একটি সুখের গল্প ১
চারিদিকে নেতি কেবল নেতিবাচক কথা তাই আজ শোনাবো একটি সুখের গল্প, আমার মনে হয় আপনাদের মন্দ লাগবে না।
আমার বাবার চাকুরিতে হঠাত কি একটা প্রব্লেম হোলো ,তখন ঠিক বুঝিনি, আমি, মা আর আমার দুই ভাই চলে এলাম দাদার বাড়ীতে , আমি আজ বুঝতে পারি দূর্দিনে পারিবারীক সাপোর্টের বিকল্প নেই...সবাই মিলে তিনতলা আমাদের জন্যে খালী করে দিলো ,যদিও এই বাড়িতে বাবার contribution ছিলো ...
মা আর আমি বারান্দায় চা খাচ্ছিলাম, আমি higher secondary দিয়ে রেজাল্টের অপেক্ষায় ...মা খুব টেনসনে আছেন, আর ঘুরে ফিরে অন্যমনসক হয়ে যাচ্ছেন ...এমন সময় নীচে রাতুলের গলা পেলাম ...এতো বদলে গেছে ওর গলা চেনাই যায়না,
আমাদের ভেতর বাড়িতে নানা ধরনের ফুল গাছ...সব দাদার হাতে লাগানো ।।দাদা খুব শৌখিণ পরিপাটি একজন মানুষ , তাই তো বাবাও খুব গুছিয়ে থাকেন , আমাদের বাসার সবাই পোশাক সচেতন , মা সব সময় ম্যাচিং করে দারুণ দারুণ টাঙ্গাইলের শাড়ী পরেন ...মায়ের এই ম্যাচিং সেন্স আমার মাঝেও কাজ করে ...সেদিন পেস্ট কালারের একটা থ্রিপিস পরে ছিলাম আমি , যদিও সেটা ছিলো ক্যাজুয়াল ... আমাকে দেখে রাতুলের চোখ ফেরাতে কষ্ট হচ্ছিলো,আমি টের পাচ্ছিলাম,কিন্তু সেদিন পাত্তা দিলাম না ওকে , একটু উদাসীনতাই দেখালাম ,এটা আমার একটা খেলা ...
ও অনেক খাবার এনেছে ...পাঠিয়েছে ওর মা, আমার মায়ের সাথে ওর মায়ের সখ্যতার কথা না বললেই নয় ,ওরা ইনডোর গেমস থেকে শুরু করে গলা মিলিয়ে রবীন্দ্র-নজরুল একসাথে গেয়ে উঠেন এখনো...মা ওঁর ডাকপেলেই দ্বিধা করেন না কখনো, দ্রত গুছিয়ে নিয়ে দরবারে হাজির ...
মা রাতুলকে বললেন, তুই কিছু খেয়ে নে বাবা ...
'না আন্টি আমি কিছু খাবো না ...'
'কি বলে ছেলে খালি মুখে যাবে ।।মা কি বলবে ! ঋতু ওর জন্যে একবাটি আমন্ড আন তো ...'
মাও আমাদের বাড়ীর কিছু উপহার ওর সাথে দিয়ে দিলেন ...
এই শহরে গুটিকয় লোকের নিজস্ব ব্যবহারের গাড়ী আছে তাদের মধ্যে ওদের পরিবার পড়ে...
রাতুল বেশ ড্রাইভিং শিখে নিয়েছে...ওদের পুরনো ড্রাইভারের কাছ থেকে ...হুস করে ও অদৃশ্য হয়ে গেলো...
আন্টি আমাদেরকে নেওয়ার জন্যে গাড়ী পাঠালো, আর আমি অনেকদিন বাদে ওদের বাড়ীতে এলাম...মফস্বল সম্পর্কে মা আমাকে তেমন কোনো ভালো ধারণা দেননি ,,,তাই চারদিকে ভালো কিছু খুজে পেতে আমার কষ্ট হচ্ছিলো ...ওদের বিশাল বাড়িতে ঢুকে তো আমার কেবল অবাক হওয়ার পালা ...
ও মা! এটা কি বাড়ি না রীতিমতো দর্শণীয় স্থান ...মা আন্টিদের বাড়িটা এতো সুন্দর ...
মা বললেন সুন্দরই তো ...তোর ভালো লেগেছে ?
লামার ঐ টুরিষ্ট স্পটের মতো তাইনা মা ?
হ্যা , তোমার আংকেল এটাকে রেনোভেট করেছেন ,ওরা তিন জেনারেশন ধরে অনেক কিছু মেনটেইন করছেন ...
গাড়ি এসে ওদের গ্যারেজে পৌছালো ...
