চৌদ্দই এপ্রিলের টিএসসি চত্বর ও কিছু প্রশ্ন।
বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে টিএসসি চত্বর নামটি।অতীতে অনেক আন্দোলনের সূচনা হয়েছে এই টিএসসি থেকে, অনেক সাংস্কৃতিক আচার-অনুষ্ঠান হয়েছে। একই ধারাবাহিকতায় গত চোদ্দই এপ্রিলও হয়েছিল বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠান।কিন্তু কি ঘটেছিল ঐ দিন বিকেলের দিকে তা সবার জানা শুধু আমাদের পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মহোদয় ছাড়া।
যাক এসব কথা বাদ। আচ্ছা নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্যেই তো পুলিশ ও সিসি ক্যামেরা। সিসি ক্যামেরার কাজ কি? সিসি ক্যামেরার কাজ হল নির্দিষ্ট এলাকায় নজরদারী করা এবং কোন প্রকার অপ্রীতিকর বা উশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখলে তা ঐ এলাকার কর্তব্যরত পুলিশকে জানানো এবং কর্তব্যরত পুলিশ তাৎক্ষণাৎ আইনি ব্যবস্থা নেবে।
এবার বলি কে সিসি ক্যামেরার পিছনে নজরদারীর দায়িত্বে রয়েছেন।হ্যাঁ যিনি সিসি ক্যামেরার পিছনে নজরদারীর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি আমাদের নিরাপত্তাদানকারী পুলিশরাই। এত সুন্দর ব্যবস্থা থাকা স্বত্বেও কি করে এমন নগ্ন ঘটনার স্বীকার হল ঐসকল নারীরা।
এখন কথা হচ্ছে টিএসসির মত গুরত্বপূর্ণ জায়গাটি কি সিসি ক্যামেরার বাইরে নাকি কোন সিসি ক্যামেরা বা নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। আসলে সবই ছিল। একটি নয় দুটি নয় ঊনিশটি সিসি ক্যামেরা ছিল, একজন নয় দু'জন নয় বিশ থেকে পঁচিশজন পুলিশের দায়িত্ব ছিল ঐ দিন টিএসসি এলাকায়। কিন্তু বাস্তবতা কি বলে? দুঃখজনক হলেও সত্যি যে ঊনিশটি ক্যামেরার একটিও সক্ষম হয়নি ঐ ঘটনাটি ক্যামেরা বন্ধী করতে। বিশ/পঁচিশজন নয় দুই/তিনজনের বেশি কোন পুলিশই ঐ এলাকায় ছিলেন না। আর যে দু'একজন অন ডিউটিতে ছিলেন তারা দায়িত্বের প্রতি এত বেশি উদাসহীন ছিলেন যে কোথায় কি ঘটছে তা তারা জানতেনই না। কথা হল যে সাড়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে ছয়টা প্রায় এক ঘন্টা কোথায় ছিলেন আমাদের সিসি ক্যামেরার পিছনের কর্মকর্তারা? কোথায় ছিলেন দায়িত্ব প্রাপ্ত বিশ জন পুলিশ কর্মকর্তারা? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক প্রধান মাননীয় প্রক্টর মহোদয় কি কাজে ব্যস্ত ছিলেন এমন নোংড়া ঘটনা ঘটাকালিন সময়? আমার প্রশ্ন এগুলো নয় আমার প্রশ্ন হচ্ছে একই সাথে একই সময়ে কেন ঊনিশটি ক্যামেরা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অচল হয়ে যায়???? ডিউটি প্রাপ্ত বিশ জন পুলিশের দু'জন ছাড়া বাকিরা কোথায় ছিলেন??? মাননীয় প্রক্টর মহোদয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে টিএসসিতে নারী লাঞ্চনার খবর পেয়েও আপনি কেন সেখানে গেলেন না? উনি সাবলিল ভাষায় জবাব দিলেন ওখানে গিয়েই বা আমার কি করার ছিল। প্রশ্ন হচ্ছে উনার যদি এসব বিষয়ে করার কিছুই নাই তবে কেন চেয়ার দখল করে আছেন???
