প্রতিদান
এক মধ্যবিত্ত পরিবারের সমস্ত সদস্য এক শিব মন্দিরে পুজো দিতে গেছে।
তাদের মধ্যে চৌদ্দ বছরের এক কিশোর ছিল।
সবাই যখন মন্দিরের ভেতরে পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত ছেলেটি মন্দিরের বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
হঠাৎ দেখতে পেল একটি গাছের নিচে বসে আছে অত্যন্ত ক্ষুধার্ত পিতা ও পুত্র।
পিতা খোঁড়া, রোজগার করার সামর্থ্য নেই।
ভিক্ষা করে জীবন অতিবাহিত করে।
সারা ভিক্ষা না পেয়ে ক্ষুধার জ্বালায় একে অপরকে জড়িয়ে কাঁদছে।
মধ্যবিত্ত পরিবারের কিশোরটি এক ছুট্টে মন্দিরের ভেতরে যায়।
মায়ের আঁচল ধরে ঐ দৃশ্য বর্ণনা করে, এবং ঐ পুজোর থালা থেকে ক্ষুধার্ত পিতা পুত্রের জন্য দুটো আপেল চায়।
কিশোরের কথা সেখানে উপস্থিত সবাই শুনতে পেল, কিন্তু কেউ সহমত দিল না বরং মহাপাপের ভয় দেখিয়ে বাধা দিল তাকে।
হঠাৎ ছেলেটি থালা থেকে দুটো আপেল নিয়ে ছুটে পালায় এবং ঐ ক্ষুধার্ত পিতা পুত্রকে খেতে দেয়। ক্ষুধার্ত মানুষটি তাকে দীর্ঘায়ু হওয়ার আশীর্বাদ করে।
এদিকে ঈশ্বরের সামনে এরূপ আচরণের জন্য পুরোহিত পুজো করতে অস্বীকার করে।
বাড়ি ফিরে রাগে ঐ কিশোরটিকে তার পিতা খুবই প্রহার করে।
দেখতে দেখতে পাঁচ বছর কেটে গেল কিশোর এখন যুবকে পরিনত হয়েছে।
হঠাৎ একদিন যুবকটি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ল, ডাক্তার বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করার পরে বললেন যুবকের কিডনি ফেল করেছে কেউ যদি কিডনি দান না করে, তবে তার বাঁচার সম্ভাবনা নেই।
পরিবারের সবাই দুশ্চিন্তায় ভেঙে পড়ে।
খবরটা ঐ খোঁড়া মানুষটির কর্ণগোচর হয় এবং সে তার নিজের কিডনি দিয়ে যুবকটিকে বাঁচিয়ে তুলে।
যুবকটি সুস্থ হওয়ার পর, ডাক্তার তার হাতে একটা চিঠি তুলে দেন।
তাতে লেখা ছিল-- "তিন দিন আগে আমার এক সন্তান মারা গেছে, আবারো এক সন্তানের মৃত্যু দেখতে চাই না"।
তাদের মধ্যে চৌদ্দ বছরের এক কিশোর ছিল।
সবাই যখন মন্দিরের ভেতরে পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত ছেলেটি মন্দিরের বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
হঠাৎ দেখতে পেল একটি গাছের নিচে বসে আছে অত্যন্ত ক্ষুধার্ত পিতা ও পুত্র।
পিতা খোঁড়া, রোজগার করার সামর্থ্য নেই।
ভিক্ষা করে জীবন অতিবাহিত করে।
সারা ভিক্ষা না পেয়ে ক্ষুধার জ্বালায় একে অপরকে জড়িয়ে কাঁদছে।
মধ্যবিত্ত পরিবারের কিশোরটি এক ছুট্টে মন্দিরের ভেতরে যায়।
মায়ের আঁচল ধরে ঐ দৃশ্য বর্ণনা করে, এবং ঐ পুজোর থালা থেকে ক্ষুধার্ত পিতা পুত্রের জন্য দুটো আপেল চায়।
কিশোরের কথা সেখানে উপস্থিত সবাই শুনতে পেল, কিন্তু কেউ সহমত দিল না বরং মহাপাপের ভয় দেখিয়ে বাধা দিল তাকে।
হঠাৎ ছেলেটি থালা থেকে দুটো আপেল নিয়ে ছুটে পালায় এবং ঐ ক্ষুধার্ত পিতা পুত্রকে খেতে দেয়। ক্ষুধার্ত মানুষটি তাকে দীর্ঘায়ু হওয়ার আশীর্বাদ করে।
এদিকে ঈশ্বরের সামনে এরূপ আচরণের জন্য পুরোহিত পুজো করতে অস্বীকার করে।
বাড়ি ফিরে রাগে ঐ কিশোরটিকে তার পিতা খুবই প্রহার করে।
দেখতে দেখতে পাঁচ বছর কেটে গেল কিশোর এখন যুবকে পরিনত হয়েছে।
হঠাৎ একদিন যুবকটি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ল, ডাক্তার বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করার পরে বললেন যুবকের কিডনি ফেল করেছে কেউ যদি কিডনি দান না করে, তবে তার বাঁচার সম্ভাবনা নেই।
পরিবারের সবাই দুশ্চিন্তায় ভেঙে পড়ে।
খবরটা ঐ খোঁড়া মানুষটির কর্ণগোচর হয় এবং সে তার নিজের কিডনি দিয়ে যুবকটিকে বাঁচিয়ে তুলে।
যুবকটি সুস্থ হওয়ার পর, ডাক্তার তার হাতে একটা চিঠি তুলে দেন।
তাতে লেখা ছিল-- "তিন দিন আগে আমার এক সন্তান মারা গেছে, আবারো এক সন্তানের মৃত্যু দেখতে চাই না"।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
বিপ্লব সিংহ ০৭/০৯/২০১৪বাঃ বন্ধু অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শক এবং বাস্তব
-
একনিষ্ঠ অনুগত ০১/০৯/২০১৪মানুষ তো মানুষের জন্য...
বেশ ভালো লাগলো। -
নীহার ৩০/০৮/২০১৪মন ছুয়ে গেল
-
মঞ্জুর হোসেন মৃদুল ৩০/০৮/২০১৪ভাল লাগল।
-
সালমান মাহফুজ ৩০/০৮/২০১৪গল্পের পরিণতি বেশ ভালো হয়েছে । কারো উপকার সেটা বৃথা যায় না ।
-
স্বপন রোজারিও(১) ৩০/০৮/২০১৪শ্রেষ্ঠ প্রতিদান।