উবার ২২৬১ - ভালবাসার গল্প ধারাবাহিক
ভালবাসার গল্প: উবার ২২৬১
[ পঞ্চম পর্ব ]
সাত
শরতের সকাল | আভার বারান্দার টবে লাগানো কাশফুলে কলির ছড়া এসেছে | আর কয়েকদিন পরেই ফুটবে | আভার কাছে কাশফুল অন্যরকম ভাললাগার একটা ফুল, যে কিনা কারো বাড়ির ভিটেমাটির কোনো এক কোনায় অথবা কোনো দুর্গম চরে ঝাঁক বেধেঁ ফুটে থাকে | মাথা উঁচু করে প্রস্ফুটিত হয়ে বলতে চায়, আমি ও কম সুন্দরী নই ! একবার বছিলা ধরে কেরানীগঞ্জ যাওয়ার পথে আভা অনিন্দ্যসুন্দর এই কাশফুল বাগান দেখে সেখান থেকে কিছু চারা এনেছিল | ফুলের ছড়ায় হাত বুলাতে বুলাতে আভা ভাবছিলো , হঠাৎ ইভান ফোন দিয়ে মায়ের চিকিৎসার কথা বলে এক লক্ষ টাকা নিয়ে গেলো | ব্যাপারটা যাচাই ও করা হলো না | এদিকে না ও করতে পারেনি সে | কি এক মায়ার জালে আটকে গেলো আভা ! আজ একবার অফিসে যাওয়ার পথে ইউনাইটেড হাসপাতাল হয়ে আসবে , ঐখানেই ইভানের মাকে ভর্তি করানো হয়েছে | আইসিইউতে নাকি রাখা হয়েছে | কিন্তু ইভানের মায়ের নামটা তো জানা হয়নি ! একবার ফোন করে কি জেনে নিবে ? আজ সকালেই ইভান একটা লম্বা এসএমএস পাঠিয়েছে | ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতায় ভরা | বিপদের সময় পাশে দাঁড়ানোর জন্য আভাকে তিনবার থাঙ্কস বলেছে এবং এটাও লিখে দিয়েছে, ক্রেডিট কার্ডের ঝামেলাটা শেষ হলেই টাকাটা দিয়ে দেবে | আভা ইভানের কথায় যুক্তিও খুঁজে পেয়েছে | লং ট্রাঞ্জেকশনে আমেরিকার ব্যাঙ্ক অথরিটি সন্দেহ করে কার্ড ব্লক করতেই পারে | আভার একবার জার্মানি ভ্রমণের সময় এমনটাই হয়েছিল | অতএব, সন্দেহ করার কিছু নেই | তার চেয়ে বরং ইভানকে একটা ফোন দিয়ে ওর মায়ের খোঁজ-খবর নেওয়া যাক |
- গুড মর্নিং ! [ গুড মর্নিং টু ]
- আন্টি এখন কেমন আছেন ?
- এখনো জ্ঞান ফেরেনি | ডক্টর বলেছে , আটচল্লিশ ঘন্টা না গেলে কিছু বলা যাবে না !
- আপনি এখন কোথায় ?
- আমি হসপিটালের ওয়েটিং লবিতে |
- আমি তো গুলশান আসবো, একটা কাজ আছে | দেখা করে যাবো !
রুম নাম্বারটা কত ?
- রুম নাম্বার কিভাবে হবে ? মমকে তো এখনো কেবিনে দেয়নি ..! লবিতে আসলে দেখা হবে |
- আই সি ! তো আন্টির নামটা কি ?
- আম্মুর নাম , সোহেলী ফেরদৌস |
- ঠিক আছে, যদি সময় পাই দেখা করে যাবো !
- সো কাইন্ড অফ ইউ ম্যাডাম ! আই উইল ওয়েট ফর ইউ ! জাস্ট গিভ মি এ কল হোয়েন ইউ আর ভেরি ক্লোজ টু হসপিটাল |
- ইয়েস অফকোর্স , আই উইল !
