অন্ধবিশ্বাস
সবাইকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পাঠ করার জন্য অনুরোধ করছি।
"সবাই দেখছে যে, রাজা উলঙ্গ, তবুও
সবাই হাততালি দিচ্ছে।
সবাই চেঁচিয়ে বলছে; শাবাশ, শাবাশ!
কারও মনে সংস্কার, কারও ভয়;
কেউ-বা নিজের বুদ্ধি অন্য মানুষের
কাছে বন্ধক দিয়েছে;
কেউ-বা পরান্নভোজী, কেউ
কৃপাপ্রার্থী, উমেদার, প্রবঞ্চক;
কেউ ভাবছে, রাজবস্ত্র সত্যিই অতীব সূক্ষ্ম , চোখে
পড়ছে না যদিও, তবু আছে,
অন্তত থাকাটা কিছু অসম্ভব নয়।"
গল্পটা সবার জানা .............
মানুষের মনে ধর্ম ও ঈশ্বর ধারণা ও ঠিক এই রকম।
কেউবা স্বার্থপর, কেউ মিথ্যা অপবাদের ভয়ে, কেউ গতানুগতিক ধারার সবাই মানছে তাই।
মূল কথা হলো, মানতে হবে, সেটা যেভাবেই হোক।
ঈশ্বরের কোনো প্রকার অস্তিত্ব পাওয়া যায় নি।
তবু তাকে মানতে হবে, আছে বলে বিশ্বাস করতে হবে।
মন্দির মুর্তি বানাতে হবে, তার পুজো করতে হবে।
তুমি যদি মহারাজকে উলঙ্গ দেখে "উলঙ্গ রাজা" বল, তবে তোমার মুণ্ডচ্ছেদ করা হবে।
তুমি যদি ঈশ্বরের অস্তিত্ব না পাও, এবং ঈশ্বররে অস্তিত্ব নেই বল, যদি এসব মিথ্যা, গুজব, ভণ্ডামি, গুলোকে স্বীকার না কর, তাহলে তুমি অধার্মিক, তুমি নাস্তিক, তুমি মহাপাপি, মানব জাতির কলঙ্ক।
মানব সমাজে তোমরা কোনো স্থান নেই।
ওহে মহামান্য দার্শনিকগণ এটাই কী আমাদের ভদ্র সুস্থ সমাজ ?
কোনো দিনই কি আমরা সত্য কথা বলার সাহস পাবো না ?
☆
বন্ধু, আমার স্ট্যাটাস গুলো যদি 100 জন পড়ে তাহলে কমপক্ষে 95 জন মানুষই আমাকে পাগল বলেই মনে করবে।
এবং এটাই স্বাভাবিক।
ইতিহাস নিশ্চয়ই আপনার জানা,
রাজা রামমোহন রায় যখন সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখন সেই সময়ের মানুষেরা তাঁকে পাগল বলেই ভাবতো।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর যখন বিধবাবিবাহ প্রথা চালু করার চেষ্টা করেছিলেন, তখন সে সময়ের মানুষ তাঁকে পাগল বলেই ভাবতো।
কাজী নজরুল ইসলাম যখন ধর্মের কুসংস্কার, জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, তাঁর লেখনীর মাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন, সে সময়ের মানুষ ও তাঁকে পাগল বলেই ভাবতো।
এখন আমি ও সমাজের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গোঁড়ামি, কুসংস্কার, হিন্দু মুসলমান ভেদাভেদ, মানুষের অন্ধবিশ্বাস এসবের বিরুদ্ধে এ রুখে দাঁড়াতে চাইছি, তাই 95% মানুষ আমাকে পাগল বলেই ভাবছে, আবার কিছু মানুষ পিছন থেকে টেনে ধরতে চাইছে।
এটাই স্বাভাবিক।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস, একদিন আমি সফল হবোই।
হয়তো সেদিন আমি বেঁচে থাতবো না, কিন্তু আমার নীতি আদর্শ তার প্রমাণ হয়ে থাকবে।
"সবাই দেখছে যে, রাজা উলঙ্গ, তবুও
সবাই হাততালি দিচ্ছে।
সবাই চেঁচিয়ে বলছে; শাবাশ, শাবাশ!
