ফাঁদ
ফাঁদ
🌏🌏🌏
বাবার ফিরতে দেরী হয়ে যায়, বাবা আজকাল অফিস আর টকশো নিয়ে অসম্ভব রকমের ব্যস্ত, মা বেশ অসুস্থ, মাঝে মাঝে ভাইয়ের কাছে নিউইয়র্কে চলে যায়, তবু্ও মা আমার সবকিছু, আমরা দুই ভাইবোন, বাবা আমার নামে ফ্লাট, গাড়ি, ফিক্সড ডিপোজিট করেছেন, বাবা এখনও আমাকে সুরক্ষিত রাখার জন্যে খেটে চলেছেন, আমাদের এক পা এদেশে আর এক পা যুক্তরাষ্ট্রে।
সেসব কোনো কথা নয় আমিও খুব অল্প বয়সে ক্যারিয়ার শুরু করেছি আমার প্রথম পোষ্টিং ছিলো কুয়ালামাপুরে, এরপরে সিঙ্গাপুরে, সব সময়ে কঠোর পরিশ্রম আর ভালো বেতন পেয়েছি এসবই বাবা মায়ের অবদান, ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশোনা চাকুরী পেতে বেগ পেতে হয়নি, বলা যায় ব্যর্থতার সাথে ক্যারিয়ারের যোগ নেই, এমনটা চলছিলো, মায়ের শরীর অসুস্থ শুনে নিজ উদ্যোগে দেশে ফিরে এলাম, এখন ভালো একটা চাকুরী করি।
আমি টকশোর নিয়মিত শ্রোতা, একদিন একজন সঞ্চালকের সাথে পরিচয় হলো, ওর নাম রাফি, রাফি চৌকস মানুষ, খুব গুছিয়ে কথা বলে,এর আড়ালে সে অন্য এক মানুষ।
রাফির সাথে আজ ৩ বছরের সম্পর্ক, বাবা মা কিছুটা জানেন, রাফি একজন হিপনোটিক পার্সোনালিটির মানুষ, আস্তে আস্তে জানতে পেরেছি আমার সাথে যে সম্পর্ক, অনুরূপ সম্পর্ক আছে ওর অনেক নারীর সাথে, ততোদিনে অনেক দেরী হয়ে গেছে, ব্যবসায়ের নাম করে সে তিন কিস্তিতে আমার কাছ থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, যখন ফ্লাট এবং গাড়ি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলো তখন আমি ল ইয়ার বন্ধু মৃদুলার স্মরণাপন্ন হই... আমার মোহভঙ্গ হয়, আমি আমার মা ও মৃদুলার চেষ্টায় এ যাত্রা বেঁচে যাই...
জুলাইয়ের নীলসন্ধ্যাগুলো খুব স্মৃতিকাতর করে, মাথায় লতা মঙ্গেশকর ভর করেন,
"মুখোমুখি বসে নীলসন্ধ্যায় জীবনানন্দ তুমি তো শোনাতে ভেবে দ্যাখো মনে পড়ে কিনা..."
আমি এইসব নস্টালজিক গানগুলোকে swip out করতে চাই...কিন্তু তারা আমাকে অধিগ্রহণ করে...
আমি রাফি, ঋতুর সাথে অনেকবার যোগাযোগ করতে চেয়েছি, পারিনি, মেয়েটি খুব অন্যের বুদ্ধিতে চলে, প্রথমটায় আমি বেশ সফল ছিলাম, কোথায় যে ভুল হলো বুঝতে পারছিনা, আরো কিছু হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগটা এভাবে হাতছাড়া হয়ে গেলো রাগে নিজের চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে হয়।
আজ নীলার সাথে দেখা হবে, অনলাইনে অল্পকদিনে পরিচয় হয়েছে, এক্সাইটিং এক্সপেরিয়েন্সের অপেক্ষায় আছি, অবশেষে নীলা এলো, সে ভীষণ এট্রাক্টিভ, স্মার্টনেসের একটা ভাইব আছে।
আমরা কফি খেতে বসলাম সামনে সুসজ্জিত নীলা, ক্রমশঃ দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসছে, কতোগুলো শক্ত-সামর্থ্য যুবক আমার সব কিছু ছিনিয়ে নিয়ে, আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে... এরপর কেবল অন্ধকার... কিছু মনে করতে পারছি না...
