নার্গিসের নৃশংসহ হত্যার দাবীতে সকলের সোচ্চার হবার আহব্বান
খুলনার মেয়ে দুই সন্তানের জননী জন্মান্ধ নার্গিস। জন্ম থেকেই দেখা হয়নি প্রিয়জনের মুখ। দেখতে পারেনি এই বিচিত্র পৃথিবীর রূপ। এই না পারা গুলো খুড়ে খুড়ে খায় প্রতিনিয়ত তাকে। দৃষ্টি শক্তি না থাকা যে কি অসহ্য যন্ত্রণার তা কেবল নার্গিসের মত মানুষগুলোই বুঝে। এক বুক যন্ত্রণাকে পাথর চাপা দিয়ে জীবন নামের এই যুদ্ধে লড়ে গেছে দীর্ঘ এতটা পথ। সন্তানরা যখন মা বলে ডাকে তখন তার ভেতরটা ব্যকুল হয়ে উঠে তাদের মুখ খানি এ নজর দেখার জন্য। তাই তো আজ সে মরিয়া হয়ে উঠেছে দৃষ্টি শক্তি ফিরে পাবার জন্যে। জানতে পারে পার্শ্মর্তী দেশ ভারতে জন্মান্ধের চিকিৎসা হয়। নার্গিস সিদ্ধান্ত নেয় সে ওখানে গিয়েই চিকিৎসা করাবে। নার্গিসের মাও ছিলেন তারই মত জন্মান্ধ। তাই নিজের ও মায়ের চিকিৎসার লক্ষ্যে গত নয় মার্চ বৈধ পথে নার্গিস তার মা ও মেয়ে পাড়ি জমান কলকাতায়। কিন্তু তখনও কি নার্গিস ভেবে ছিল কতো বড় নৃশংসতা ঘটতে যাচ্ছে তার সাথে।
দশ মার্চ নার্গিস হাওড়া স্টেশন থেকে দিল্লীর উদ্দেশ্যে ট্রেনে উঠেন মা ও মেয়েকে নিয়ে। ট্রেনটি কানপুর এসে পৌছলে কয়েক জন যুবক জানায় যে দিল্লী পৌছে গেছে ট্রেন। একথা বলে তাদের ট্রেন থেকে নামিয়ে আনা হয়। পরে প্লাটফর্মে নার্গিসকে আটকে জোরপূর্বক ট্রেনে তুলে দেয় নার্গিসের মা ও মেয়েকে। এরপর ট্রেনটি ছেড়ে দিলে নার্গিস বিচ্ছিন্ন হয়ে যান তার পরিবারের কাছ থেকে। এই দিনটিই ছিল নার্গিসের জীবনের শেষ দিন। ঐ মানুষ রূপী হায়না গুলো নিজের লালসা মিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে নার্গিসকে। কিছু ভারতীয়দের সাহায্যে দেশে ফিরেন নার্গিসের মা ও মেয়ে। শুধু ফেরা হয় নি নার্গিসের।
ভারতের উত্তর প্রদেশের বাধান রেলষ্টেশনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় নার্গিসের মরদেহ। ঊনিশ মার্চ সোনাডাঙ্গা পুলিশের মাধ্যমে তার পরিবার তার এই মৃত্যুর সংবাদ লাভ করে। এক বুক কষ্টের পরও পরিবারের একটাই চাওয়া হয়ে উঠে অন্তত লাশটি যেন পায়। কিন্তু লাশ পেতে গিয়ে ঘটে যায় বহু নাটক। অনেক নাটকিয়তার পরে বিশ এপ্রিল বেনাপোল স্থলবন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তারা লাশ বুঝে নেয় নার্গিসের পরিবার।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে নার্গিসকে ধর্ষন ও হত্যার ঘটনাটি ঘটে দশ মার্চ।কিন্তু দৈনিক প্রথম আলোতে একুশ এপ্রিল প্রকাশিত একটি খবরের মাধ্যমে তা সবার জানা জানি হয়। তাহলে ভারতে নিযুক্ত হাইকমিশানার কি করেন? তার কি এ ব্যাপারে কোন দায়িত্ব ছিল না। নাকি ভারত বলে তা জেনে শুনেও নিরব ছিলেন?