আভার কনফিডেন্সের লেভেলটা বেড়ে গেলো অনেকটাই | ও মনে মনে যা ভেবেছিলো , আসলে তা নয় ! মানুষের বিপদ আসতেই পারে, আর বিপদের সময় কাউকে হেল্প করে সেটা নিয়ে অযথা বাড়তি চিন্তা না করাই ভালো |
দু'কাপ চা হাতে বারান্দায় এসে মেয়ের পাশে এসে বসলেন আভার মা | চায়ের কাপটা আভার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে মা কৌতূহলী হয়ে জানতে চাইলেন-
কি মা আভা, কার যেন অসুখ , হাসপাতালের কথা শুনছিলাম ! অফিসের কেউ ?
- ঠিকই শুনেছ আম্মু ! আমার এক পরিচিত | হঠাৎ উনার মায়ের ভমিটিং থেকে সেন্সলেস ! তারপর এমার্জেন্সি হসপিটালে এডমিশন !
- এখন যে কত রকমের রোগ , অসুখ-বিসুখ শুনি , আল্লাহ কি যে পরীক্ষার জন্য পাঠাচ্ছেন , উনি ভালো জানেন !
- আচ্ছা আম্মু , তোমার কাছে একটা জিনিস জানতে পারি ?
- বলো, কি জানতে চাও ?
- পছন্দ-অপছন্দের কি কোনো লেভেল আছে নাকি সীমারেখা আছে ?
- সেটা তো অবশ্যই আছে ! পরিবার , সমাজ , ধর্ম , বর্ণ , ক্লাস , কোয়ালিটি , আভিজাত্য সেগুলুতো এখনো বিলীন হয়ে যায়নি !
- এই টুয়েন্টি টুয়েন্টি সনে এসেও কি এগুলু কেউ ভাবে ?
- ভাবতে হয় মা ! সূর্য্য কি বদলেছে ? সন্ধ্যার চাঁদ কি দুপুরে উঠে ? দখিনার বাতাস কি কখনো গরম লাগে ?
- মানুষের পছন্দ-অপছন্দের সাথে তুমি প্রকৃতিকে টেনে আনলে কেনো ? বই পড়ে পড়ে তুমি পুরু লেডি ফিলোসফার হয়ে যাচ্ছ !
চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে মেয়ের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে আভার মায়ের কৌতূহলী প্রশ্ন ছিল -
- আমার মায়ের কি কোনো সেইরকম বেমানান পছন্দের কেউ নজরে পড়েছে !
- ধরো পড়েছে !
- আমি জানি , আমার লক্ষী সোনা এই মা কখনোই ভুল করবে না !
অসমাপ্ত চায়ের কাপ দুটো নিয়ে ভিতরের রুমের দিকে পা বাড়ালেন মিসেস জোবেদা খানম | অবসরপ্রাপ্ত আর্মি অফিসার মরহুম সুজাউদ্দিন সাহেবের স্ত্রী , আভার মা , আভার প্রিয় বান্ধবী |
মেয়ের জীবনসঙ্গী নিয়ে যিনি সবসময় ভাবেন, পরামর্শ দেন, ঘর বাঁধতে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন | আভার মুখে পছন্দের গল্প শুনে এবার কিছুটা স্বস্তির নিঃস্বাস ফেললেন বোধ হয় |
আট.
ইভানের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই ড্রাইভিং সীটের পাশে বসলো আভা | হসপিটালের আইসিইউতে ইভানের মাকে দেখে ফেরার পথে ইভানকে নিয়ে একটু ঘোরার ইচ্ছে হলো | প্রস্তাবটা প্রথমে ইভান-ই দিয়েছিলো |
- চলুন, আপনাকে বাসায় ড্রপ করে আসি |
- আপনি কি ফ্রি আছেন ?
- আই এম ওয়ার্কার ম্যাডাম ! ইন মাই ডিকশনারি , নো ফ্রি ওয়ার্ড !
-তাহলে একটু হাতিরঝিল ঘুরে তারপর না হয় !
- ইয়েস , তাই হবে |
পিছনের দরজা খুলে দিতে যাবে , এমন সময় আভাই বলে উঠলো-
আপনার যদি আপত্তি না থাকে , তাহলে আমি কি সামনে বসতে পারি ?
- ওহ শিউর ! হোয়াই নট ! ড্রাইভিং সীটে গর্জিয়াস লেডি , গাড়ির গতিবেগ ঠিক থাকলেই হলো |
- ডোন্ট জোকিং মিস্টার ! আই এম নট গর্জিয়াস !