কারও মনে সংস্কার, কারও ভয়;
কেউ-বা নিজের বুদ্ধি অন্য মানুষের
কাছে বন্ধক দিয়েছে;
কেউ-বা পরান্নভোজী, কেউ
কৃপাপ্রার্থী, উমেদার, প্রবঞ্চক;
কেউ ভাবছে, রাজবস্ত্র সত্যিই অতীব সূক্ষ্ম , চোখে
পড়ছে না যদিও, তবু আছে,
অন্তত থাকাটা কিছু অসম্ভব নয়।"
গল্পটা সবার জানা .............
মানুষের মনে ধর্ম ও ঈশ্বর ধারণা ও ঠিক এই রকম।
কেউবা স্বার্থপর, কেউ মিথ্যা অপবাদের ভয়ে, কেউ গতানুগতিক ধারার সবাই মানছে তাই।
মূল কথা হলো, মানতে হবে, সেটা যেভাবেই হোক।
ঈশ্বরের কোনো প্রকার অস্তিত্ব পাওয়া যায় নি।
তবু তাকে মানতে হবে, আছে বলে বিশ্বাস করতে হবে।
মন্দির মুর্তি বানাতে হবে, তার পুজো করতে হবে।
তুমি যদি মহারাজকে উলঙ্গ দেখে "উলঙ্গ রাজা" বল, তবে তোমার মুণ্ডচ্ছেদ করা হবে।
তুমি যদি ঈশ্বরের অস্তিত্ব না পাও, এবং ঈশ্বররে অস্তিত্ব নেই বল, যদি এসব মিথ্যা, গুজব, ভণ্ডামি, গুলোকে স্বীকার না কর, তাহলে তুমি অধার্মিক, তুমি নাস্তিক, তুমি মহাপাপি, মানব জাতির কলঙ্ক।
মানব সমাজে তোমরা কোনো স্থান নেই।
ওহে মহামান্য দার্শনিকগণ এটাই কী আমাদের ভদ্র সুস্থ সমাজ ?
কোনো দিনই কি আমরা সত্য কথা বলার সাহস পাবো না ?
☆
বন্ধু, আমার স্ট্যাটাস গুলো যদি 100 জন পড়ে তাহলে কমপক্ষে 95 জন মানুষই আমাকে পাগল বলেই মনে করবে।
এবং এটাই স্বাভাবিক।
ইতিহাস নিশ্চয়ই আপনার জানা,
রাজা রামমোহন রায় যখন সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখন সেই সময়ের মানুষেরা তাঁকে পাগল বলেই ভাবতো।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর যখন বিধবাবিবাহ প্রথা চালু করার চেষ্টা করেছিলেন, তখন সে সময়ের মানুষ তাঁকে পাগল বলেই ভাবতো।
কাজী নজরুল ইসলাম যখন ধর্মের কুসংস্কার, জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, তাঁর লেখনীর মাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন, সে সময়ের মানুষ ও তাঁকে পাগল বলেই ভাবতো।
এখন আমি ও সমাজের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গোঁড়ামি, কুসংস্কার, হিন্দু মুসলমান ভেদাভেদ, মানুষের অন্ধবিশ্বাস এসবের বিরুদ্ধে এ রুখে দাঁড়াতে চাইছি, তাই 95% মানুষ আমাকে পাগল বলেই ভাবছে, আবার কিছু মানুষ পিছন থেকে টেনে ধরতে চাইছে।
এটাই স্বাভাবিক।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস, একদিন আমি সফল হবোই।
হয়তো সেদিন আমি বেঁচে থাতবো না, কিন্তু আমার নীতি আদর্শ তার প্রমাণ হয়ে থাকবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কবি মোঃ ইকবাল ২৩/০৭/২০১৪শুভ কামনা রইলো।।।