তনয়
নেতৃত্বের প্রবল নেশা তনয়ের মাঝেও কাজ করছে।তাই নেতৃত্বের জন্যে সেও যেকোন কাজ করতে প্রস্তুত। তনয় তার দলনেতাকে আশ্বাস দিল যে সে যেকোন কাজ করতে পারবে।এই বলে তনয় বাসায় চলে যায়।
পরদিন যথারীতি সে ভার্সিটিতে যায় ও তার দলনেতার সাথে দেখা করে নিজের কাজ বুঝে নেয়।
সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে আজ হরতাল ডেকেছে বিরোধী দল।তনয় হরতালের পক্ষে।তাই আজ তাকে বাড়তি কিছু কাজ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো রাস্তায় কোন যানবাহন চলাচল করতে দেখলে তাতে পেট্রোল বোমা ছোড়া
নেতৃত্বের প্রবল নেশা তনয়ের মাঝেও কাজ করছে।তাই নেতৃত্বের জন্যে সেও যেকোন কাজ করতে প্রস্তুত। তনয় তার দলনেতাকে আশ্বাস দিল যে সে যেকোন কাজ করতে পারবে।এই বলে তনয় বাসায় চলে যায়।
পরদিন যথারীতি সে ভার্সিটিতে যায় ও তার দলনেতার সাথে দেখা করে নিজের কাজ বুঝে নেয়।
সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে আজ হরতাল ডেকেছে বিরোধী দল।তনয় হরতালের পক্ষে।তাই আজ তাকে বাড়তি কিছু কাজ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো রাস্তায় কোন যানবাহন চলাচল করতে দেখলে তাতে পেট্রোল বোমা ছোড়া
কথা মতই তনয় রাস্তায় পিকেটিং দিচ্ছিল। হঠাৎ করে চলন্ত একটি কার দেখতে পেয়ে তাতে পেট্রোল বোমা ছোড়ে দেয়। মুহূরতেই আগুনে পুড়তে থাকে কারসহ তার যাত্রীরা। একটি আর্তচিৎকারে তনয়ের ভিতরটা কেঁপে উঠে। কিন্তু নেতা হওয়ার প্রবল ইচ্ছা কাছে চাপা পরে যায় সেই আর্তচিৎকার। কাজ শেষে তনয় ফিরে যায় ক্যাম্পাসে। তার কাজের প্রশংসা করে দল নেতা জানান যে অতিসীগ্রই তাকে দলের উচ্চ পদের দায়িত্ব দেয়া হবে।তনয় খুব খুশি হয়। এমন সব আলাপকালে তনয়ের ফোন বেজে উঠে। কলটি রিসিভ করতেই অপর প্রান্ত থেকে জানানো হয় তনয়ের মায়ের মৃত্যু সংবাদ আর বোনের মৃত প্রায় অবস্থার কথা।মূহুরতে বিলীন হয়ে যায় তনয়ের খুশি।পাগলপ্রায় তনয় কাঁন্না ভেঙ্গে পড়ে। কোন রকম বুঝিয়ে তার দলের অন্যরা তাকে নিয়ে হাসপাতালে যায়।তনয় দেখতে পায় তার আদরের ছোট্র বোনটি পুড়া শরীর নিয়ে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে।তনয় ছুটে যায় বোনের পাশে "বুড়ি এই বুড়ি বল কেমন করে এসব হল?" যন্ত্রণা ভরা কণ্ঠে অস্পষ্ঠ ভাষায় তন্দ্রা জানা যে হঠাৎ করে তার মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই সে একটি প্রাইভেট কার দিয়ে মাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাচ্ছিল পথিমধ্যে হরতাল সমর্থনকারীরা তাদের গাড়িতে পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারে।যার ফলে তাদের এই পরিণতি।
বাকরোদ্ধ হয়ে যায় তনয়।কেননা তার আর বুঝতে বাকি থাকে না কে ছিল ঐ ঘাতক। তনয় পাগলের মত প্রলাপ বকে যাচ্ছে আমি খুনি আমি নিজ হাতে আমার মাকে মেরে ফেলেছি। চিৎকার করে কাঁদতে থাকে তনয়। পাগল হয়ে যায় সে। তন্দ্রা কিছুই বুঝতে পারেনা। ভাইকে কাছে ডাকে জানতে চায় কি হয়েছে। তনয় অবুঝ বালকের মত বলতে থাকে জানিস তন্দ্রা ঐ ঘাতকটা তর ভাইয়া ছিল। তন্দ্রারে আমি আমি মাকে মেরে ফেলেছি আমি রে তন্দ্রা আমি তকে পুড়িয়ে ফেলেছি শুধুমাত্র নেতা হবার লোভেরে আজ আমার সব হারিয়ে গেছে।আমি নিঃস্ব আমি অসহায় হয়ে গেছি। আমি খুনি আমাকে শাস্তি দাও বলতে বলতে তনয় জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তনয়ের বিলাপ আর আহাজারীতে উপস্থিত সকলের চোখ ভেসে যায়।
সকল পেট্রোল বোমা নিক্ষেপকারীর তনয়ের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রতিটি বোমা ছোড়ার আগে একবার ভাবা উচিত যে এই বোমায় হারাতে পারে আমারই কোন আপনজন।