- নিশ্চয় কেউ বলেনি ! আইদার , সেইভাবে কাউকে বলার সুযোগ হয়তো দেননি !
- না ঠিক তা নয় ! বলতে চেয়েছে , হয়তো ভয়ে বলেনি !
- আমরা তাহলে ফার্স্ট হাতিরঝিল যাচ্ছি |
- হুম | বাই দ্যা ওয়ে , আপনার মাকে আমার খুব ইয়ং লেডি মনে হয়েছে |
- ইয়ং লেডি !! [ অট্টহাসি ইভানের মুখে ] ভেরি ইন্টারেষ্টিং |
- হাসলেন কেন ?
- মাই মম অলওয়েজ শিল্পা শেঠি | হলিউডের অড্রে হেপবার্ন | বয়স ফর্টিফাইভ আপ , বাট নো চেঞ্জ ! গুড মেনটেনিং !
- সত্যি তাই !
- আচ্ছা আপনি কি গান শুনতে পছন্দ করেন ? [ প্রসঙ্গ পাল্টালো ইভান ]
- আপনি কি শানিয়া টুআইন-এর গান পছন্দ করেন ?
- কোন গানটা ?
- The Woman in Me , Needs the man in you.
- ওয়ান্ডারফুল ! তাহলে এটাই শুনি , কি বলেন ?
গাড়ির ডিভিডি প্ল্যায়ারে গানটা ছেড়ে হাতিরঝিলের পথে ইভান ও আভা |
--- চলবে ( আগামী সপ্তাহে শেষ পর্ব )
[ পঞ্চম পর্ব ]
সাত
শরতের সকাল | আভার বারান্দার টবে লাগানো কাশফুলে কলির ছড়া এসেছে | আর কয়েকদিন পরেই ফুটবে | আভার কাছে কাশফুল অন্যরকম ভাললাগার একটা ফুল, যে কিনা কারো বাড়ির ভিটেমাটির কোনো এক কোনায় অথবা কোনো দুর্গম চরে ঝাঁক বেধেঁ ফুটে থাকে | মাথা উঁচু করে প্রস্ফুটিত হয়ে বলতে চায়, আমি ও কম সুন্দরী নই ! একবার বছিলা ধরে কেরানীগঞ্জ যাওয়ার পথে আভা অনিন্দ্যসুন্দর এই কাশফুল বাগান দেখে সেখান থেকে কিছু চারা এনেছিল | ফুলের ছড়ায় হাত বুলাতে বুলাতে আভা ভাবছিলো , হঠাৎ ইভান ফোন দিয়ে মায়ের চিকিৎসার কথা বলে এক লক্ষ টাকা নিয়ে গেলো | ব্যাপারটা যাচাই ও করা হলো না | এদিকে না ও করতে পারেনি সে | কি এক মায়ার জালে আটকে গেলো আভা ! আজ একবার অফিসে যাওয়ার পথে ইউনাইটেড হাসপাতাল হয়ে আসবে , ঐখানেই ইভানের মাকে ভর্তি করানো হয়েছে | আইসিইউতে নাকি রাখা হয়েছে | কিন্তু ইভানের মায়ের নামটা তো জানা হয়নি ! একবার ফোন করে কি জেনে নিবে ? আজ সকালেই ইভান একটা লম্বা এসএমএস পাঠিয়েছে | ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতায় ভরা | বিপদের সময় পাশে দাঁড়ানোর জন্য আভাকে তিনবার থাঙ্কস বলেছে এবং এটাও লিখে দিয়েছে, ক্রেডিট কার্ডের ঝামেলাটা শেষ হলেই টাকাটা দিয়ে দেবে | আভা ইভানের কথায় যুক্তিও খুঁজে পেয়েছে | লং ট্রাঞ্জেকশনে আমেরিকার ব্যাঙ্ক অথরিটি সন্দেহ করে কার্ড ব্লক করতেই পারে | আভার একবার জার্মানি ভ্রমণের সময় এমনটাই হয়েছিল | অতএব, সন্দেহ করার কিছু নেই | তার চেয়ে বরং ইভানকে একটা ফোন দিয়ে ওর মায়ের খোঁজ-খবর নেওয়া যাক |
- গুড মর্নিং ! [ গুড মর্নিং টু ]
- আন্টি এখন কেমন আছেন ?
