আমাদের দুর্যোগ
একটি বাস্তবতাকে অস্বীকার করতে পারছিনা, দীর্ঘ কর্মজীবনে ঘুরেছি বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলার প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে, নদীর পাশে, সমুদ্রের মুখের ভিতরে, ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশে, দূর্গম পাহাড় ও চর অঞ্চলে, এমনও নিজের চোখে দেখেছি নদীভাঙন আসন্ন, একরাত সময় পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ, তবুও ঘর ছাড়েননি মানুষ, ঘরের জিনিসপত্র সরাননি, অনেক নারীপ্রধান পরিবারে নেই যথেষ্ট লোকবল আর সামাজিক নেটওয়ার্ক,অনুসন্ধানী মন খোঁজ নিয়ে জানলাম, উনারা জীবিকার জন্যে নদীর পাড়, সাগরের তীরে আর পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছেন, এছাড়াও মুলভূখণ্ডে জমির দাম এখন আমাদের দেশে অনেক বেশি, যা প্রান্তিকের শ্রমজীবী মানুষের পক্ষে মালিকানা নেওয়া সম্ভব নয়, তাই তারা বেছে নিয়েছেন এইসব প্রান্তিক জনপদ...লজিস্টিকের দিক থেকে চিন্তা করলে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের মতো দূর্যোগের সময় এসব যায়গায় পৌঁছিয়ে ত্রান নিশ্চিত করা অত্যন্ত কঠিন কাজ, যে অভিজ্ঞতা আমার জীবনে হয়েছে...সাথে আছে আরও অন্যান্য ঝুঁকি। "ত্রান দূর্গত মানুষের অধিকার"... তাই প্রিপেয়ার্ডনেসের সময় বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হবে, Readiness,Response and Recovery এর জন্যে খসড়া পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি থাকতে হবে, এমনটা যেনো না হয় আমরা প্রস্তুত ছিলামনা...! কারণ প্রতিটি জীবন, প্রতিটি নাগরিক রাষ্ট্রের কাছে মুল্যবান...
তথ্য-উপাত্ত বলছে, আপনি চান অথবা না চান... আমাদের এই গাঙ্গেয় বদ্বীপে অসংখ্য দুর্যোগ অপেক্ষমান... আমরা কি প্রস্তুত?
তথ্য-উপাত্ত বলছে, আপনি চান অথবা না চান... আমাদের এই গাঙ্গেয় বদ্বীপে অসংখ্য দুর্যোগ অপেক্ষমান... আমরা কি প্রস্তুত?
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২৬/০৮/২০২৪বেশ
-
ফয়জুল মহী ২৫/০৮/২০২৪অনিন্দ সুন্দর লেখনী কবি। ♥♥
-
অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী ২৫/০৮/২০২৪ভালো থাকবেন