🌏🌏🌏
বাবার ফিরতে দেরী হয়ে যায়, বাবা আজকাল অফিস আর টকশো নিয়ে অসম্ভব রকমের ব্যস্ত, মা বেশ অসুস্থ, মাঝে মাঝে ভাইয়ের কাছে নিউইয়র্কে চলে যায়, তবু্ও মা আমার সবকিছু, আমরা দুই ভাইবোন, বাবা আমার নামে ফ্লাট, গাড়ি, ফিক্সড ডিপোজিট করেছেন, বাবা এখনও আমাকে সুরক্ষিত রাখার জন্যে খেটে চলেছেন, আমাদের এক পা এদেশে আর এক পা যুক্তরাষ্ট্রে।
সেসব কোনো কথা নয় আমিও খুব অল্প বয়সে ক্যারিয়ার শুরু করেছি আমার প্রথম পোষ্টিং ছিলো কুয়ালামাপুরে, এরপরে সিঙ্গাপুরে, সব সময়ে কঠোর পরিশ্রম আর ভালো বেতন পেয়েছি এসবই বাবা মায়ের অবদান, ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশোনা চাকুরী পেতে বেগ পেতে হয়নি, বলা যায় ব্যর্থতার সাথে ক্যারিয়ারের যোগ নেই, এমনটা চলছিলো, মায়ের শরীর অসুস্থ শুনে নিজ উদ্যোগে দেশে ফিরে এলাম, এখন ভালো একটা চাকুরী করি।
আমি টকশোর নিয়মিত শ্রোতা, একদিন একজন সঞ্চালকের সাথে পরিচয় হলো, ওর নাম রাফি, রাফি চৌকস মানুষ, খুব গুছিয়ে কথা বলে,এর আড়ালে সে অন্য এক মানুষ।
রাফির সাথে আজ ৩ বছরের সম্পর্ক, বাবা মা কিছুটা জানেন, রাফি একজন হিপনোটিক পার্সোনালিটির মানুষ, আস্তে আস্তে জানতে পেরেছি আমার সাথে যে সম্পর্ক, অনুরূপ সম্পর্ক আছে ওর অনেক নারীর সাথে, ততোদিনে অনেক দেরী হয়ে গেছে, ব্যবসায়ের নাম করে সে তিন কিস্তিতে আমার কাছ থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, যখন ফ্লাট এবং গাড়ি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলো তখন আমি ল ইয়ার বন্ধু মৃদুলার স্মরণাপন্ন হই... আমার মোহভঙ্গ হয়, আমি আমার মা ও মৃদুলার চেষ্টায় এ যাত্রা বেঁচে যাই...
জুলাইয়ের নীলসন্ধ্যাগুলো খুব স্মৃতিকাতর করে, মাথায় লতা মঙ্গেশকর ভর করেন,
"মুখোমুখি বসে নীলসন্ধ্যায় জীবনানন্দ তুমি তো শোনাতে ভেবে দ্যাখো মনে পড়ে কিনা..."
আমি এইসব নস্টালজিক গানগুলোকে swip out করতে চাই...কিন্তু তারা আমাকে অধিগ্রহণ করে...
আমি রাফি, ঋতুর সাথে অনেকবার যোগাযোগ করতে চেয়েছি, পারিনি, মেয়েটি খুব অন্যের বুদ্ধিতে চলে, প্রথমটায় আমি বেশ সফল ছিলাম, কোথায় যে ভুল হলো বুঝতে পারছিনা, আরো কিছু হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগটা এভাবে হাতছাড়া হয়ে গেলো রাগে নিজের চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে হয়।
আজ নীলার সাথে দেখা হবে, অনলাইনে অল্পকদিনে পরিচয় হয়েছে, এক্সাইটিং এক্সপেরিয়েন্সের অপেক্ষায় আছি, অবশেষে নীলা এলো, সে ভীষণ এট্রাক্টিভ, স্মার্টনেসের একটা ভাইব আছে।
আমরা কফি খেতে বসলাম সামনে সুসজ্জিত নীলা, ক্রমশঃ দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসছে, কতোগুলো শক্ত-সামর্থ্য যুবক আমার সব কিছু ছিনিয়ে নিয়ে, আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে... এরপর কেবল অন্ধকার... কিছু মনে করতে পারছি না...
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল মহী ২৩/১১/২০২৪অসাধারণ কাব্য শৈলীতে মুগ্ধ হলাম ।
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২৩/১১/২০২৪অনন্য
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ২২/১১/২০২৪বেশ,,,