মা-হাতীর ভালোবাসা
সাপের মতো এঁকে বেঁকে চলে গেছে রেলপথ। রেলপথের দুপাশে বিশাল বন। এ বনে থাকে অনেক জীবজন্তু। থাকে হাতীও। হাতীরা দলবেধে চলে সবসময়। বাচ্চা হাতীদের খুব আদর করে দলের বড়রা। বাচ্চা হাতীরা খুব দুষ্টুমি করে। তারা এলোমেলো ছুটোছুটি করে। বাচ্চারা চোখের একটু আড়াল হলেই পাগলের মতো খুঁজতে থাকে দলের সবাই। রাজার মতো চালচলন তাদের। বড় সুখী সুখী ভাব।
একদিন একটি বড় অঘটন ঘটে গেল। হাতীর দলটি রেলপথের এপাশ থেকে যাচ্ছে ওপাশে।
এমন সময় দেখে একটি ট্রেন আসছে হুইসেল দিতে দিতে। হাতীর দলের সবাই রেলপথ পার হয়ে গেল। একটি বাচ্চা হাতী পড়ে রইল পেছনে। বাচ্চাটি যখন দেখল তার দলের সবাই ওপারে চলে গেছে, তখন সে বেহঁশের মতো দৌড়াতে লাগল। রেলগাড়িটি চলে আসছে প্রায় কাছাকাছি। তার কোনো খেয়াল নেই। সে দৌড়াতে দৌড়াতে উঠে পড়ল রেললাইনে। চলে এলো ট্রেনটিও। অল্পের জন্য পার হতে পারল না হতভাগা দুষ্টু বাচ্চা হাতীটি। সে মাথায় ইঞ্জিনের বাড়ি খেয়ে পড়ে গেল একপাশে। দলের সবাই
ছুটে এসে চারদিকে ঘিরে রাখল তাকে। শূঁড় দিয়ে অনেক আদর করল তাকে। টেনে তুলতে চাইল বারবার। কিছুতেই কিছু হলো না। মরে পড়ে রইল আদরের বাচ্চা হাতীটি।
বাচ্চা হাতীটিকে ঘিরে সারাদিন দাঁড়িয়ে রইল দলের সবাই। সবার মন খুব খারাপ হয়ে আছে। হাতীগুলোর চোখ বেয়ে পড়ছে পানি। মৃত বাচ্চার শরীর ভিজে গেছে হাতীদের চোখের পানিতে। মা হাতীটি তার শুঁড় ফেলে রেখেছে বাচ্চাটির ওপর।
একটু পর পর মৃত বাচ্চাটির সমস্ত শরীরে শূঁড়ের আদর বুলিয়ে দিচ্ছে মা।
এ পথ ধরে হুইসেল দিতে দিতে চলে গেল আরো কয়েকটি ট্রেন। হাতীগুলি যেন টেরই পায়নি। বিপরীত দিক থেকে একটি ট্রেন আসছে। খুব ঘন ঘন হুইসেল দিচ্ছে ট্রেনটি। হঠাৎ করে মা হাতীটি কেমন জানি চিৎকার করে উঠল। খুব কষ্টের চিৎকার। সবার শূঁড় উপরে উঠে গেল, কান খাড়া হয়ে গেল। দেখত দেখতে ভয়ংকর রূপ ধরল হাতীর দলটি। তারা রেললাইনের ঠিক মাঝামাঝি গিয়ে দাঁড়ালো শক্ত ভাবে।
ঘাতক ট্রেনটি আসছে খুব বেগে। চলে আসছে একদম কাছে। প্রচণ্ড গতিতে ট্রেনটি অতিক্রম করে চলে গেল। সরে গেল দলের সবাই । সরলো না একজন। দুই টুকরো হয়ে পড়ে রইল মা হাতীটি।
একদিন একটি বড় অঘটন ঘটে গেল। হাতীর দলটি রেলপথের এপাশ থেকে যাচ্ছে ওপাশে।
