আমার মেঘময়
কেন মন খারাপ হয়ে যায়,কেনো আজকাল অবেলায় উচ্চরক্ত চাপের অনুভব? কোনো কিছু মেলাতে পারিনা ...আজ আকাশটা বেশী পরিষকার ঝক-ঝকে,আমি উড়াল দিতে ভালোবাসি মেঘময় দিনে ...ও হ্যাঁ !মেঘময় নামটা কেনো মনে এলো? আশ্চর্য্য ব্যাপার...ওকে প্রথম দেখে বলেছিলাম,"আপনার নামটা সাহিন না হয়ে 'মেঘময়' হলে ভালো হোতো"
" কেনো আপনার হঠাত আমাকে দেখে এমন কথা মনে হোলো ? জানতে পারি কি"
"না এখন নয় পরে বলবো .."
"পরে কেনো ? বলুন না ?"
জানতে পারবেন, তবে এখন নয়,হয়তো অন্য কোনোদিন ...আজ আসি,ঐ ঐখানে আমার বন্ধুরা আমার জন্যে অপেক্ষা করছে ...
সোমা চলে আয়...দূর থেকে আমার বন্ধুরা তখন ত্বারস্বরে ডাকছিলো ।
বিশেষ করে রাজীব ভীষনভাবে কি যেনো একটা ইংগিত করতে চাইলো ...সেইসময়টায় আমার মাঝে কোথায় যেনো একটা অস্থিরতা-রহস্যময়তা- ঘোর কাজ করছিলো...কিন্তু কেনো ?
"প্রকৃতি আমাদের নিয়ে সবসময় খেলছে,আমরা কি তার ইচ্ছের বাইরে কিছু করতে পারিনা ?"
রাজীব রেগে বলে," বিতর্কটা থামাবি,তুই না মাঝে-মধ্যে এতো bore করিস!"
আমি রেগে গিয়ে বলি,"তোর মতো একটা বোরিং ছেলে কিভাবে আমার ফ্রেন্ড হয় ...আমার বুদ্ধিতে কুলায় না "
ও মরা গলায় বললো, "এটা তোর ভাগ্য সোমা,unavoidable,দ্যাখ সেই ছোটবেলা থেকে পাশাপাশি বাড়ীতে বড় হোওয়া.....এমনকি তোর পোড়াকপাল আমরা দুজন একই university তে পড়ছি ...তোর কপালটা আসলে খারাপ রে ...
রাজীবের ইংগিত্গুলো যে আমি বুঝতে পারি না অতোটা বোকা আমি না,কিন্তু প্রসংগ ঘুরাতে আমি ওস্তাদ । বললাম,রাজীব ঐ যে ছেলেটা দেখছিস না,ও না দারূণ interesting, ওকে দেখলে আমার চিতকার করে ডাকতে ইচ্ছে করে," মেঘময়....."
রাজীবের ভীষন ফর্ষা মুখটা মূহুর্তে দেখার অযোগ্য হয়ে যায় ।
এছাড়া আমার কোনো উপায় ছিলো না,ওকে আমার জাস্ট বোরিং লাগে , ওর পক্ষথেকে ইদানিং বাড়াবাড়িটা ...
মেঘময়কে দেখলে আমার মনে হয় ঘোর শ্রাবনের অন্ধকার হয়ে আসা কালো আকাশ ...কোথায় যেনো কিসের একটা ষড়যন্ত্র চলছে...একটুবাদেই কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে ...
সাহিন যেদিন ব্যাখ্যাটা আমার কাছ থেকে পেলো,মুখে একটা মৃদু হাসি কষ্ট করে ফুটিয়ে তুলেছিলো,ওকে আমি ঠিক পড়তে পারতাম না...তারপরও কি অসম্ভব সব কান্ড-অকাণ্ড ঘটে যেতে লাগলো ...আমার হাতে কোনো কিছুর লাগাম ছিলো না যেনো ,আমি নিজেকে এক আদিম মাঝীর মতো ধুম বৃষ্টিতে নাও ভাসিয়ে নিরুদ্দেশের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিলাম ....
মেঘময়ের বাইরেটাই কি শুধু কালো ছিলো ?
অনেক দিন হয় সাহিনের কোনো খোঁজ-খবর নেই ...আমি আর রাজীব এক বৃষ্টিময় বিকেলে সাহিনকে খুঁজতে বের হোলাম,রাজীব আমার সাথে আসতে একটুও রাজি ছিলো না,ও সাহিনকে দুচোখে দেখতে পারতো না,অদ্ভূত সব আচরণ করতো ওকে দেখলে,আমার বুদ্ধি-সুদ্ধি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করতো ,আমি বলতাম,rajib u r just zealous!
হঠাত চারদিক অন্ধকার করে বৃষ্টি নামলো,আমি আমার মেঘময়কে পাগলের মতো গোটা ক্যাম্পাস্জুড়ে খুঁজ্ছি ...ওখানে কারা...খুবঘনিষ্ঠ দুজন মানুষ!
না,ও আমার মেঘময় হোতে পারে না ...আমি বৃষ্টির মাঝে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছি ...সন্ধ্যার অন্ধকার আমাকে যেনো গ্রাস করে ফেলছে ...আমার পৃথিবী অন্ধকার হয়ে আসছে
রাজীব তুই আমার দৃষ্টিসীমার থেকে সরে যা বলছি ...আমি তোর মুখ দেখতে চাই না ...প্লিজ রাজীব ...আমাকে একটু একা বাঁচতে দে ...তোর দোহাই ...আমাকে একটু দয়া কর ...
