অন্ধবিশ্বাস ও গোঁড়ামি
রতন খুব ভালো ক্রিকেট খেলে।
পাড়ার মধ্যে একজন সেরা খেলোয়াড়।
একদিন মাঠে বল ক্যাচ করতে গিয়ে অদ্ভুত ভাবে পড়ে যায়।
খেলার আনন্দে সে ব্যাথা বুঝতে পারেনি।
আবার শরীরে ও কোনো প্রকার ক্ষত হয় নি।
কিছুক্ষণ পরে সে অনুভব করল, তার শরীরের সে যেখানে হাত দিচ্ছে সেখানে ব্যাথা।
খেলা শেষে বাড়ি ফিরে আসে রতন।
গায়ে যেখানে হাত দেয় সেখানে ব্যাথা।
সে ডাক্তার দেখাতে গেল না।
ঈশ্বরে খুব,,,, বিশ্বাস করে।
সে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করল, " হে ঈশ্বর আমাকে সুস্থ করে দাও।"
ব্যাথা ক্রমশ বাড়তে থাকে।
কিন্তু সে মনে করে যে, ঈশ্বর না চাইলে ডাক্তার ও ভালো করতে পারবে না।
ঈশ্বর চাইলে ডাক্তার না দেখলে ও ভালো হয়ে যাবে।
এমনিতে তার জ্বর কাশি হলে সে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে, একটু সময় লাগে কিন্তু অসুখ সেরে যায়।
তারপর পনেরো দিন হয়ে গেল রতন আর খলতে আসেনি।
রতন আমার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
আমি তার বাড়িতে গিয়ে দেখলাম তার অবস্থান খুবই করুণ। ঈশ্বরের উপর নির্ভর করে তার দূরঅবস্থা হয়েছে।
আমি তাকে খুব করে বকলাম, এবং তার অনিচ্ছায় আমি জোর করে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম।
ডাক্তার সাহেব আমার মুখ থেকে পুরো ব্যাপারটা শুনলেন।
ডাক্তার দেখে বললেন, "তোমার বাঁচার কোনো আশা নেই"।
রতন আতঙ্কিত হয়ে জিজ্ঞেস করল, "কেন,,,,,, কি.....কি হয়েছে আমার।
ডাক্তার বললেন, "তোমার ডান হাতের দুটো আঙুল মচকে গেছে"।
রতন তো থ্ থ্ থ্,,,,,,,,,
আমি বললাম, "দুটো আঙুল মচকে গেলে আবার মানুষ মরে যায় নাকি"।
ডাক্তার সাহেব বললেন, "রতন তুমি যদি তোমার অন্ধবিশ্বাস ও গোঁড়ামি ত্যাগ না কর, তবে তোমার অস্বাভাবিক মৃত্যু সুনিশ্চিত"।
ডাক্তার সামান্য কিছু ঔষধ দিলেন, পাঁচ দিনের মধ্যে রতন শারিরীক সুস্থ হয়ে উঠল।
কিন্তু মনের ভিতর সবসময় ঘুরপাক করত ডাক্তার সাহেবের ঔ উপদেশ মূলক কথাটা।
রতন স্পেশাল আইজ করতে থাকে বিশ্বাস অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার নিয়ে।
এখন রতন সম্পুর্ন ভিন্ন প্রকৃতির মানুষ এবং একজন সমাজসেবী ডাক্তার।
নীতি কথাঃ- নিজের বাস্তব জ্ঞান বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে, কুসংস্কার অন্ধবিশ্বাস ও গোঁড়ামিকে আঁকড়ে পড়ে থাকতে অধঃপতন সুনিশ্চিত।
.................... সুরজিৎ সী ..................
