মনোলগ
মনোলগ
🌏🌏🌏
মেজাজে আমি খুব ঠান্ডা, শুদ্ধ উচ্চারণে মাতৃভাষা ও ইংরেজি বলি, আমি যা বিশ্বাস করিনা, যে মতাদর্শের উপর আমার বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা নেই, যাকে আমি নিশ্চিত অন্যায় জানি, আমি আমার লক্ষ্য অর্জনের জন্যে অত্যন্ত বিশ্বাস যোগ্যতা প্রদর্শন করে সেই যুবক বয়স থেকে সেসব বিষয়ে বলা রপ্ত করেছি।
আমি যদি মনে করি কাউকে আমার মতাদর্শের দিকে আকৃষ্ট করবো বিশেষ করে যুব ও কিশোর সমাজকে আমি অত্যন্ত যত্ন করে, কোমল স্বরে মন্ত্রমুগ্ধ করতে পারি, এমন কিছু তথ্য ও উপাত্ত হাজির করি, মানুষের বিস্ময়ের মাত্রা বেড়ে যায়, তারা হ্যা হ্যা করে উঠে, তাদের চোখ বিস্ফারিত হয়ে যায়...
আপনারা জানেন নিরক্ষর সমাজে মানুষের প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান খুব কম থাকে, তারা অতোটুকুই শেখে যেসব তাদের জীবন পার করতে কাজে লাগে, এদের সাথেও আমি খুব সহযে মিশে যেতে পারি। এরা আমার দীর্ঘ নাম ও পদবী শুনে আমাকে অত্যন্ত জ্ঞানী লোক বলে বিশ্বাস করে!
যাই হোক, আমিও ভেতরে ভেতরে অনেক দ্বন্দে পড়ে যাই, ধরুন,আমি বহুদিন আগে একটি কথা বলেছিলাম, এখন আমি সেসব জেনেশুনে বেমালুম অস্বীকার করি!
বিস্মিত হবেননা আপনারা, আমি নিজের স্বার্থসিদ্ধিকে ফার্স্ট প্রায়োরিটি দেই, এর পরে রাখি অন্যদেরকে, আমি কোনো ভুল করলে তার দায় নেইনা, আমার থেকে কম ক্ষমতা ও কর্তৃত্তবান কারো উপরে সুকৌশলে চাপিয়ে দেই সব দায়ভার, আর এদেশে অধস্তনরা প্রতিবাদ করে যাবেটা কোথায় বলুন তো, তারা বিষ খেয়ে বিষ হজম করে নেয়, আর আমি তখন একা একা খুব মজা নেই!
আমি যা কিছু শিখেছি আমার বাবার কাছ থেকে, বাবা বলতেন, "বুঝলি তোতন,এই পৃথিবীটা না বোকাদের জন্যে নয়, এটা চতুরদের দুনিয়া, তুই যতো চালাক হবি ততো মানুষ তোকে কম ঠকাবে...!"
"কিন্তু সাবধান তুই ভাবখানা দেখাবি তোর মতো ভালোমানুষ আর দ্বিতীয়টি নেই!"
"শোন, ঐসব নীতিফিতি দিয়ে পেট চলেনা, তোকে ভেতরে ভেতরে হতে হবে পিচ্ছিল, যেনো কোনো কিছু তোকে আটকে রাখতে না পারে.."
মায়ের মুখটা এসব শুনে অন্ধকার হয়ে যেতো, কিন্তু আমি অন্ধভাবে বাবাকেই অনুসরণ করেছি।
অতি সম্প্রতি আমাকে অনেক কিছু হারাতে হয়েছে, কিন্তু কি জানেন, আমাদেরকে হারানো অতোটা সহজ নয়, আমরা সব ডিম এক ঝুড়িতে রাখিনা, আমাদের কিছু কিছু ডিম ঝুড়ি A, B, C এমনকি D তেও রাখতে হয়...।
বেঁচে থাকা একটা আর্ট, বেঁচে-বর্তে থাকতে হলে, আমাকে অনুসরন করুন, করবেননা বলছেন সে আপনার চয়েস, শুনলেননা তো, আখেরে পস্তাবেন কিন্ত...!