- এখনো জ্ঞান ফেরেনি | ডক্টর বলেছে , আটচল্লিশ ঘন্টা না গেলে কিছু বলা যাবে না !
- আপনি এখন কোথায় ?
- আমি হসপিটালের ওয়েটিং লবিতে |
- আমি তো গুলশান আসবো, একটা কাজ আছে | দেখা করে যাবো !
রুম নাম্বারটা কত ?
- রুম নাম্বার কিভাবে হবে ? মমকে তো এখনো কেবিনে দেয়নি ..! লবিতে আসলে দেখা হবে |
- আই সি ! তো আন্টির নামটা কি ?
- আম্মুর নাম , সোহেলী ফেরদৌস |
- ঠিক আছে, যদি সময় পাই দেখা করে যাবো !
- সো কাইন্ড অফ ইউ ম্যাডাম ! আই উইল ওয়েট ফর ইউ ! জাস্ট গিভ মি এ কল হোয়েন ইউ আর ভেরি ক্লোজ টু হসপিটাল |
- ইয়েস অফকোর্স , আই উইল !
আভার কনফিডেন্সের লেভেলটা বেড়ে গেলো অনেকটাই | ও মনে মনে যা ভেবেছিলো , আসলে তা নয় ! মানুষের বিপদ আসতেই পারে, আর বিপদের সময় কাউকে হেল্প করে সেটা নিয়ে অযথা বাড়তি চিন্তা না করাই ভালো |
দু'কাপ চা হাতে বারান্দায় এসে মেয়ের পাশে এসে বসলেন আভার মা | চায়ের কাপটা আভার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে মা কৌতূহলী হয়ে জানতে চাইলেন-
কি মা আভা, কার যেন অসুখ , হাসপাতালের কথা শুনছিলাম ! অফিসের কেউ ?
- ঠিকই শুনেছ আম্মু ! আমার এক পরিচিত | হঠাৎ উনার মায়ের ভমিটিং থেকে সেন্সলেস ! তারপর এমার্জেন্সি হসপিটালে এডমিশন !
- এখন যে কত রকমের রোগ , অসুখ-বিসুখ শুনি , আল্লাহ কি যে পরীক্ষার জন্য পাঠাচ্ছেন , উনি ভালো জানেন !
- আচ্ছা আম্মু , তোমার কাছে একটা জিনিস জানতে পারি ?
- বলো, কি জানতে চাও ?
- পছন্দ-অপছন্দের কি কোনো লেভেল আছে নাকি সীমারেখা আছে ?
- সেটা তো অবশ্যই আছে ! পরিবার , সমাজ , ধর্ম , বর্ণ , ক্লাস , কোয়ালিটি , আভিজাত্য সেগুলুতো এখনো বিলীন হয়ে যায়নি !
- এই টুয়েন্টি টুয়েন্টি সনে এসেও কি এগুলু কেউ ভাবে ?
- ভাবতে হয় মা ! সূর্য্য কি বদলেছে ? সন্ধ্যার চাঁদ কি দুপুরে উঠে ? দখিনার বাতাস কি কখনো গরম লাগে ?
- মানুষের পছন্দ-অপছন্দের সাথে তুমি প্রকৃতিকে টেনে আনলে কেনো ? বই পড়ে পড়ে তুমি পুরু লেডি ফিলোসফার হয়ে যাচ্ছ !
চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে মেয়ের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে আভার মায়ের কৌতূহলী প্রশ্ন ছিল -
- আমার মায়ের কি কোনো সেইরকম বেমানান পছন্দের কেউ নজরে পড়েছে !
- ধরো পড়েছে !
- আমি জানি , আমার লক্ষী সোনা এই মা কখনোই ভুল করবে না !
অসমাপ্ত চায়ের কাপ দুটো নিয়ে ভিতরের রুমের দিকে পা বাড়ালেন মিসেস জোবেদা খানম | অবসরপ্রাপ্ত আর্মি অফিসার মরহুম সুজাউদ্দিন সাহেবের স্ত্রী , আভার মা , আভার প্রিয় বান্ধবী |
মেয়ের জীবনসঙ্গী নিয়ে যিনি সবসময় ভাবেন, পরামর্শ দেন, ঘর বাঁধতে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন | আভার মুখে পছন্দের গল্প শুনে এবার কিছুটা স্বস্তির নিঃস্বাস ফেললেন বোধ হয় |
আট.