(চলবে )
আমার বাবার চাকুরিতে হঠাত কি একটা প্রব্লেম হোলো ,তখন ঠিক বুঝিনি, আমি, মা আর আমার দুই ভাই চলে এলাম দাদার বাড়ীতে , আমি আজ বুঝতে পারি দূর্দিনে পারিবারীক সাপোর্টের বিকল্প নেই...সবাই মিলে তিনতলা আমাদের জন্যে খালী করে দিলো ,যদিও এই বাড়িতে বাবার contribution ছিলো ...
মা আর আমি বারান্দায় চা খাচ্ছিলাম, আমি higher secondary দিয়ে রেজাল্টের অপেক্ষায় ...মা খুব টেনসনে আছেন, আর ঘুরে ফিরে অন্যমনসক হয়ে যাচ্ছেন ...এমন সময় নীচে রাতুলের গলা পেলাম ...এতো বদলে গেছে ওর গলা চেনাই যায়না,
আমাদের ভেতর বাড়িতে নানা ধরনের ফুল গাছ...সব দাদার হাতে লাগানো ।।দাদা খুব শৌখিণ পরিপাটি একজন মানুষ , তাই তো বাবাও খুব গুছিয়ে থাকেন , আমাদের বাসার সবাই পোশাক সচেতন , মা সব সময় ম্যাচিং করে দারুণ দারুণ টাঙ্গাইলের শাড়ী পরেন ...মায়ের এই ম্যাচিং সেন্স আমার মাঝেও কাজ করে ...সেদিন পেস্ট কালারের একটা থ্রিপিস পরে ছিলাম আমি , যদিও সেটা ছিলো ক্যাজুয়াল ... আমাকে দেখে রাতুলের চোখ ফেরাতে কষ্ট হচ্ছিলো,আমি টের পাচ্ছিলাম,কিন্তু সেদিন পাত্তা দিলাম না ওকে , একটু উদাসীনতাই দেখালাম ,এটা আমার একটা খেলা ...
ও অনেক খাবার এনেছে ...পাঠিয়েছে ওর মা, আমার মায়ের সাথে ওর মায়ের সখ্যতার কথা না বললেই নয় ,ওরা ইনডোর গেমস থেকে শুরু করে গলা মিলিয়ে রবীন্দ্র-নজরুল একসাথে গেয়ে উঠেন এখনো...মা ওঁর ডাকপেলেই দ্বিধা করেন না কখনো, দ্রত গুছিয়ে নিয়ে দরবারে হাজির ...
মা রাতুলকে বললেন, তুই কিছু খেয়ে নে বাবা ...
'না আন্টি আমি কিছু খাবো না ...'
'কি বলে ছেলে খালি মুখে যাবে ।।মা কি বলবে ! ঋতু ওর জন্যে একবাটি আমন্ড আন তো ...'
মাও আমাদের বাড়ীর কিছু উপহার ওর সাথে দিয়ে দিলেন ...
এই শহরে গুটিকয় লোকের নিজস্ব ব্যবহারের গাড়ী আছে তাদের মধ্যে ওদের পরিবার পড়ে...
রাতুল বেশ ড্রাইভিং শিখে নিয়েছে...ওদের পুরনো ড্রাইভারের কাছ থেকে ...হুস করে ও অদৃশ্য হয়ে গেলো...
আন্টি আমাদেরকে নেওয়ার জন্যে গাড়ী পাঠালো, আর আমি অনেকদিন বাদে ওদের বাড়ীতে এলাম...মফস্বল সম্পর্কে মা আমাকে তেমন কোনো ভালো ধারণা দেননি ,,,তাই চারদিকে ভালো কিছু খুজে পেতে আমার কষ্ট হচ্ছিলো ...ওদের বিশাল বাড়িতে ঢুকে তো আমার কেবল অবাক হওয়ার পালা ...
ও মা! এটা কি বাড়ি না রীতিমতো দর্শণীয় স্থান ...মা আন্টিদের বাড়িটা এতো সুন্দর ...
মা বললেন সুন্দরই তো ...তোর ভালো লেগেছে ?
লামার ঐ টুরিষ্ট স্পটের মতো তাইনা মা ?
হ্যা , তোমার আংকেল এটাকে রেনোভেট করেছেন ,ওরা তিন জেনারেশন ধরে অনেক কিছু মেনটেইন করছেন ...
গাড়ি এসে ওদের গ্যারেজে পৌছালো ...
(চলবে )
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ০৬/১১/২০১৩চমৎকার হয়েছে।চালিয়ে যান।
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ০৬/১১/২০১৩চমৎকার হয়েছে।চালিয়ে যান।
-
দীপঙ্কর বেরা ০৬/১১/২০১৩Besh bhlo i to laglo
-
আহমাদ সাজিদ ০৫/১১/২০১৩মনে হয় জমবে.....
-
জহির রহমান ০৫/১১/২০১৩...চলবে।
এ পর্যন্ত ভালো লেগেছে।
আপনার জন্য শুভকামনা এবং পরবর্তী পোস্টের জন্য অপেক্ষা...