পাড়ার মধ্যে একজন সেরা খেলোয়াড়।
একদিন মাঠে বল ক্যাচ করতে গিয়ে অদ্ভুত ভাবে পড়ে যায়।
খেলার আনন্দে সে ব্যাথা বুঝতে পারেনি।
আবার শরীরে ও কোনো প্রকার ক্ষত হয় নি।
কিছুক্ষণ পরে সে অনুভব করল, তার শরীরের সে যেখানে হাত দিচ্ছে সেখানে ব্যাথা।
খেলা শেষে বাড়ি ফিরে আসে রতন।
গায়ে যেখানে হাত দেয় সেখানে ব্যাথা।
সে ডাক্তার দেখাতে গেল না।
ঈশ্বরে খুব,,,, বিশ্বাস করে।
সে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করল, " হে ঈশ্বর আমাকে সুস্থ করে দাও।"
ব্যাথা ক্রমশ বাড়তে থাকে।
কিন্তু সে মনে করে যে, ঈশ্বর না চাইলে ডাক্তার ও ভালো করতে পারবে না।
ঈশ্বর চাইলে ডাক্তার না দেখলে ও ভালো হয়ে যাবে।
এমনিতে তার জ্বর কাশি হলে সে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে, একটু সময় লাগে কিন্তু অসুখ সেরে যায়।
তারপর পনেরো দিন হয়ে গেল রতন আর খলতে আসেনি।
রতন আমার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
আমি তার বাড়িতে গিয়ে দেখলাম তার অবস্থান খুবই করুণ। ঈশ্বরের উপর নির্ভর করে তার দূরঅবস্থা হয়েছে।
আমি তাকে খুব করে বকলাম, এবং তার অনিচ্ছায় আমি জোর করে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম।
ডাক্তার সাহেব আমার মুখ থেকে পুরো ব্যাপারটা শুনলেন।
ডাক্তার দেখে বললেন, "তোমার বাঁচার কোনো আশা নেই"।
রতন আতঙ্কিত হয়ে জিজ্ঞেস করল, "কেন,,,,,, কি.....কি হয়েছে আমার।
ডাক্তার বললেন, "তোমার ডান হাতের দুটো আঙুল মচকে গেছে"।
রতন তো থ্ থ্ থ্,,,,,,,,,
আমি বললাম, "দুটো আঙুল মচকে গেলে আবার মানুষ মরে যায় নাকি"।
ডাক্তার সাহেব বললেন, "রতন তুমি যদি তোমার অন্ধবিশ্বাস ও গোঁড়ামি ত্যাগ না কর, তবে তোমার অস্বাভাবিক মৃত্যু সুনিশ্চিত"।
ডাক্তার সামান্য কিছু ঔষধ দিলেন, পাঁচ দিনের মধ্যে রতন শারিরীক সুস্থ হয়ে উঠল।
কিন্তু মনের ভিতর সবসময় ঘুরপাক করত ডাক্তার সাহেবের ঔ উপদেশ মূলক কথাটা।
রতন স্পেশাল আইজ করতে থাকে বিশ্বাস অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার নিয়ে।
এখন রতন সম্পুর্ন ভিন্ন প্রকৃতির মানুষ এবং একজন সমাজসেবী ডাক্তার।
নীতি কথাঃ- নিজের বাস্তব জ্ঞান বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে, কুসংস্কার অন্ধবিশ্বাস ও গোঁড়ামিকে আঁকড়ে পড়ে থাকতে অধঃপতন সুনিশ্চিত।
.................... সুরজিৎ সী ..................
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সৌমেন সেন ১১/০৩/২০১৮
-
উদ্বাস্তু নিশাচর ১৪/০৮/২০১৪গোঁড়ামি খুবই ভয়ংকর জাতি/সমাজ/মানবের জন্য
-
প্রসেনজিৎ রায় ০৭/০৮/২০১৪লেখাটা মনঃপুত হয়েছে। চালিয়ে যান।
-
আসগার এইচ পারভেজ ০৬/০৮/২০১৪সবটাই তো বলে দিয়েছেন, আমি আর কী বলব? ভালো লাগল....
অনেক অনেক ভালবাসা রইল।
ভাল থাকবেন প্রিয় কবি।