🌏🌏🌏
মেজাজে আমি খুব ঠান্ডা, শুদ্ধ উচ্চারণে মাতৃভাষা ও ইংরেজি বলি, আমি যা বিশ্বাস করিনা, যে মতাদর্শের উপর আমার বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা নেই, যাকে আমি নিশ্চিত অন্যায় জানি, আমি আমার লক্ষ্য অর্জনের জন্যে অত্যন্ত বিশ্বাস যোগ্যতা প্রদর্শন করে সেই যুবক বয়স থেকে সেসব বিষয়ে বলা রপ্ত করেছি।
আমি যদি মনে করি কাউকে আমার মতাদর্শের দিকে আকৃষ্ট করবো বিশেষ করে যুব ও কিশোর সমাজকে আমি অত্যন্ত যত্ন করে, কোমল স্বরে মন্ত্রমুগ্ধ করতে পারি, এমন কিছু তথ্য ও উপাত্ত হাজির করি, মানুষের বিস্ময়ের মাত্রা বেড়ে যায়, তারা হ্যা হ্যা করে উঠে, তাদের চোখ বিস্ফারিত হয়ে যায়...
আপনারা জানেন নিরক্ষর সমাজে মানুষের প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান খুব কম থাকে, তারা অতোটুকুই শেখে যেসব তাদের জীবন পার করতে কাজে লাগে, এদের সাথেও আমি খুব সহযে মিশে যেতে পারি। এরা আমার দীর্ঘ নাম ও পদবী শুনে আমাকে অত্যন্ত জ্ঞানী লোক বলে বিশ্বাস করে!
যাই হোক, আমিও ভেতরে ভেতরে অনেক দ্বন্দে পড়ে যাই, ধরুন,আমি বহুদিন আগে একটি কথা বলেছিলাম, এখন আমি সেসব জেনেশুনে বেমালুম অস্বীকার করি!
বিস্মিত হবেননা আপনারা, আমি নিজের স্বার্থসিদ্ধিকে ফার্স্ট প্রায়োরিটি দেই, এর পরে রাখি অন্যদেরকে, আমি কোনো ভুল করলে তার দায় নেইনা, আমার থেকে কম ক্ষমতা ও কর্তৃত্তবান কারো উপরে সুকৌশলে চাপিয়ে দেই সব দায়ভার, আর এদেশে অধস্তনরা প্রতিবাদ করে যাবেটা কোথায় বলুন তো, তারা বিষ খেয়ে বিষ হজম করে নেয়, আর আমি তখন একা একা খুব মজা নেই!
আমি যা কিছু শিখেছি আমার বাবার কাছ থেকে, বাবা বলতেন, "বুঝলি তোতন,এই পৃথিবীটা না বোকাদের জন্যে নয়, এটা চতুরদের দুনিয়া, তুই যতো চালাক হবি ততো মানুষ তোকে কম ঠকাবে...!"
"কিন্তু সাবধান তুই ভাবখানা দেখাবি তোর মতো ভালোমানুষ আর দ্বিতীয়টি নেই!"
"শোন, ঐসব নীতিফিতি দিয়ে পেট চলেনা, তোকে ভেতরে ভেতরে হতে হবে পিচ্ছিল, যেনো কোনো কিছু তোকে আটকে রাখতে না পারে.."
মায়ের মুখটা এসব শুনে অন্ধকার হয়ে যেতো, কিন্তু আমি অন্ধভাবে বাবাকেই অনুসরণ করেছি।
অতি সম্প্রতি আমাকে অনেক কিছু হারাতে হয়েছে, কিন্তু কি জানেন, আমাদেরকে হারানো অতোটা সহজ নয়, আমরা সব ডিম এক ঝুড়িতে রাখিনা, আমাদের কিছু কিছু ডিম ঝুড়ি A, B, C এমনকি D তেও রাখতে হয়...।
বেঁচে থাকা একটা আর্ট, বেঁচে-বর্তে থাকতে হলে, আমাকে অনুসরন করুন, করবেননা বলছেন সে আপনার চয়েস, শুনলেননা তো, আখেরে পস্তাবেন কিন্ত...!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
পরিতোষ ভৌমিক ২ ০৭/১১/২০২৪প্রিয় লেখক , বিষয় শ্রেনী কি ঠিক হল ! একটু ভেবে দেখতে পারেন ।
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২২/১০/২০২৪বেশ সুন্দর
-
সুসঙ্গ শাওন ২১/১০/২০২৪এই পৃথিবীটা আসলেই বোকাদের জন্য নয়।।
সরল, বোকা মানুষ যেন সমস্ত সমস্যা কারণ।
বেশ সুন্দর লেখনী। ভালোবাসা অবিরাম।। -
ফয়জুল মহী ১৮/১০/২০২৪অনিন্দ্য সুন্দর নান্দনিক সৌন্দর্যের গাঁথুনি