বলবান
পৃথিবীর সব মেহনতি মানুষের জন্য নিবেদিত
বলবান
স্বপঞ্জয় চৌধুরী
হে সভ্যতা, বিজ্ঞান তুমিতো জানোনা
তোমাকে করলো কে বিনির্মাণ;
পিরামিড, তাজমহল, গ্রেটওয়াল
ফেরোদের সাম্রাজ্য, গ্লাডিয়েটরদের
মৃত্যু মৃত্যু খেলার আড়ালে বহু আগেই
ভিত্তিপ্রস্তর করে রেখেছে কোন এক
ইতিহাসের ছায়া;
প্রতিটি মেহনতি মানুষের মুষ্টিবদ্ধ হাতের
ঐশ্বরিক শক্তিতে দাঁড়িয়ে আছো তুমি
হে বলবান তোমার লাঙলের ফলা, কারখানার কল
তেজসিক উদ্যোমে আলোড়িত জনতার ভিড়
থমকে দাও;
তোমার অধিকারকে রাহুগ্রাস করে
পথে পথে নির্মিত হয় বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান
যুগে যুগে লেখা হয় বিপ্লবী কবিতা,
তুমিতো বর্ণমালার মতো চে’ হয়ে
লিখে রও কবিতায়, ব্যানারে, ফ্যাস্টুনে;
তোমার ভাতের হাড়ি খালি
দুধেল বউয়ের শুষ্ক বুক
অপুষ্ট দীনতায় এগিয়ে যায় তোমার আয়ুষ্কাল’
তুমিতো হাহুতাস এক
শুকনো পাতার মতো ভেঙে গুড়ো গুড়ো হও,
তোমারতো সভ্যতা বলে কিছু নেই
তুমি জীব এটাই তোমার বড় পাওয়া;
তোমার বেতনভুক্ত হাসি সেওতো বড় পেশাদার
তোমার ছেড়া বোতাম সেওতো বড় বেরসিক
তোমার বিনোদন জাতীয় সংবাদ কিংবা
ক্লান্তিকর মেঘাচ্ছন্ন আকাশ,
এক পশলা বৃষ্টি হোক তবে
তুমি নিজেকে নতুন করে দেখোতো আজ;
তুমিইতো পারবে জগতের সব শ্রেণিভেদ
দুমড়ে মুচড়ে গুড়িয়ে গড়তে সাম্যের সাঁকোবাঁধ
তোমার উদাত্ত পেশি, কোমরে বাঁধা গামছা
আর বোতাম খোলা বুকে
তুমি কি এগিয়ে যেতে পারনা সভ্যতার কাছাকাছি;
তুমিইতো সভ্যতা; তোমাকে ছাড়া পৃথিবী অচল
তুমিহীনা এ দেশ, রাষ্ট্র, আদালত, মসজিদ, মন্দির
সব-সব ভিত্তিহীন, তুমিইতো স্রষ্টা
তোমার ঘামের বিন্দু হতে সৃষ্টি হলো বিশ্ব
বিন্দু থেকে বিশ্বময় তোমার জয়োধ্বনি
দিকে দিকে উচ্চারিত হোক তবে আজ;
হে কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষেরা সব
তোমারতো আমাদের আত্মার আত্মীয়
সভ্যের সভ্যতা, স্রষ্টার কাছাকাছি- পরম প্রিয়।
বলবান
স্বপঞ্জয় চৌধুরী
হে সভ্যতা, বিজ্ঞান তুমিতো জানোনা
তোমাকে করলো কে বিনির্মাণ;
পিরামিড, তাজমহল, গ্রেটওয়াল
ফেরোদের সাম্রাজ্য, গ্লাডিয়েটরদের
মৃত্যু মৃত্যু খেলার আড়ালে বহু আগেই
ভিত্তিপ্রস্তর করে রেখেছে কোন এক
ইতিহাসের ছায়া;
প্রতিটি মেহনতি মানুষের মুষ্টিবদ্ধ হাতের
ঐশ্বরিক শক্তিতে দাঁড়িয়ে আছো তুমি
হে বলবান তোমার লাঙলের ফলা, কারখানার কল
তেজসিক উদ্যোমে আলোড়িত জনতার ভিড়
থমকে দাও;
তোমার অধিকারকে রাহুগ্রাস করে
পথে পথে নির্মিত হয় বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান
যুগে যুগে লেখা হয় বিপ্লবী কবিতা,
তুমিতো বর্ণমালার মতো চে’ হয়ে
লিখে রও কবিতায়, ব্যানারে, ফ্যাস্টুনে;
তোমার ভাতের হাড়ি খালি
দুধেল বউয়ের শুষ্ক বুক
অপুষ্ট দীনতায় এগিয়ে যায় তোমার আয়ুষ্কাল’
তুমিতো হাহুতাস এক
শুকনো পাতার মতো ভেঙে গুড়ো গুড়ো হও,
তোমারতো সভ্যতা বলে কিছু নেই
তুমি জীব এটাই তোমার বড় পাওয়া;
তোমার বেতনভুক্ত হাসি সেওতো বড় পেশাদার
তোমার ছেড়া বোতাম সেওতো বড় বেরসিক
তোমার বিনোদন জাতীয় সংবাদ কিংবা
ক্লান্তিকর মেঘাচ্ছন্ন আকাশ,
এক পশলা বৃষ্টি হোক তবে
তুমি নিজেকে নতুন করে দেখোতো আজ;
তুমিইতো পারবে জগতের সব শ্রেণিভেদ
দুমড়ে মুচড়ে গুড়িয়ে গড়তে সাম্যের সাঁকোবাঁধ
তোমার উদাত্ত পেশি, কোমরে বাঁধা গামছা
আর বোতাম খোলা বুকে
তুমি কি এগিয়ে যেতে পারনা সভ্যতার কাছাকাছি;
তুমিইতো সভ্যতা; তোমাকে ছাড়া পৃথিবী অচল
তুমিহীনা এ দেশ, রাষ্ট্র, আদালত, মসজিদ, মন্দির
সব-সব ভিত্তিহীন, তুমিইতো স্রষ্টা
তোমার ঘামের বিন্দু হতে সৃষ্টি হলো বিশ্ব
বিন্দু থেকে বিশ্বময় তোমার জয়োধ্বনি
দিকে দিকে উচ্চারিত হোক তবে আজ;
হে কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষেরা সব
তোমারতো আমাদের আত্মার আত্মীয়
সভ্যের সভ্যতা, স্রষ্টার কাছাকাছি- পরম প্রিয়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মীর শওকত ১৭/১০/২০১৩অসাধারন!!! মন মুগ্ধতায় ভরে গেল।
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ১০/১০/২০১৩অসম্ভব ভালো একটি কবিতা। কবিতায় আপনি মানুষের শৌর্য বীর্য এতো সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তা সত্যিই অসাধারণ। ভাষার চমৎকার ব্যবহার সেই সাথে ভাবের সাবলীল ভঙ্গি। কবিতা টিকে এক অনন্য পর্যায়ে নিয়ে গেছে ।