একজন নারী ছাতা ও একটি কুকুর
অফিসে যাচ্ছিলাম,আকাশটা মেঘলা সাথে থেকে থেকে বৃষ্টি...এই ভোর বেলাটায় রাস্তায় রিকশায় করে যেতে আমার কি যে ভালো লাগে ...কাউকে বোঝানো যাবে না ...যাক ...সে বোধ আমার নিজেরই থাক...আমি প্রতিদিন এই সকালটায় নতুন মানুষ হয়ে যাই...একেবারে নতুন !আপনারাও কেউ কেউ হয়তো আমার সাথে একমত হবেন।সার্কিট হাউসের বাউন্ডারী জুড়ে পুরনো কালো কালো ঝাঊ গাছ, ধুসর সবুজ পাতা বেয়ে ঝরে ঝরে পড়ছে আদুরে স্ফটিক সাদা বৃষ্টিজল...আমার এমন হয়, আমি একবার পাহাড় দেখি একবার সবুজ ভেজা গাছগুলোকে দেখি...দেখি আদ্যাখলার মতো ...আমার এরকমই অভ্যাস ...রাস্তাঘাটের অবস্থা তেমন ভালো নয় ...আমি একটু নড়ে চড়ে বসতে গিয়ে দেখি একজন নারী মাথায় একটি চীনে ছাতা, বিলাসী নয় অভিজাত বেশবাস মনে হোলো... যদিও ওকে আমি পেছন থেকে একঝলক দেখলাম ...একটা কুকুর তাকে সমীহের সাথে অনুসরন করছে ...সবই একঝলকের জন্যে দেখা ...হঠাত আমার মনে হোলো আমি রিকশা থেকে নেমে যাই ...মাত্র একমূহুর্তের জন্যে অদেখা নারীকে একবার একঝলক দেখতে মন চাইলো ...চকিতে নিজেকে স্ংবরন করে নিলাম ...না থাক ...না এটা একদম শোভন নয় ...কিন্তু গোটা পথজুড়ে আমার মাথায় সেই গ্রামীণ গলিপথ- বৃষ্টিভেজা রাস্তা- সেই অজানা নারী তাকে অনুসরন করা কিশোর বয়সী সেই কুকুরটি- আমাকে আচ্ছন্ন করে রইলো ...
এই শহরে আমি এ নিয়ে তিনবার এলাম , তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি গত এক যুগে ...একযুগ আগে এই শহরটিকে আমি যেমনটি রেখে গেছিলাম শহরটি প্রায় তেমনি আছে ...এতোদিন পরে সেই গলিটাকে আমি কিভাবে আবার চিনে ফেললাম! কেনো স্মৃতির নিউরণ পেচিয়ে সেই নারী, সেই বৃষ্টিভেজা দিন আর সেই কুকুরটা- আমার স্মৃতিতে হানা দিলো ...মাঝখানে তো আমি অনেক অনেকটা মুল্যবান সময় পার করে এসেছি ...আজ সময় নিয়ে স্মৃতিকাতর মানুষের মতো-বুভূক্ষের মতো ঐ পথটা নিরীক্ষণ করলাম ...কেউ কোথাও নেই ...শুধু গলিপথ দিয়ে একটা ঠাণ্ডা বাউল বাতাস বয়ে গেলো ...আজ সকালে আয়নায় দেখলাম আমার বয়সটাও বেশ জানান দিচ্ছে ...
এই শহরে আমি এ নিয়ে তিনবার এলাম , তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি গত এক যুগে ...একযুগ আগে এই শহরটিকে আমি যেমনটি রেখে গেছিলাম শহরটি প্রায় তেমনি আছে ...এতোদিন পরে সেই গলিটাকে আমি কিভাবে আবার চিনে ফেললাম! কেনো স্মৃতির নিউরণ পেচিয়ে সেই নারী, সেই বৃষ্টিভেজা দিন আর সেই কুকুরটা- আমার স্মৃতিতে হানা দিলো ...মাঝখানে তো আমি অনেক অনেকটা মুল্যবান সময় পার করে এসেছি ...আজ সময় নিয়ে স্মৃতিকাতর মানুষের মতো-বুভূক্ষের মতো ঐ পথটা নিরীক্ষণ করলাম ...কেউ কোথাও নেই ...শুধু গলিপথ দিয়ে একটা ঠাণ্ডা বাউল বাতাস বয়ে গেলো ...আজ সকালে আয়নায় দেখলাম আমার বয়সটাও বেশ জানান দিচ্ছে ...
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২৬/১০/২০২৪বেশ সুন্দর
-
আরজু নাসরিন পনি ৩১/১০/২০১৩বেশ নস্টালজিক লেখা, সুমন ।
আর এই যে, পথে যেতে যেতে পথচারীকে দেখার ইচ্ছে ...আরেকবার, তেমনটি আমারও কখনো হয়েছে ।
মধুর স্মৃতিরা নাড়া দিয়ে যায় মনের গলিতে...
ভালো থাকুন, আলোর মাঝে... -
ডাঃ প্রবীর আচার্য নয়ন ২৪/০৯/২০১৩কিছু স্মৃতি বোধ হয় কখনো পাল্টায় না। বাবার স্নেহ, মায়ের আদর, ভাইয়ের সঙ্গ ও বোনের মমতার মতো। খুব সুন্দর স্মৃতিবিজরিত লেখা, ভালো লেগেছে
-
suman ২২/০৯/২০১৩বুঝতে পারছি ভালো লাগেনি ...ভালো না লাগতেই পারে...পড়ার জন্যে কৃতজ্ঞতা ...
-
দীপঙ্কর বেরা ২২/০৯/২০১৩গল্প কি......।। হবে হয়তো । পড়লাম ।
-
রোদের ছায়া ১৯/০৯/২০১৩সুন্দর গল্প। অল্প পরিসরে বেশ জমিয়ে দিয়েছেন ।