একজন ভালো মানুষের গল্প
একজন ভালো মানুষের গল্প
🌍🌍🌍🌍
আরিফ একজন ৩৫ বছরের যুবক দূর্ভাগ্যবশত তাকে দেখলে ১৯ বছরের যুবক মনে হয়, বাংলাদেশের লাখো খর্বাকায় মানুষদের তিনি একজন, ভালো করে দেখলে ভাঙ্গা চোরা চেহারাটা চোখে পড়ে...
পান, তামাক, গাঁজা, সিগারেট, মাদক কিছু স্পর্শ করেননা তিনি, পেশায় দিনমজুর।ক্লাস ৩ অব্দি পড়াশোনা, পাস করা হয়নি তাও, বাবা কাঠমিস্ত্রী ছিলেন, ৮ ভাইবোন আরিফের, ৭/৮ বছর বয়স থেকে বিভিন্ন কাজ করছেন, সব সময় কাজের জন্যে ঘোরাঘুরি করেন, তিনি জানেন কাজ ঘরে বয়ে আসেনা, কাজকে খুঁজে নিতে হয়, রহিম সাহেব আর মনির সাহেব এই প্রান্তিক এলাকার অবস্থাপন্ন মানুষ, তাই ভোর ৬ টায় আশপাশে ঘোরাঘুরি করেন তিনি, রহিম সাহেব খুব সকালে উঠেন, মনির সাহেব ৮/৯ টায়, ধৈর্য হারাননা আরিফ সাহেব, এখন তার মুল পেশা রাজমিস্ত্রীর নিয়মিত যোগাড়ে, কিন্ত অতিবৃষ্টি আর সাম্প্রতিক চলমান রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে নির্মাণ কাজ স্থগিত, সবাই নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখেছে, আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে, তাই বাকীটা কল্পনা করার দায়িত্ব আপনাদের কাছে ছেড়ে দিলাম...
কিন্ত তিন কন্যা সন্তানের পিতার ও তার পরিবারের পেট তো আর থেমে নেই! তাই এই কৌশল নিয়েছেন তিনি, কাজের আশায় বের হয়ে পড়া, রহিম সাহেব বা মনির সাহেব তাদের খুঁচরো কাজগুলো করিয়ে নেন, উচ্চতা কম বলে যারা তাকে চেনেনা তারা তাকে কাজে নিতে চায়না, কাজের অভাব তাই খাবারের অভাব, কিস্তি পরিশোধ আছে... তার বড় ভাই ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে ভাত দিয়ে ধরে প্রতিবেশীর মোরগ চুরি করে ৭৫০ টাকা পেয়েছিলো, কিন্তু জানাজানি হতে হেনস্থা হয়েছেন...
আরিফেরও ক্ষুধা লাগে, তখন ১মুঠা চিড়া আর দুইগ্লাস পানি খেয়ে কাজে বের হয়, মনির সাহেব দয়ালু তাই কাজে নিলে নাস্তা দেন, দুপুরে জোর করে খাইয়ে দেন, আরিফ না করেননা, তবে ৩ মেয়ে আর আর বউয়ের জন্যে ভালো কিছু মুখে দিতে গেলে বুকের ভিতর টনটন করে উঠে....
🌍🌍🌍🌍
আরিফ একজন ৩৫ বছরের যুবক দূর্ভাগ্যবশত তাকে দেখলে ১৯ বছরের যুবক মনে হয়, বাংলাদেশের লাখো খর্বাকায় মানুষদের তিনি একজন, ভালো করে দেখলে ভাঙ্গা চোরা চেহারাটা চোখে পড়ে...
পান, তামাক, গাঁজা, সিগারেট, মাদক কিছু স্পর্শ করেননা তিনি, পেশায় দিনমজুর।ক্লাস ৩ অব্দি পড়াশোনা, পাস করা হয়নি তাও, বাবা কাঠমিস্ত্রী ছিলেন, ৮ ভাইবোন আরিফের, ৭/৮ বছর বয়স থেকে বিভিন্ন কাজ করছেন, সব সময় কাজের জন্যে ঘোরাঘুরি করেন, তিনি জানেন কাজ ঘরে বয়ে আসেনা, কাজকে খুঁজে নিতে হয়, রহিম সাহেব আর মনির সাহেব এই প্রান্তিক এলাকার অবস্থাপন্ন মানুষ, তাই ভোর ৬ টায় আশপাশে ঘোরাঘুরি করেন তিনি, রহিম সাহেব খুব সকালে উঠেন, মনির সাহেব ৮/৯ টায়, ধৈর্য হারাননা আরিফ সাহেব, এখন তার মুল পেশা রাজমিস্ত্রীর নিয়মিত যোগাড়ে, কিন্ত অতিবৃষ্টি আর সাম্প্রতিক চলমান রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে নির্মাণ কাজ স্থগিত, সবাই নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখেছে, আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে, তাই বাকীটা কল্পনা করার দায়িত্ব আপনাদের কাছে ছেড়ে দিলাম...
কিন্ত তিন কন্যা সন্তানের পিতার ও তার পরিবারের পেট তো আর থেমে নেই! তাই এই কৌশল নিয়েছেন তিনি, কাজের আশায় বের হয়ে পড়া, রহিম সাহেব বা মনির সাহেব তাদের খুঁচরো কাজগুলো করিয়ে নেন, উচ্চতা কম বলে যারা তাকে চেনেনা তারা তাকে কাজে নিতে চায়না, কাজের অভাব তাই খাবারের অভাব, কিস্তি পরিশোধ আছে... তার বড় ভাই ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে ভাত দিয়ে ধরে প্রতিবেশীর মোরগ চুরি করে ৭৫০ টাকা পেয়েছিলো, কিন্তু জানাজানি হতে হেনস্থা হয়েছেন...
আরিফেরও ক্ষুধা লাগে, তখন ১মুঠা চিড়া আর দুইগ্লাস পানি খেয়ে কাজে বের হয়, মনির সাহেব দয়ালু তাই কাজে নিলে নাস্তা দেন, দুপুরে জোর করে খাইয়ে দেন, আরিফ না করেননা, তবে ৩ মেয়ে আর আর বউয়ের জন্যে ভালো কিছু মুখে দিতে গেলে বুকের ভিতর টনটন করে উঠে....
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শ.ম. শহীদ ২৬/১০/২০২৪দারুন লেখা।।
-
উত্তম চক্রবর্তী ১৩/০৯/২০২৪অনন্য চেতনায় স্বচ্ছ আলো!
-
ড. শাহানারা মশিউর ০৮/০৯/২০২৪৩৫ বয়সী এক আরিফের মাঝে লুকিয়ে আছে সমাজের অগণিত আরিফ। ওরা কাজ খুঁজে কাজ করার অদম্য ইচ্ছে নিয়ে। কারণ কাজ ছাড়া পেটের ক্ষুুধা মেটানোর আর যে কোনো উপায় নেই। সে কাজ যদি না থাকে তাহলে জীবন বাঁচে কীভাবে?
তবুুও আরিফরা চুুরি ডাকাতি ও লুুটপাট করে না। নিয়তিকে মেনে নিয়ে জীবনকে এগিয়ে নেয় আগামীর দিকে। বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে অনন্য সুন্দর ও উপলব্ধিময় সৃজন। অবিরত শুভেচ্ছা প্রিয় কবি। -
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৫/০৯/২০২৪অনবদ্য
-
ফয়জুল মহী ০৪/০৯/২০২৪অসাধারণ হয়েছে লেখাটি