প্রতিদিন সীমান্তে আমাদের ছেলেগুলোকে নির্বিচারে হত্যা করে ভারতের সৈন্যরা। কোন বিচার নেই। একটি পতাকা বৈঠক তারপর লাশ হস্তান্তর শেষ এতটুই। ফেলানির নির্মম হত্যারও মিলেনি সুষ্ঠু বিচার। এদের মতই কি নার্গিসও কোন বিচার পাবেনা? পূর্বের মতই কি আমরা নিরব থাকবো? কিন্তু কেন? কোন স্বার্থে এই নিরবতা? পিঁয়াজ মরিছ রসুন আমদানী বন্ধ হয়ে যাবে এই ভয়ে নাকি এগুলোকে ইস্যু করে আড়ালে রয়েছে অন্য কোন ঘটনা?
ভারতের প্রতি কেন আমাদের এত প্রীতি? প্রতিবেশী রাষ্ট্র বলে, মুক্তিযোদ্ধে আমাদের সাহায্য করেছে তাই? কিন্তু এই দোহাই দিয়ে আর কতদিন? স্বাধীনতার পর থেকে আজ অবধী তাদের সাথে আমাদের যতগুলো চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে তাতে তারা তাদের প্রাপ্যগুলো আমেদের কাছ থেকে আদায় করে নিয়েছে প্রায় পুরোটাই কিন্তু আমাদের প্রাপ্যগুলো আংশিকের চেয়ে বেশী দেয়নি কখনোই। টিপাই মুখ বাদ, ফারাক্কা বাদ, তিসতার পানি বন্টন চুক্তি সহ আরো হাজারো বিষয়ে তাদের এমন নির্বিচার। কেন আমরা নিরবে সহ্য করছি। এমন নিরবতা আমাদের স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, করে কলংকিত।
এখনই সময় নিরবতা ভাঙ্গবার। এখনই সময় ন্যায় বিচার দাবী করার। আসুন আমাদের বিবেককে জাগরত করি সোচ্চার হই। একটাই দাবী তুলি আর তাহল নার্গিসের এমন নির্মম ও অমানবিক হত্যার ন্যায়, সুষ্ঠু ও সুবিচারের।
নার্গিসের হত্যাকারীরা যেন কোন রাজনৈতিক কৌশল ও আইনের ফাঁকাফুকড় দিয়ে বেরিয়ে যেতে না পারে এমনভাবে দাবী তুলি। কেন দেশ বিদেশে পশুদের এমন থাবার বলি হবে আমাদের মা বোন আর দিন শেষে ঐ পশুগুলো বুক ফুলি কলার উচিয়ে আমাদের সামনেই চলবে ধাপটের সাথে। আর বেলা শেষে কলংকের বুজা বয়ে বেড়াতে হবে ঐ সকল জানোয়ারদের পশুত্বের শিকার হওয়া নার্গিসদের পরিবারকে?
কি দোষ ছিল নার্গিসের? এই পৃথিবীটাকে দু'চোখ ভরে দেখতে চাওয়াটাই কি তার অপরাধ। সন্তানসহ প্রিয় মানুষগুলোর মুখখানি এক নজর দেখার ব্যকুলতাই কি ছিল তার অন্যায়? যদি এগুলো তার অপরাধ হয় তাহলে আমরা দৃষ্টিসম্পন্ন হয়ে জন্ম নেয়াটা আমাদের অপরাধ। কেননা আমরা যদি জন্ম থেকেই সব কিছু দেখতে পাই তবে নার্গিস কেন পেলনা। সেও যদি আমাদের মত দেখতে পেত তবে তো আজ তাকে ভারত যেতে হত না। হত না এমন নির্মমতার শিকার হয়ে প্রাণটা হারাবার। নার্গিস কি কখনো ভেবেছিল তার এই দৃষ্টি ফিরে পাবার স্বপ্নটিই তার জীবনের কাল হয়ে দাঁড়াবে।
তাই আজ আমি সবার কাছে অনুরোধ করবো আসুন নার্গিসের জন্য না হউক অন্তত নিজের বিবেকবোধের কারণেই আমারা এক হই। বলিষ্ঠ কন্ঠে সকলে এক সাথে দাবী তুলি নার্গিস হত্যার ন্যায় বিচারের।
আজ হয়ত আপনার বিবেক ঘুমন্ত তাই কথাগুলো এড়িয়ে যেতে পারবে কিন্তু কাল যখন বিবেক জাগ্রত হবে আর প্রশ্ন করবে আপনাকে তখন কি জবাব দিবেন আপনি?