পরদিন যথারীতি সে ভার্সিটিতে যায় ও তার দলনেতার সাথে দেখা করে নিজের কাজ বুঝে নেয়।
সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে আজ হরতাল ডেকেছে বিরোধী দল।তনয় হরতালের পক্ষে।তাই আজ তাকে বাড়তি কিছু কাজ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো রাস্তায় কোন যানবাহন চলাচল করতে দেখলে তাতে পেট্রোল বোমা ছোড়া
নেতৃত্বের প্রবল নেশা তনয়ের মাঝেও কাজ করছে।তাই নেতৃত্বের জন্যে সেও যেকোন কাজ করতে প্রস্তুত। তনয় তার দলনেতাকে আশ্বাস দিল যে সে যেকোন কাজ করতে পারবে।এই বলে তনয় বাসায় চলে যায়।
পরদিন যথারীতি সে ভার্সিটিতে যায় ও তার দলনেতার সাথে দেখা করে নিজের কাজ বুঝে নেয়।
সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে আজ হরতাল ডেকেছে বিরোধী দল।তনয় হরতালের পক্ষে।তাই আজ তাকে বাড়তি কিছু কাজ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো রাস্তায় কোন যানবাহন চলাচল করতে দেখলে তাতে পেট্রোল বোমা ছোড়া
কথা মতই তনয় রাস্তায় পিকেটিং দিচ্ছিল। হঠাৎ করে চলন্ত একটি কার দেখতে পেয়ে তাতে পেট্রোল বোমা ছোড়ে দেয়। মুহূরতেই আগুনে পুড়তে থাকে কারসহ তার যাত্রীরা। একটি আর্তচিৎকারে তনয়ের ভিতরটা কেঁপে উঠে। কিন্তু নেতা হওয়ার প্রবল ইচ্ছা কাছে চাপা পরে যায় সেই আর্তচিৎকার। কাজ শেষে তনয় ফিরে যায় ক্যাম্পাসে। তার কাজের প্রশংসা করে দল নেতা জানান যে অতিসীগ্রই তাকে দলের উচ্চ পদের দায়িত্ব দেয়া হবে।তনয় খুব খুশি হয়। এমন সব আলাপকালে তনয়ের ফোন বেজে উঠে। কলটি রিসিভ করতেই অপর প্রান্ত থেকে জানানো হয় তনয়ের মায়ের মৃত্যু সংবাদ আর বোনের মৃত প্রায় অবস্থার কথা।মূহুরতে বিলীন হয়ে যায় তনয়ের খুশি।পাগলপ্রায় তনয় কাঁন্না ভেঙ্গে পড়ে। কোন রকম বুঝিয়ে তার দলের অন্যরা তাকে নিয়ে হাসপাতালে যায়।তনয় দেখতে পায় তার আদরের ছোট্র বোনটি পুড়া শরীর নিয়ে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে।তনয় ছুটে যায় বোনের পাশে "বুড়ি এই বুড়ি বল কেমন করে এসব হল?" যন্ত্রণা ভরা কণ্ঠে অস্পষ্ঠ ভাষায় তন্দ্রা জানা যে হঠাৎ করে তার মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই সে একটি প্রাইভেট কার দিয়ে মাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাচ্ছিল পথিমধ্যে হরতাল সমর্থনকারীরা তাদের গাড়িতে পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারে।যার ফলে তাদের এই পরিণতি।
বাকরোদ্ধ হয়ে যায় তনয়।কেননা তার আর বুঝতে বাকি থাকে না কে ছিল ঐ ঘাতক। তনয় পাগলের মত প্রলাপ বকে যাচ্ছে আমি খুনি আমি নিজ হাতে আমার মাকে মেরে ফেলেছি। চিৎকার করে কাঁদতে থাকে তনয়। পাগল হয়ে যায় সে। তন্দ্রা কিছুই বুঝতে পারেনা। ভাইকে কাছে ডাকে জানতে চায় কি হয়েছে। তনয় অবুঝ বালকের মত বলতে থাকে জানিস তন্দ্রা ঐ ঘাতকটা তর ভাইয়া ছিল। তন্দ্রারে আমি আমি মাকে মেরে ফেলেছি আমি রে তন্দ্রা আমি তকে পুড়িয়ে ফেলেছি শুধুমাত্র নেতা হবার লোভেরে আজ আমার সব হারিয়ে গেছে।আমি নিঃস্ব আমি অসহায় হয়ে গেছি। আমি খুনি আমাকে শাস্তি দাও বলতে বলতে তনয় জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তনয়ের বিলাপ আর আহাজারীতে উপস্থিত সকলের চোখ ভেসে যায়।
সকল পেট্রোল বোমা নিক্ষেপকারীর তনয়ের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রতিটি বোমা ছোড়ার আগে একবার ভাবা উচিত যে এই বোমায় হারাতে পারে আমারই কোন আপনজন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুল্লাহ আল নোমান ০১/০৫/২০১৫সময়োপযোগী প্লট; তবে গল্পে ভাষার প্রাণবন্ত উপস্থিতি খুব একটা লক্ষণীয় নয়। লিখতে থাকুন। অনেক শুভকামনা রইল।