নুরীর বারোমাস
ও শোকার্ত হয়ে বললো, কালাম সওদাগর মারা গেছে আজ তিন দিন হোলো। ভেবেছিলাম নুরী যেভাবে দু:খ প্রকাশ করছে বুঝি বড় ভালো লোক ছিলো সে.......ও মা! ক ' দিন না যেতেই নুরী বললো, আল্লাহ তাকে তুলে নেওয়ায় বড় শান্তিতে আছি.... আমি সেদিনের কথার সাথে বিষয়টাকে মেলাতে পারলাম না.... ভেতরে ভেতরে বিস্মিত হোলাম.....মানুষ গুলো হয়তো এমন .....সত্য উচ্চারণে তাদের কিছু কৌশল আছে.... এ বুঝি তাদের বেঁচে থাকার কৌশল...
ফজরের আজানের সাথে তার সকাল শুরু হয়ে যায়, নামাজ, সারাদিনের রান্নাবান্না শেষ করতে হয় সাড়ে সাতটার মধ্যে, ওর কোন ছুটির দিন নেই, ছুটির দিন নেই বলেই ও এক একটি দিন মন না চাইলে ছুটি বানিয়ে নেয়, বলে ম্যাডাম ভীষণ জর অথবা মাথাব্যথা, ওপাশ থেকে ম্যাডাম কিছুক্ষণ থমকে থেকে, সৌজন্যহীন নিরবতায় ফোন রেখে দেয়।
স্যার দুর্ব্যবহার করলেও, নুরী মেনে নেয়, এই ডাক্তার ভদ্রলোকটি তার কাছে দেবতার মতো, তিন তিনটে রোগাপটকা ছেলেমেয়েদের কিছু হোলে ফ্রি চিকিৎসা মেলে, বাসি পুরনো ভাত সবজি তো আছেই, স্যারের ইনকাম যে কতো নুরী কল্পনাও করতে পারে না, স্যারের বউটা কেমন যেন, পানি ঢেলে খেতেও তার কষ্ট! ঘরময় ভরা থাকে হাজারো দামী দামী জিনিষে, একটা মানুষের এত্তো জিনিশপত্র লাগে! হুজুরের অনেক কথা তার মনে পড়ে যায় তখন...
সামনে বর্ষা আসছে.... এ মাসেই টিন পাল্টাতে হবে আর মাপ নেই, ম্যাডাম খুব কিপটে, কিন্তু তার কাছেই আদায় করতে হবে টিনের দাম....
বাহাত্তর বছরের বৃদ্ধ স্বামী তাকে অকুল পাথারে ভাসিয়ে ওপারে পাড়ি জমালো....মাথার উপর ছাতা ধরার কেউ নেই... বৃষ্টি তো নিয়ম করে আসবেই...নুরীকে তাই খাতির করেনা দামাল বৃষ্টি....
রাতগুলো ভয়ার্ত....শেয়ালের ডাক...কুকুরের গোঙানি.... দরজায় কে? শেয়াল না কুকুর? সাবধান! সাবধান! এতো মানুষ খেয়েও শেয়াল গুলোর ক্ষিধে মেটে না..... অন্ধকারে ঘাপটি মেরে থাকে বিধবার ভাঙা ঘরের দরজায়... বাচ্চাগুলো কবে বড় হবে? শেয়াল তাড়ানোর মতো বড়.....কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ব্যর্থ শেয়াল বেপাড়ায় চলে যায়....... নুরী জানে শেয়াল গুলো আবার আসবে....তার কচিকাচা বাচ্চাগুলো বড় হবে কবে......?
ফজরের আজানের সাথে তার সকাল শুরু হয়ে যায়, নামাজ, সারাদিনের রান্নাবান্না শেষ করতে হয় সাড়ে সাতটার মধ্যে, ওর কোন ছুটির দিন নেই, ছুটির দিন নেই বলেই ও এক একটি দিন মন না চাইলে ছুটি বানিয়ে নেয়, বলে ম্যাডাম ভীষণ জর অথবা মাথাব্যথা, ওপাশ থেকে ম্যাডাম কিছুক্ষণ থমকে থেকে, সৌজন্যহীন নিরবতায় ফোন রেখে দেয়।
স্যার দুর্ব্যবহার করলেও, নুরী মেনে নেয়, এই ডাক্তার ভদ্রলোকটি তার কাছে দেবতার মতো, তিন তিনটে রোগাপটকা ছেলেমেয়েদের কিছু হোলে ফ্রি চিকিৎসা মেলে, বাসি পুরনো ভাত সবজি তো আছেই, স্যারের ইনকাম যে কতো নুরী কল্পনাও করতে পারে না, স্যারের বউটা কেমন যেন, পানি ঢেলে খেতেও তার কষ্ট! ঘরময় ভরা থাকে হাজারো দামী দামী জিনিষে, একটা মানুষের এত্তো জিনিশপত্র লাগে! হুজুরের অনেক কথা তার মনে পড়ে যায় তখন...
সামনে বর্ষা আসছে.... এ মাসেই টিন পাল্টাতে হবে আর মাপ নেই, ম্যাডাম খুব কিপটে, কিন্তু তার কাছেই আদায় করতে হবে টিনের দাম....
বাহাত্তর বছরের বৃদ্ধ স্বামী তাকে অকুল পাথারে ভাসিয়ে ওপারে পাড়ি জমালো....মাথার উপর ছাতা ধরার কেউ নেই... বৃষ্টি তো নিয়ম করে আসবেই...নুরীকে তাই খাতির করেনা দামাল বৃষ্টি....
রাতগুলো ভয়ার্ত....শেয়ালের ডাক...কুকুরের গোঙানি.... দরজায় কে? শেয়াল না কুকুর? সাবধান! সাবধান! এতো মানুষ খেয়েও শেয়াল গুলোর ক্ষিধে মেটে না..... অন্ধকারে ঘাপটি মেরে থাকে বিধবার ভাঙা ঘরের দরজায়... বাচ্চাগুলো কবে বড় হবে? শেয়াল তাড়ানোর মতো বড়.....কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ব্যর্থ শেয়াল বেপাড়ায় চলে যায়....... নুরী জানে শেয়াল গুলো আবার আসবে....তার কচিকাচা বাচ্চাগুলো বড় হবে কবে......?
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শুভাশিষ আচার্য ১৫/০৩/২০১৬ভালো প্রয়াস। কিছু টাইপো ঠিক করে নিতে হবে।
-
নির্ঝর ২৮/০২/২০১৬khub valo
-
প্রদীপ চৌধুরী. ২৭/০২/২০১৬ভাল প্রকাশ
-
নির্ঝর ২৭/০২/২০১৬ভাল