কতিপয় কাপুরুষ-৩
কতিপয় কাপুরুষ
########
ঘরের দরজা বন্ধ করে কাঁদছিলো ২৫ এর যুবক রাজন, মা-খালারা বড় শখ করে রেখেছেন এই নাম, সেদিন সদ্য পাওয়া চাকুরী থেকে ঘরে ফিরছিলো সে, এলাকায় ওরা নতুন, এলাকার শেষ প্রান্তে কিছু গাঁজা আসক্ত বিভিন্ন বয়সী লোকের আড্ডা, রাস্তার লোক, টং দোকানের খদ্দেরদের কাছে ফন্দীফিকির করে আয় করে গাঁজা খায়, সঙ্গে আছে আরও নাম না জানা নেশাদ্রব্যের ব্যবহার, পরিবারে অভুক্ত মা-বাবা, সন্তান-স্ত্রী...
রাজন মাদকমুক্ত যুবক, ঘৃণা করে ওদেরকে, চাঁদা চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে ওরা কয়েকবার, বাড়তি আয়ের জন্যে একটা কোচিং সেন্টার দেওয়ার আয়োজন করছে রাজন, হাতে তেমন কোনো ক্যাশ নেই, বেতনের টাকা দিয়ে একটু একটু করে আয়োজন করছে, আজ ফেরার পথে প্রথমে বিভিন্ন শব্দ করছিলো ওরা, রাজন বুঝতে পেরে চোখ গরম করে তাকালো ওদের দিকে, ওরা শার্টের কলার ধরলো প্রথমে, তর্ক বিতর্ক বাড়তে থাকলো, রাজন একা,
"মাল ছাড় না হলে এখানে ব্যবসা করতে দেবোনা, " রাজন জানে এদের হাত লম্বা,তাই এক পর্যায়ে তর্ক থামিয়ে দেয়, এদের হাত থেকে রেহাই পেতে চাইলো, পরিচিত একজন এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করলো ক্রমশ অবনতি হওয়া অবস্থা থেকে, লোকটা ঈশ্বরের দূত নাকি! কে জানে?
বাড়ি ফিরে কান্নায় ভেঙে পড়লো রাজন, মা কিছুই জানলোনা, তাঁর রজন আজ কাঁদছে, তার পরিমিত বোধের সন্তান, তার ভাবাদর্শে গড়ে উঠা মানুষ....
তারপর কয়েকজনকে ফোন করলো রাজন, সবাই যে মিথ্যে আশ্বাস দিচ্ছে এবং টাকা ফেললে সমাধান করে দেবে এমন ইঙ্গিত দিচ্ছে স্পষ্ট বুঝতে পারলো সে...
খুব অসহায় লাগছে নিজেকে, হঠাত মনে হলো, ফজলুর মাথায় জোরে রডের বাড়ি মেরে মাথা ফাটিয়ে দেবে সে, তাহলে, রিমন, লেমন, রকি....সবাইকে তো মারতে হবে!
যাদের কাছে একটু আগে বিচার চাইলো সে, মেরে ফেলতে হবে যে ওদেরকেও...
ক'জনকে হত্যা করবে রাজন!ক'জনকে হত্যা করা সম্ভব তার পক্ষে? এর পরের পরিণতিই বা কি? জেলের অন্ধকারে বাকীটা জীবন, বিচারহীন সময় পার, আর কিছুই ভাবতে পারছেনা রাজন, শুধু অন্ধ আক্রোশে গভীর রাত পর্যন্ত নির্ঘুম কেঁপে কেঁপে উঠছে তার নুহ্য শরীর, ভোর হোতে এখনও অনেক বাকি ...
########
ঘরের দরজা বন্ধ করে কাঁদছিলো ২৫ এর যুবক রাজন, মা-খালারা বড় শখ করে রেখেছেন এই নাম, সেদিন সদ্য পাওয়া চাকুরী থেকে ঘরে ফিরছিলো সে, এলাকায় ওরা নতুন, এলাকার শেষ প্রান্তে কিছু গাঁজা আসক্ত বিভিন্ন বয়সী লোকের আড্ডা, রাস্তার লোক, টং দোকানের খদ্দেরদের কাছে ফন্দীফিকির করে আয় করে গাঁজা খায়, সঙ্গে আছে আরও নাম না জানা নেশাদ্রব্যের ব্যবহার, পরিবারে অভুক্ত মা-বাবা, সন্তান-স্ত্রী...
রাজন মাদকমুক্ত যুবক, ঘৃণা করে ওদেরকে, চাঁদা চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে ওরা কয়েকবার, বাড়তি আয়ের জন্যে একটা কোচিং সেন্টার দেওয়ার আয়োজন করছে রাজন, হাতে তেমন কোনো ক্যাশ নেই, বেতনের টাকা দিয়ে একটু একটু করে আয়োজন করছে, আজ ফেরার পথে প্রথমে বিভিন্ন শব্দ করছিলো ওরা, রাজন বুঝতে পেরে চোখ গরম করে তাকালো ওদের দিকে, ওরা শার্টের কলার ধরলো প্রথমে, তর্ক বিতর্ক বাড়তে থাকলো, রাজন একা,
"মাল ছাড় না হলে এখানে ব্যবসা করতে দেবোনা, " রাজন জানে এদের হাত লম্বা,তাই এক পর্যায়ে তর্ক থামিয়ে দেয়, এদের হাত থেকে রেহাই পেতে চাইলো, পরিচিত একজন এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করলো ক্রমশ অবনতি হওয়া অবস্থা থেকে, লোকটা ঈশ্বরের দূত নাকি! কে জানে?
বাড়ি ফিরে কান্নায় ভেঙে পড়লো রাজন, মা কিছুই জানলোনা, তাঁর রজন আজ কাঁদছে, তার পরিমিত বোধের সন্তান, তার ভাবাদর্শে গড়ে উঠা মানুষ....
তারপর কয়েকজনকে ফোন করলো রাজন, সবাই যে মিথ্যে আশ্বাস দিচ্ছে এবং টাকা ফেললে সমাধান করে দেবে এমন ইঙ্গিত দিচ্ছে স্পষ্ট বুঝতে পারলো সে...
খুব অসহায় লাগছে নিজেকে, হঠাত মনে হলো, ফজলুর মাথায় জোরে রডের বাড়ি মেরে মাথা ফাটিয়ে দেবে সে, তাহলে, রিমন, লেমন, রকি....সবাইকে তো মারতে হবে!
যাদের কাছে একটু আগে বিচার চাইলো সে, মেরে ফেলতে হবে যে ওদেরকেও...
ক'জনকে হত্যা করবে রাজন!ক'জনকে হত্যা করা সম্ভব তার পক্ষে? এর পরের পরিণতিই বা কি? জেলের অন্ধকারে বাকীটা জীবন, বিচারহীন সময় পার, আর কিছুই ভাবতে পারছেনা রাজন, শুধু অন্ধ আক্রোশে গভীর রাত পর্যন্ত নির্ঘুম কেঁপে কেঁপে উঠছে তার নুহ্য শরীর, ভোর হোতে এখনও অনেক বাকি ...
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ০৯/০৯/২০২৪শুভ কামনা সতত।
-
আলমগীর সরকার লিটন ০৭/০৭/২০২৪শুভ কামনা
-
ফয়জুল মহী ০৬/০৭/২০২৪চমৎকার!
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৬/০৭/২০২৪নাইস