রমশ মাটিতে রাখার জায়গার অভাব দেখা দিতে পারে।
আর এ ক্রণেও মৃত দেহ পোড়ান্নে ব্যবস্থা করা হয়।
বৈজ্ঞানিক কারণঃ--
মানুষের মৃতু বিভিন্ন কারণে হতে পারে। তার মধ্যে রোগের কারণটাই সর্বাধিক। এই সকল মৃত দেহে পচন ধরলে পরিবেশে বিভিন্ন রোগ জীবানু ছড়িয়ে পরতে পারে এবং পরিবেশে মহামারী হবার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য মৃত দেহ পোড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়।
মুখাগ্নি করার কারণঃ--
মৃতদেহের আত্নার স্বর্গ প্রাপ্তির লক্ষে বৈদিক নিয়ম অনুসারে মৃত দেহের মুখাগ্নি করা হয়। দেবলোক বা স্বর্গলোকে পাঠাতে হলে দেবতাদের পুরোহিত অগ্নিতে আহুতি দিতে হয়। সে অচর্না বা আহুতি দেবলোকে নিয়ে যায়। এজন্য যে মৃত বরণ করেছেন তার প্রাণ বায়ু অগ্নিদেবকে আহুতি দিতে হয় । নিমোক্ত মন্ত্র উচ্চারণ করতে করতে--
"ওঁ কৃত্বাতু দুষ্কৃতং কর্মং জানতা বাপ্য জানতা।
মৃতকালবশং প্রাপ্য নরং পঞ্চত্বমাগতম্
ধর্মা ধর্ম সমাযুক্তং লোভ মোহ সমাবৃত্তম্
দহেয়ং সর্বগাত্রানি দিব্যান লোকান্ স গচ্ছাতু"
১৩/০৯/২০১৫ ইং
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মাহফুজুর রহমান ০৭/১০/২০১৫স্বপন দাদা, আপনার সামাজিক কারণটা অন্যধর্মের বিষয়ে না জানার কারণে বলা হয়েছে । কেননা মৃত মানুষ কে মাটিতে পুতে রাখলে ক্রমশ মাটিতে রাখার জায়গার অভাব দেখা দেবার কোন সম্ভাবনা নেই । কারণ আমার জানা মতে - একটি কবরের উপর আর একটি কবর দেয়া যায় । এবং আমি যতটুকু জানি - কবরের উপর কবর দেয়া অনেক পূর্ণের কাজ ।
-
দেবাশিস্ ভট্টাচার্য্য ২১/০৯/২০১৫লেখাটা ভাল তবুও আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে - দেহদান সম্পর্কে আপনার মতামত।
-
প্রশান্ত মন্ডল ২০/০৯/২০১৫সত্যম্।
-
সমরেশ সুবোধ পড়্যা ১৪/০৯/২০১৫সুন্দর লিখেছেন ।
-
কিশোর কারুণিক ১৪/০৯/২০১৫ভাল
-
মায়নুল হক ১৩/০৯/২০১৫ভালো লাগলো অনেক