এমন সময় দেখে একটি ট্রেন আসছে হুইসেল দিতে দিতে। হাতীর দলের সবাই রেলপথ পার হয়ে গেল। একটি বাচ্চা হাতী পড়ে রইল পেছনে। বাচ্চাটি যখন দেখল তার দলের সবাই ওপারে চলে গেছে, তখন সে বেহঁশের মতো দৌড়াতে লাগল। রেলগাড়িটি চলে আসছে প্রায় কাছাকাছি। তার কোনো খেয়াল নেই। সে দৌড়াতে দৌড়াতে উঠে পড়ল রেললাইনে। চলে এলো ট্রেনটিও। অল্পের জন্য পার হতে পারল না হতভাগা দুষ্টু বাচ্চা হাতীটি। সে মাথায় ইঞ্জিনের বাড়ি খেয়ে পড়ে গেল একপাশে। দলের সবাই
ছুটে এসে চারদিকে ঘিরে রাখল তাকে। শূঁড় দিয়ে অনেক আদর করল তাকে। টেনে তুলতে চাইল বারবার। কিছুতেই কিছু হলো না। মরে পড়ে রইল আদরের বাচ্চা হাতীটি।
বাচ্চা হাতীটিকে ঘিরে সারাদিন দাঁড়িয়ে রইল দলের সবাই। সবার মন খুব খারাপ হয়ে আছে। হাতীগুলোর চোখ বেয়ে পড়ছে পানি। মৃত বাচ্চার শরীর ভিজে গেছে হাতীদের চোখের পানিতে। মা হাতীটি তার শুঁড় ফেলে রেখেছে বাচ্চাটির ওপর।
একটু পর পর মৃত বাচ্চাটির সমস্ত শরীরে শূঁড়ের আদর বুলিয়ে দিচ্ছে মা।
এ পথ ধরে হুইসেল দিতে দিতে চলে গেল আরো কয়েকটি ট্রেন। হাতীগুলি যেন টেরই পায়নি। বিপরীত দিক থেকে একটি ট্রেন আসছে। খুব ঘন ঘন হুইসেল দিচ্ছে ট্রেনটি। হঠাৎ করে মা হাতীটি কেমন জানি চিৎকার করে উঠল। খুব কষ্টের চিৎকার। সবার শূঁড় উপরে উঠে গেল, কান খাড়া হয়ে গেল। দেখত দেখতে ভয়ংকর রূপ ধরল হাতীর দলটি। তারা রেললাইনের ঠিক মাঝামাঝি গিয়ে দাঁড়ালো শক্ত ভাবে।
ঘাতক ট্রেনটি আসছে খুব বেগে। চলে আসছে একদম কাছে। প্রচণ্ড গতিতে ট্রেনটি অতিক্রম করে চলে গেল। সরে গেল দলের সবাই । সরলো না একজন। দুই টুকরো হয়ে পড়ে রইল মা হাতীটি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সুমাইয়া বরকতউল্লাহ্ ৩১/১২/২০১৩সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
-
মোখলেছুর রহমান ২৯/১২/২০১৩মন্তব্য করার মত হাতীটি চলে গেছে!
-
মুজিবুর রহমান মুনীর ১৭/১২/২০১৩বলতে হয় গল্প লেখার হাত আছে আপনার ।
গল্পটি পড়ে আমার চোখ অশ্রুত হল।
আপনাকে অন্তরের সালাম রইলো। -
אולי כולנו טועים ১৪/১২/২০১৩অসাধারণ লেখনী l
-
ইসমাত ইয়াসমিন ১৪/১২/২০১৩মায়ের তুলনা মা নিজেই। গল্পটি আগে ও পড়েছি, আবার ও পড়লাম, ভাল লাগল।
-
জি,মাওলা ১৪/১২/২০১৩মা মাই , তা যে কারও হক না । love u ma
-
জি,মাওলা ১৪/১২/২০১৩মা মাই , তা যে কারও হক না । love u ma
-
জি,মাওলা ১৪/১২/২০১৩মা মাই , তা যে কারও হক না । love u ma