সাংবাদিকদের প্রশ্নে ও টিভি টক শোতে প্রক্টরসহ পুলিশ বাহিনী করে এক নরকিও মিথ্যাচার। একবাক্যে অস্বীকার করেন পুরো বিষয়টি। প্রক্টর সাহেব বলেন যে লিটন নন্দী ছাড়া নাকি অন্য কেউ এ ব্যাপারে কিছুই বলেন নি এবং তিনি এমন কোন অভিযোগও পাননি। এসব কথা থেকে কি প্রমান হয়???
তাহলে কি আমরা ধরে নেব পুরো ঘটনাটি ছিল পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী। সুপরিকল্পিত ভাবে নিপীড়নকারীরা ঘটিয়েছে এমন অশ্লীলতা। চর্চা করেছে এমন পশুবৃত্তির। আর এতে সহযোগীতা করেছেন আমাদের পুলিশ বাহিনী ও মাননীয় প্রক্টর মহোদয়।
আচ্ছা একটি বার ভাবুন আপনার মা বা বোন কিংবা স্ত্রীকে নিয়ে বিবস্ত্র অবস্তায় জনসম্মুখে একদল হায়না পৈচাশিক উল্লাসে মেতে উঠেছে। একবার ভাবুন ঐ দিনের নারীরা আপনার মা, বোন কিংবা স্ত্রী। তাহলে কি পারবেন এমন নরপশুদের বিচারের আওতায় না এনে উল্টো বাঁচিয়ে দিতে??? যদি আপনার উত্তরটি না হয় তবে বলবো দয়া করে ঐ নরপশুদের মত হীনমানসিকতার পরিচয় না দিয়ে লিটন নন্দী, সুমন সেন গুপ্ত, ও অমিত দে'র মত মহান মানবতাবোধের পরিচয় দিন। নিজের ঘুমন্ত বিবেককে জাগ্রত করুন এবং বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করুন এমন যারজ কুলাঙ্গারদের।
আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি প্রত্যেকটি অপরাধীকে যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয় তাহলে বাংলার সব মায়েরা অপরাধী জন্ম দেয়া বন্ধ করে দেবে।
যাক এসব কথা বাদ। আচ্ছা নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্যেই তো পুলিশ ও সিসি ক্যামেরা। সিসি ক্যামেরার কাজ কি? সিসি ক্যামেরার কাজ হল নির্দিষ্ট এলাকায় নজরদারী করা এবং কোন প্রকার অপ্রীতিকর বা উশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখলে তা ঐ এলাকার কর্তব্যরত পুলিশকে জানানো এবং কর্তব্যরত পুলিশ তাৎক্ষণাৎ আইনি ব্যবস্থা নেবে।
এবার বলি কে সিসি ক্যামেরার পিছনে নজরদারীর দায়িত্বে রয়েছেন।হ্যাঁ যিনি সিসি ক্যামেরার পিছনে নজরদারীর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি আমাদের নিরাপত্তাদানকারী পুলিশরাই। এত সুন্দর ব্যবস্থা থাকা স্বত্বেও কি করে এমন নগ্ন ঘটনার স্বীকার হল ঐসকল নারীরা।
এখন কথা হচ্ছে টিএসসির মত গুরত্বপূর্ণ জায়গাটি কি সিসি ক্যামেরার বাইরে নাকি কোন সিসি ক্যামেরা বা নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। আসলে সবই ছিল। একটি নয় দুটি নয় ঊনিশটি সিসি ক্যামেরা ছিল, একজন নয় দু'জন নয় বিশ থেকে পঁচিশজন পুলিশের দায়িত্ব ছিল ঐ দিন টিএসসি এলাকায়। কিন্তু বাস্তবতা কি বলে? দুঃখজনক হলেও সত্যি যে ঊনিশটি ক্যামেরার একটিও সক্ষম হয়নি ঐ ঘটনাটি ক্যামেরা বন্ধী করতে। বিশ/পঁচিশজন নয় দুই/তিনজনের বেশি কোন পুলিশই ঐ এলাকায় ছিলেন না। আর যে দু'একজন অন ডিউটিতে ছিলেন তারা দায়িত্বের প্রতি এত বেশি উদাসহীন ছিলেন যে কোথায় কি ঘটছে তা তারা জানতেনই না। কথা হল যে সাড়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে ছয়টা প্রায় এক ঘন্টা কোথায় ছিলেন আমাদের সিসি ক্যামেরার পিছনের কর্মকর্তারা? কোথায় ছিলেন দায়িত্ব প্রাপ্ত বিশ জন পুলিশ কর্মকর্তারা? