মৃত্যুর অপেক্ষায়
মৃত্যুর অপেক্ষায়
🌍🌎🌎🌏🌏🌏
রহিম মিয়ার বয়স ৮৫, অত্যন্ত অসুখে ভূগছেন তিনি, বার্ধক্যজনিত রোগ, এই যায়, এই যায়, কিন্তু মৃত্যু যেন হয়না, এদিকে কাজ ফেলে বড় জামাই বড় আমলা অপেক্ষমান আছেন, বড় মেয়ে শিক্ষিকা স্কুল কামাই দিচ্ছেন, মেজমেয়ের স্বামী ব্যবসা ফেলে এসেছেন, মেজমেয়ে গৃহিণী ভরা সংসার ফেলে বাপের বাড়িতে পড়ে আছেন, বড় ছেলের বিশাল কৃষি খামার আজ কদিন ব্যবসায় মন দিতে পারছেননা, উনি মারা গেলে সম্পত্তি ভাগাভাগির বিষয়টি চুড়ান্ত হবে...
বড় ছেলের ঘরের নাতি বিশব্বিদ্যালয়ের ক্লাস ফেলে তারপাশে উদবিগ্ন চোখে বসে আছে, কিন্তু রহিম মিয়ার মৃত্যু যে কেনো এতো পেছাচ্ছে, কারও আর তর সইছেনা... ওদিকে মৃত্যুর আগেই দুর্সম্পর্কের আত্মীয়দের কাছে তাঁর মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে গেছে, গুজব এক অদ্ভূত জিনিস! তারা মনে মনে মনকলা খেয়ে ভাবছে রহিম বুড়োর এই বিশাল সম্পত্তির হিস্যা মৃত্যুর পরে কে কতোটা পাবে? কেউ কেউ বলছে, অনেক সম্পত্তি হাত ছাড়া হয়ে যাবে, তারা দেখেছে এলাকার প্রতিপক্ষরা এসব দখল করে নেয়, আর সন্তানদের সম্পত্তি ভোগ করতে দেয়না, আর দেবেই বা না কেনো? রহিম মিয়ার মতো অতোটা বুদ্ধি, কুট কাঁচালি কি তার ছেলেমেয়েরা জানে, এসব শিখতেও তো সময় লাগে!
আমরা যারা ওর অল্পপরিচিত, আমরাও ওর মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকি, অনেকদিন তো হলো বুড়োটা পৃথিবীটাকে কুরে কুরে, ঢেঁকুর তুলে খেয়েছে, আর কতো, এবার নতুনদের যায়গা ছেড়ে দেওয়া চাই....
**লেখটি ৩ আগস্ট ২০২৪ লেখা, প্রকাশ করার সুযোগ পাচ্ছিলাম না নেট এর অভাবে, নেট পাওয়ার সাথে সাথে ফেসবুকে প্রকাশ করি... আমি মন্তব্যের থেকে মনোযোগী পাঠের উপর বিশ্বাসী...
🌍🌎🌎🌏🌏🌏
রহিম মিয়ার বয়স ৮৫, অত্যন্ত অসুখে ভূগছেন তিনি, বার্ধক্যজনিত রোগ, এই যায়, এই যায়, কিন্তু মৃত্যু যেন হয়না, এদিকে কাজ ফেলে বড় জামাই বড় আমলা অপেক্ষমান আছেন, বড় মেয়ে শিক্ষিকা স্কুল কামাই দিচ্ছেন, মেজমেয়ের স্বামী ব্যবসা ফেলে এসেছেন, মেজমেয়ে গৃহিণী ভরা সংসার ফেলে বাপের বাড়িতে পড়ে আছেন, বড় ছেলের বিশাল কৃষি খামার আজ কদিন ব্যবসায় মন দিতে পারছেননা, উনি মারা গেলে সম্পত্তি ভাগাভাগির বিষয়টি চুড়ান্ত হবে...
বড় ছেলের ঘরের নাতি বিশব্বিদ্যালয়ের ক্লাস ফেলে তারপাশে উদবিগ্ন চোখে বসে আছে, কিন্তু রহিম মিয়ার মৃত্যু যে কেনো এতো পেছাচ্ছে, কারও আর তর সইছেনা... ওদিকে মৃত্যুর আগেই দুর্সম্পর্কের আত্মীয়দের কাছে তাঁর মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে গেছে, গুজব এক অদ্ভূত জিনিস! তারা মনে মনে মনকলা খেয়ে ভাবছে রহিম বুড়োর এই বিশাল সম্পত্তির হিস্যা মৃত্যুর পরে কে কতোটা পাবে? কেউ কেউ বলছে, অনেক সম্পত্তি হাত ছাড়া হয়ে যাবে, তারা দেখেছে এলাকার প্রতিপক্ষরা এসব দখল করে নেয়, আর সন্তানদের সম্পত্তি ভোগ করতে দেয়না, আর দেবেই বা না কেনো? রহিম মিয়ার মতো অতোটা বুদ্ধি, কুট কাঁচালি কি তার ছেলেমেয়েরা জানে, এসব শিখতেও তো সময় লাগে!
আমরা যারা ওর অল্পপরিচিত, আমরাও ওর মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকি, অনেকদিন তো হলো বুড়োটা পৃথিবীটাকে কুরে কুরে, ঢেঁকুর তুলে খেয়েছে, আর কতো, এবার নতুনদের যায়গা ছেড়ে দেওয়া চাই....
**লেখটি ৩ আগস্ট ২০২৪ লেখা, প্রকাশ করার সুযোগ পাচ্ছিলাম না নেট এর অভাবে, নেট পাওয়ার সাথে সাথে ফেসবুকে প্রকাশ করি... আমি মন্তব্যের থেকে মনোযোগী পাঠের উপর বিশ্বাসী...
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
উত্তম চক্রবর্তী ২৩/০৯/২০২৪চমৎকার ধারণা পাওয়া যায়!
-
উত্তম চক্রবর্তী ১৩/০৯/২০২৪বাস্তবতার প্রতিফলন!
-
উত্তম চক্রবর্তী ১৩/০৯/২০২৪সুন্দর ভাবনার প্রতিফলন!
-
শ.ম. শহীদ ০৮/০৮/২০২৪আহারে সম্পদ!
দুঃসম্পর্কের আত্মীয়-সজনরাও অধীর আশায়! -
ফয়জুল মহী ০৮/০৮/২০২৪চমৎকার রচনাশৈলী।।
শুভকামনা রইল।।কবি