যদি
যদি...
রুমা চৌধুরী
অজয়রা আজ চেন্নাই এসেছে।এক দিন চেন্নাই থেকে ওরা ভেলোর যাবে। সেখানে অজয়ের শালীর ট্রিটমেন্ট হবে।
ট্রেন থেকে নেমে হোটেল ঠিক করতে বেশ সময় লেগে গেল। করমন্ডোল এক্সপ্রেস এমনিতেই একঘন্টা লেট ছিল।
স্টেশনের কাছেই মোটামুটি একটা হোটেলে অবশেষে ওরা রুম পেয়ে খাওয়া সেরে স্থির হতেই বেশ রাত হল।
অজয় রাতে বারান্দায় এসে রাতের চেন্নাই শহরের ব্যস্ততা দেখছিল। হঠাৎ ওর শ্রীমানীর কথা মনে পড়ল।
প্রায় পাঁচ বছর আগের কথা। অজয়ের তখন মানসিক অবস্থা খুব খারাপ। কয়েকমাস হল পাঁচ বছরের বাবাই মারা গেছে। চরম শূন্যতা মনে ছেয়ে আছে। এর মধ্যেই অফিসের কাজ আর অন্যান্য কাজের দায়িত্ব, স্ত্রী অদিতি, বাবা মা সবাইকে সামলান। নিজের সাথে নিজের লড়াই। কখনো কখনো মনে হত,আর কেন, চলে গেলেই তো হয়।
সেই সময় শ্রীমানীর সাথে পরিচয়। যদিও কাজের কারণেই আলাপ। পরে বন্ধুত্ব। তারপর আলাপটা ফেসবুকে। একাকীত্ব কাটিয়ে একটু বন্ধুত্ব, একটু খোলা কথা, কিছু সময়ের জন্য ওরা একটু কাছাকাছিই চলে আসে।
শ্রীমানী এই চেন্নাই শহরেরই মেয়ে। কি যেন জায়গার নাম বলেছিল। অজয় কিছুতেই নামটা মনে করতে পারছে না।
কিন্তু, অজয়ই আর সম্পর্ক বাড়াতে চায় নি। অজয়, নিজেকে যেন যন্ত্রের মতো সেদিন সরিয়ে নিয়েছিল শ্রীমানীর জীবন থেকে। তবুও আজও যেন,...
বার বার শ্রীমানীর মুখ মনে পড়ছে।অনেক কথা মনের মধ্যে এক নিমেষে উঠে এল। সেই চোখ, সেই অভিমান, যন্ত্রনা আজ অজয়কে ভীষণ একা করে দিল।
এক হারিয়ে যাওয়া যন্ত্রনায় বুকটা মোচর দিয়ে উঠলো। মনে হল, যদি…
পাশ ফিরতেই দেখল অদিতি দাঁড়িয়ে আছে। ওরদিকে হেসে বলল-” ঘুমাবে না?”
অজয় নিরাসক্তভাবে অদিতির হাতটা ধরে হেসে বলল-” চল যাই।”
অজয়ের মনে হল, স্টীট লাইট জ্বলা রাস্তাটাও যেন অভিমানী হয়ে উঠেছে। এক একটা গাড়ির শব্দে তার যন্ত্রনা নিংড়ে বেড়িয়ে আসছে। হলুদ স্ট্রিট লাইটের মতো অভিমানী চোখে শ্রীমানী যেন আজও তার দিকে তাকিয়ে বলছে, ” যদি…........”।
রুমা চৌধুরী
অজয়রা আজ চেন্নাই এসেছে।এক দিন চেন্নাই থেকে ওরা ভেলোর যাবে। সেখানে অজয়ের শালীর ট্রিটমেন্ট হবে।
ট্রেন থেকে নেমে হোটেল ঠিক করতে বেশ সময় লেগে গেল। করমন্ডোল এক্সপ্রেস এমনিতেই একঘন্টা লেট ছিল।
স্টেশনের কাছেই মোটামুটি একটা হোটেলে অবশেষে ওরা রুম পেয়ে খাওয়া সেরে স্থির হতেই বেশ রাত হল।
অজয় রাতে বারান্দায় এসে রাতের চেন্নাই শহরের ব্যস্ততা দেখছিল। হঠাৎ ওর শ্রীমানীর কথা মনে পড়ল।
প্রায় পাঁচ বছর আগের কথা। অজয়ের তখন মানসিক অবস্থা খুব খারাপ। কয়েকমাস হল পাঁচ বছরের বাবাই মারা গেছে। চরম শূন্যতা মনে ছেয়ে আছে। এর মধ্যেই অফিসের কাজ আর অন্যান্য কাজের দায়িত্ব, স্ত্রী অদিতি, বাবা মা সবাইকে সামলান। নিজের সাথে নিজের লড়াই। কখনো কখনো মনে হত,আর কেন, চলে গেলেই তো হয়।
সেই সময় শ্রীমানীর সাথে পরিচয়। যদিও কাজের কারণেই আলাপ। পরে বন্ধুত্ব। তারপর আলাপটা ফেসবুকে। একাকীত্ব কাটিয়ে একটু বন্ধুত্ব, একটু খোলা কথা, কিছু সময়ের জন্য ওরা একটু কাছাকাছিই চলে আসে।
শ্রীমানী এই চেন্নাই শহরেরই মেয়ে। কি যেন জায়গার নাম বলেছিল। অজয় কিছুতেই নামটা মনে করতে পারছে না।
কিন্তু, অজয়ই আর সম্পর্ক বাড়াতে চায় নি। অজয়, নিজেকে যেন যন্ত্রের মতো সেদিন সরিয়ে নিয়েছিল শ্রীমানীর জীবন থেকে। তবুও আজও যেন,...
বার বার শ্রীমানীর মুখ মনে পড়ছে।অনেক কথা মনের মধ্যে এক নিমেষে উঠে এল। সেই চোখ, সেই অভিমান, যন্ত্রনা আজ অজয়কে ভীষণ একা করে দিল।
এক হারিয়ে যাওয়া যন্ত্রনায় বুকটা মোচর দিয়ে উঠলো। মনে হল, যদি…
পাশ ফিরতেই দেখল অদিতি দাঁড়িয়ে আছে। ওরদিকে হেসে বলল-” ঘুমাবে না?”
অজয় নিরাসক্তভাবে অদিতির হাতটা ধরে হেসে বলল-” চল যাই।”
অজয়ের মনে হল, স্টীট লাইট জ্বলা রাস্তাটাও যেন অভিমানী হয়ে উঠেছে। এক একটা গাড়ির শব্দে তার যন্ত্রনা নিংড়ে বেড়িয়ে আসছে। হলুদ স্ট্রিট লাইটের মতো অভিমানী চোখে শ্রীমানী যেন আজও তার দিকে তাকিয়ে বলছে, ” যদি…........”।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আলো ২৩/০৯/২০১৮এক কথায় অসাধারণ
-
মহিউদ্দিন রমজান ১৫/০৯/২০১৮দারুণ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৪/০৯/২০১৮কলেবর খুব ছোট।
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ১৪/০৯/২০১৮খুব ভাল লাগল।
-
নির্ঘুম মিশ্র ১৪/০৯/২০১৮ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ।