www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

দাঁতো

দুঃসংবাদের তীব্রতা শিরায় শিরায়
ছড়িয়ে পড়েছিল প্যারিসের রাস্তাময়,
একরাশ শূন্যতা শুধু বেলজিয়াম-ফেরত
উদ্ধত বাহুপাশের নাগালে-


এইতো গতকালই যেন সেইন্ট জারমেইন
সেজে উঠেছিল তার হাসিরঙে,
আর আজ সে ফুরিয়ে গেল,
মিলিয়ে গেল চুপচাপ আড়ালে কতদূর …


একসময় যে বিশালাকায় টাইটানের
উগ্র, কর্কশ কন্ঠ হলঘরের দেওয়ালে
দেওয়ালে কাঁপন ধরিয়ে যেত,
যার অনন্ত দুঃসাহসের আগুনে
বাস্তিল ঝরে পড়েছিল চুরমার,
আজ রাতে সেই প্রেমিক টুকরো-টুকরো!


অসহায় আঁধারে শরীর লুকিয়ে
নীরব সেইন্ট ক্যাথারিন সমাধি,
ভাস্কর ক্লড অ্যান্ড্রে ডেসেইনের হাতে
মাটি খুঁড়ে বার করে আনা
প্রিয়তমা লাশ মুখের ছাঁচে
বানানো মৃত্যু-মুখোশ।


হাহাকার বুকের আনাচে-কানাচে
অ্যান্টোইনেত্তে তো আছেই,
চোখের সামনে শেষবারের মত,
চিরকালের … অমলিন …
তারপর হাজার হাজার মৃত্যু আসুক না
ফরাসী রক্তের শিকড় ছিঁড়ে!



*** ১৭৯৩ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই ফেব্রুয়ারী চতুর্থ সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান ফরাসী বিপ্লবের অন্যতম নেতা জর্জ জ্যাক দাঁতো’র প্রথম স্ত্রী অ্যান্টোইনেত্তে গ্যাব্রিয়েলে দাঁতো।। সেইসময় দাঁতো বেলজিয়ামের যুদ্ধক্ষেত্রে ছিলেন, ১৭ই ফেব্রুয়ারী প্যারিসে ফিরে তিনি যা যা করেছিলেন তাই-ই এই কবিতার উপজীব্য।। ***
বিষয়শ্রেণী: কবিতা
ব্লগটি ৮৮০ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৩/০২/২০১৪

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • অসম্ভব সুন্দর
 
Quantcast