" কেনো আপনার হঠাত আমাকে দেখে এমন কথা মনে হোলো ? জানতে পারি কি"
"না এখন নয় পরে বলবো .."
"পরে কেনো ? বলুন না ?"
জানতে পারবেন, তবে এখন নয়,হয়তো অন্য কোনোদিন ...আজ আসি,ঐ ঐখানে আমার বন্ধুরা আমার জন্যে অপেক্ষা করছে ...
সোমা চলে আয়...দূর থেকে আমার বন্ধুরা তখন ত্বারস্বরে ডাকছিলো ।
বিশেষ করে রাজীব ভীষনভাবে কি যেনো একটা ইংগিত করতে চাইলো ...সেইসময়টায় আমার মাঝে কোথায় যেনো একটা অস্থিরতা-রহস্যময়তা- ঘোর কাজ করছিলো...কিন্তু কেনো ?
"প্রকৃতি আমাদের নিয়ে সবসময় খেলছে,আমরা কি তার ইচ্ছের বাইরে কিছু করতে পারিনা ?"
রাজীব রেগে বলে," বিতর্কটা থামাবি,তুই না মাঝে-মধ্যে এতো bore করিস!"
আমি রেগে গিয়ে বলি,"তোর মতো একটা বোরিং ছেলে কিভাবে আমার ফ্রেন্ড হয় ...আমার বুদ্ধিতে কুলায় না "
ও মরা গলায় বললো, "এটা তোর ভাগ্য সোমা,unavoidable,দ্যাখ সেই ছোটবেলা থেকে পাশাপাশি বাড়ীতে বড় হোওয়া.....এমনকি তোর পোড়াকপাল আমরা দুজন একই university তে পড়ছি ...তোর কপালটা আসলে খারাপ রে ...
রাজীবের ইংগিত্গুলো যে আমি বুঝতে পারি না অতোটা বোকা আমি না,কিন্তু প্রসংগ ঘুরাতে আমি ওস্তাদ । বললাম,রাজীব ঐ যে ছেলেটা দেখছিস না,ও না দারূণ interesting, ওকে দেখলে আমার চিতকার করে ডাকতে ইচ্ছে করে," মেঘময়....."
রাজীবের ভীষন ফর্ষা মুখটা মূহুর্তে দেখার অযোগ্য হয়ে যায় ।
এছাড়া আমার কোনো উপায় ছিলো না,ওকে আমার জাস্ট বোরিং লাগে , ওর পক্ষথেকে ইদানিং বাড়াবাড়িটা ...
মেঘময়কে দেখলে আমার মনে হয় ঘোর শ্রাবনের অন্ধকার হয়ে আসা কালো আকাশ ...কোথায় যেনো কিসের একটা ষড়যন্ত্র চলছে...একটুবাদেই কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে ...
সাহিন যেদিন ব্যাখ্যাটা আমার কাছ থেকে পেলো,মুখে একটা মৃদু হাসি কষ্ট করে ফুটিয়ে তুলেছিলো,ওকে আমি ঠিক পড়তে পারতাম না...তারপরও কি অসম্ভব সব কান্ড-অকাণ্ড ঘটে যেতে লাগলো ...আমার হাতে কোনো কিছুর লাগাম ছিলো না যেনো ,আমি নিজেকে এক আদিম মাঝীর মতো ধুম বৃষ্টিতে নাও ভাসিয়ে নিরুদ্দেশের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিলাম ....
মেঘময়ের বাইরেটাই কি শুধু কালো ছিলো ?
অনেক দিন হয় সাহিনের কোনো খোঁজ-খবর নেই ...আমি আর রাজীব এক বৃষ্টিময় বিকেলে সাহিনকে খুঁজতে বের হোলাম,রাজীব আমার সাথে আসতে একটুও রাজি ছিলো না,ও সাহিনকে দুচোখে দেখতে পারতো না,অদ্ভূত সব আচরণ করতো ওকে দেখলে,আমার বুদ্ধি-সুদ্ধি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করতো ,আমি বলতাম,rajib u r just zealous!
হঠাত চারদিক অন্ধকার করে বৃষ্টি নামলো,আমি আমার মেঘময়কে পাগলের মতো গোটা ক্যাম্পাস্জুড়ে খুঁজ্ছি ...ওখানে কারা...খুবঘনিষ্ঠ দুজন মানুষ!
না,ও আমার মেঘময় হোতে পারে না ...আমি বৃষ্টির মাঝে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছি ...সন্ধ্যার অন্ধকার আমাকে যেনো গ্রাস করে ফেলছে ...আমার পৃথিবী অন্ধকার হয়ে আসছে
রাজীব তুই আমার দৃষ্টিসীমার থেকে সরে যা বলছি ...আমি তোর মুখ দেখতে চাই না ...প্লিজ রাজীব ...আমাকে একটু একা বাঁচতে দে ...তোর দোহাই ...আমাকে একটু দয়া কর ...
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১২/০৮/২০২৪দারুণ
-
রোদের ছায়া ১৯/০৯/২০১৩বাহ! খুব সুন্দর গল্প ।
-
মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস ১৪/০৯/২০১৩কবি কেমন আছেন?
-
এডমিন ১৪/০৯/২০১৩লেখাটি ইংরেজী হরফের পরিবর্তে বাংলা হরফে দিন।