ভুলে যাবেন না নার্গিস আপনার আমারই বোন, এই বাংলাদেশরই মেয়ে। সে কোপ অন্যায় করেনি তবু যদি সে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয় তবে গোটা বাংলাদেশ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হবে।
দশ মার্চ নার্গিস হাওড়া স্টেশন থেকে দিল্লীর উদ্দেশ্যে ট্রেনে উঠেন মা ও মেয়েকে নিয়ে। ট্রেনটি কানপুর এসে পৌছলে কয়েক জন যুবক জানায় যে দিল্লী পৌছে গেছে ট্রেন। একথা বলে তাদের ট্রেন থেকে নামিয়ে আনা হয়। পরে প্লাটফর্মে নার্গিসকে আটকে জোরপূর্বক ট্রেনে তুলে দেয় নার্গিসের মা ও মেয়েকে। এরপর ট্রেনটি ছেড়ে দিলে নার্গিস বিচ্ছিন্ন হয়ে যান তার পরিবারের কাছ থেকে। এই দিনটিই ছিল নার্গিসের জীবনের শেষ দিন। ঐ মানুষ রূপী হায়না গুলো নিজের লালসা মিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে নার্গিসকে। কিছু ভারতীয়দের সাহায্যে দেশে ফিরেন নার্গিসের মা ও মেয়ে। শুধু ফেরা হয় নি নার্গিসের।
ভারতের উত্তর প্রদেশের বাধান রেলষ্টেশনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় নার্গিসের মরদেহ। ঊনিশ মার্চ সোনাডাঙ্গা পুলিশের মাধ্যমে তার পরিবার তার এই মৃত্যুর সংবাদ লাভ করে। এক বুক কষ্টের পরও পরিবারের একটাই চাওয়া হয়ে উঠে অন্তত লাশটি যেন পায়। কিন্তু লাশ পেতে গিয়ে ঘটে যায় বহু নাটক। অনেক নাটকিয়তার পরে বিশ এপ্রিল বেনাপোল স্থলবন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তারা লাশ বুঝে নেয় নার্গিসের পরিবার।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে নার্গিসকে ধর্ষন ও হত্যার ঘটনাটি ঘটে দশ মার্চ।কিন্তু দৈনিক প্রথম আলোতে একুশ এপ্রিল প্রকাশিত একটি খবরের মাধ্যমে তা সবার জানা জানি হয়। তাহলে ভারতে নিযুক্ত হাইকমিশানার কি করেন? তার কি এ ব্যাপারে কোন দায়িত্ব ছিল না। নাকি ভারত বলে তা জেনে শুনেও নিরব ছিলেন?
প্রতিদিন সীমান্তে আমাদের ছেলেগুলোকে নির্বিচারে হত্যা করে ভারতের সৈন্যরা। কোন বিচার নেই। একটি পতাকা বৈঠক তারপর লাশ হস্তান্তর শেষ এতটুই। ফেলানির নির্মম হত্যারও মিলেনি সুষ্ঠু বিচার। এদের মতই কি নার্গিসও কোন বিচার পাবেনা? পূর্বের মতই কি আমরা নিরব থাকবো? কিন্তু কেন? কোন স্বার্থে এই নিরবতা? পিঁয়াজ মরিছ রসুন আমদানী বন্ধ হয়ে যাবে এই ভয়ে নাকি এগুলোকে ইস্যু করে আড়ালে রয়েছে অন্য কোন ঘটনা?