ইভানের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই ড্রাইভিং সীটের পাশে বসলো আভা | হসপিটালের আইসিইউতে ইভানের মাকে দেখে ফেরার পথে ইভানকে নিয়ে একটু ঘোরার ইচ্ছে হলো | প্রস্তাবটা প্রথমে ইভান-ই দিয়েছিলো |
- চলুন, আপনাকে বাসায় ড্রপ করে আসি |
- আপনি কি ফ্রি আছেন ?
- আই এম ওয়ার্কার ম্যাডাম ! ইন মাই ডিকশনারি , নো ফ্রি ওয়ার্ড !
-তাহলে একটু হাতিরঝিল ঘুরে তারপর না হয় !
- ইয়েস , তাই হবে |
পিছনের দরজা খুলে দিতে যাবে , এমন সময় আভাই বলে উঠলো-
আপনার যদি আপত্তি না থাকে , তাহলে আমি কি সামনে বসতে পারি ?
- ওহ শিউর ! হোয়াই নট ! ড্রাইভিং সীটে গর্জিয়াস লেডি , গাড়ির গতিবেগ ঠিক থাকলেই হলো |
- ডোন্ট জোকিং মিস্টার ! আই এম নট গর্জিয়াস !
- নিশ্চয় কেউ বলেনি ! আইদার , সেইভাবে কাউকে বলার সুযোগ হয়তো দেননি !
- না ঠিক তা নয় ! বলতে চেয়েছে , হয়তো ভয়ে বলেনি !
- আমরা তাহলে ফার্স্ট হাতিরঝিল যাচ্ছি |
- হুম | বাই দ্যা ওয়ে , আপনার মাকে আমার খুব ইয়ং লেডি মনে হয়েছে |
- ইয়ং লেডি !! [ অট্টহাসি ইভানের মুখে ] ভেরি ইন্টারেষ্টিং |
- হাসলেন কেন ?
- মাই মম অলওয়েজ শিল্পা শেঠি | হলিউডের অড্রে হেপবার্ন | বয়স ফর্টিফাইভ আপ , বাট নো চেঞ্জ ! গুড মেনটেনিং !
- সত্যি তাই !
- আচ্ছা আপনি কি গান শুনতে পছন্দ করেন ? [ প্রসঙ্গ পাল্টালো ইভান ]
- আপনি কি শানিয়া টুআইন-এর গান পছন্দ করেন ?
- কোন গানটা ?
- The Woman in Me , Needs the man in you.
- ওয়ান্ডারফুল ! তাহলে এটাই শুনি , কি বলেন ?
গাড়ির ডিভিডি প্ল্যায়ারে গানটা ছেড়ে হাতিরঝিলের পথে ইভান ও আভা |
--- চলবে ( আগামী সপ্তাহে শেষ পর্ব )
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সুপ্রিয় কুমার চক্রবর্তী ১২/১০/২০১৯সবার আগ্রহ ও ভালবাসা পেয়ে আমি ধন্য !
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৪/১০/২০১৯সুমধুর সুপাঠ্য
-
পরিতোষ ভৌমিক ২ ০৩/১০/২০১৯লেখার মান দেখে বেশ ভাল লাগলো , চলতে থাকুক বেমানান ভালোবাসার অসমান গল্প । শুভেচ্ছা প্রিয় লেখক কে ।
-
প্রয়াস মাসুম ০১/১০/২০১৯অপেক্ষায় রইলাম
-
খাতুনে জান্নাত ৩০/০৯/২০১৯ধন্যবাদ। আপনার গল্প অনেক ভালো হয়েছে। কিন্তু জানতে ইচ্ছা গল্পগুলো কি আলাদা প্লটে নির্মিত? গল্প ধারাবাহিক কিভাবে হয়?
-
পি পি আলী আকবর ৩০/০৯/২০১৯বেশ লেখেছেন
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ২৯/০৯/২০১৯বেশ লাগছে
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৯/০৯/২০১৯পড়তে থাকি।