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক প্রধান মাননীয় প্রক্টর মহোদয় কি কাজে ব্যস্ত ছিলেন এমন নোংড়া ঘটনা ঘটাকালিন সময়? আমার প্রশ্ন এগুলো নয় আমার প্রশ্ন হচ্ছে একই সাথে একই সময়ে কেন ঊনিশটি ক্যামেরা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অচল হয়ে যায়???? ডিউটি প্রাপ্ত বিশ জন পুলিশের দু'জন ছাড়া বাকিরা কোথায় ছিলেন??? মাননীয় প্রক্টর মহোদয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে টিএসসিতে নারী লাঞ্চনার খবর পেয়েও আপনি কেন সেখানে গেলেন না? উনি সাবলিল ভাষায় জবাব দিলেন ওখানে গিয়েই বা আমার কি করার ছিল। প্রশ্ন হচ্ছে উনার যদি এসব বিষয়ে করার কিছুই নাই তবে কেন চেয়ার দখল করে আছেন???
সাংবাদিকদের প্রশ্নে ও টিভি টক শোতে প্রক্টরসহ পুলিশ বাহিনী করে এক নরকিও মিথ্যাচার। একবাক্যে অস্বীকার করেন পুরো বিষয়টি। প্রক্টর সাহেব বলেন যে লিটন নন্দী ছাড়া নাকি অন্য কেউ এ ব্যাপারে কিছুই বলেন নি এবং তিনি এমন কোন অভিযোগও পাননি। এসব কথা থেকে কি প্রমান হয়???
তাহলে কি আমরা ধরে নেব পুরো ঘটনাটি ছিল পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী। সুপরিকল্পিত ভাবে নিপীড়নকারীরা ঘটিয়েছে এমন অশ্লীলতা। চর্চা করেছে এমন পশুবৃত্তির। আর এতে সহযোগীতা করেছেন আমাদের পুলিশ বাহিনী ও মাননীয় প্রক্টর মহোদয়।
আচ্ছা একটি বার ভাবুন আপনার মা বা বোন কিংবা স্ত্রীকে নিয়ে বিবস্ত্র অবস্তায় জনসম্মুখে একদল হায়না পৈচাশিক উল্লাসে মেতে উঠেছে। একবার ভাবুন ঐ দিনের নারীরা আপনার মা, বোন কিংবা স্ত্রী। তাহলে কি পারবেন এমন নরপশুদের বিচারের আওতায় না এনে উল্টো বাঁচিয়ে দিতে??? যদি আপনার উত্তরটি না হয় তবে বলবো দয়া করে ঐ নরপশুদের মত হীনমানসিকতার পরিচয় না দিয়ে লিটন নন্দী, সুমন সেন গুপ্ত, ও অমিত দে'র মত মহান মানবতাবোধের পরিচয় দিন। নিজের ঘুমন্ত বিবেককে জাগ্রত করুন এবং বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করুন এমন যারজ কুলাঙ্গারদের।
আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি প্রত্যেকটি অপরাধীকে যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয় তাহলে বাংলার সব মায়েরা অপরাধী জন্ম দেয়া বন্ধ করে দেবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রানা ২১/০৪/২০১৫সামাজিক প্রতিরোধ না থাকলে , বিচার না হলে এমন ঘটনা আরো ঘটবে। কর্তৃপক্ষের টনক নড়ুক, এই আশা করি। আমাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। ভালো থাকবেন।