ভারতের প্রতি কেন আমাদের এত প্রীতি? প্রতিবেশী রাষ্ট্র বলে, মুক্তিযোদ্ধে আমাদের সাহায্য করেছে তাই? কিন্তু এই দোহাই দিয়ে আর কতদিন? স্বাধীনতার পর থেকে আজ অবধী তাদের সাথে আমাদের যতগুলো চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে তাতে তারা তাদের প্রাপ্যগুলো আমেদের কাছ থেকে আদায় করে নিয়েছে প্রায় পুরোটাই কিন্তু আমাদের প্রাপ্যগুলো আংশিকের চেয়ে বেশী দেয়নি কখনোই। টিপাই মুখ বাদ, ফারাক্কা বাদ, তিসতার পানি বন্টন চুক্তি সহ আরো হাজারো বিষয়ে তাদের এমন নির্বিচার। কেন আমরা নিরবে সহ্য করছি। এমন নিরবতা আমাদের স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, করে কলংকিত।
এখনই সময় নিরবতা ভাঙ্গবার। এখনই সময় ন্যায় বিচার দাবী করার। আসুন আমাদের বিবেককে জাগরত করি সোচ্চার হই। একটাই দাবী তুলি আর তাহল নার্গিসের এমন নির্মম ও অমানবিক হত্যার ন্যায়, সুষ্ঠু ও সুবিচারের।
নার্গিসের হত্যাকারীরা যেন কোন রাজনৈতিক কৌশল ও আইনের ফাঁকাফুকড় দিয়ে বেরিয়ে যেতে না পারে এমনভাবে দাবী তুলি। কেন দেশ বিদেশে পশুদের এমন থাবার বলি হবে আমাদের মা বোন আর দিন শেষে ঐ পশুগুলো বুক ফুলি কলার উচিয়ে আমাদের সামনেই চলবে ধাপটের সাথে। আর বেলা শেষে কলংকের বুজা বয়ে বেড়াতে হবে ঐ সকল জানোয়ারদের পশুত্বের শিকার হওয়া নার্গিসদের পরিবারকে?
কি দোষ ছিল নার্গিসের? এই পৃথিবীটাকে দু'চোখ ভরে দেখতে চাওয়াটাই কি তার অপরাধ। সন্তানসহ প্রিয় মানুষগুলোর মুখখানি এক নজর দেখার ব্যকুলতাই কি ছিল তার অন্যায়? যদি এগুলো তার অপরাধ হয় তাহলে আমরা দৃষ্টিসম্পন্ন হয়ে জন্ম নেয়াটা আমাদের অপরাধ। কেননা আমরা যদি জন্ম থেকেই সব কিছু দেখতে পাই তবে নার্গিস কেন পেলনা। সেও যদি আমাদের মত দেখতে পেত তবে তো আজ তাকে ভারত যেতে হত না। হত না এমন নির্মমতার শিকার হয়ে প্রাণটা হারাবার। নার্গিস কি কখনো ভেবেছিল তার এই দৃষ্টি ফিরে পাবার স্বপ্নটিই তার জীবনের কাল হয়ে দাঁড়াবে।
তাই আজ আমি সবার কাছে অনুরোধ করবো আসুন নার্গিসের জন্য না হউক অন্তত নিজের বিবেকবোধের কারণেই আমারা এক হই। বলিষ্ঠ কন্ঠে সকলে এক সাথে দাবী তুলি নার্গিস হত্যার ন্যায় বিচারের।
আজ হয়ত আপনার বিবেক ঘুমন্ত তাই কথাগুলো এড়িয়ে যেতে পারবে কিন্তু কাল যখন বিবেক জাগ্রত হবে আর প্রশ্ন করবে আপনাকে তখন কি জবাব দিবেন আপনি?
ভুলে যাবেন না নার্গিস আপনার আমারই বোন, এই বাংলাদেশরই মেয়ে। সে কোপ অন্যায় করেনি তবু যদি সে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয় তবে গোটা বাংলাদেশ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
তরুন ইউসুফ ২৭/০৪/২০১৫বিচার চাই
-
আবিদ আল আহসান ২৫/০৪/২০১৫Nice