ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা আর কিছু অভিজ্ঞতা
তখন হয়ত ক্লাস নাইনে পড়ি। আমাদের এলাকায় প্রতি বাড়ি বাড়ি ফাইলরিয়া আর ক্রিমির ওষুধ খাওয়ানের জন্য ইউনিয়নের সাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কর্মচারী আমাদের স্কুলের গুটিকয়েক স্টুডেন্টকে ধরে বসল। সেই হতভাগ্য বা সৌভাগ্যবানদের মধ্যে আমিও ছিলাম। হতভাগ্য বলছি এই কারনে যে সারাদিন রোদের মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এইরকম ওষুধ খাওয়ানোটা যে কি প্যারাময় কাজ তা না করলে বোঝা সম্ভম না (হেলথের কর্মচারীরা যে কিভাবে করে তা আল্লাহই ভাল জানে, আমি হলে দুই দিনেই ছেড়ে ছুড়ে দিয়ে হালচাষে মন দিতাম) আর সৌভাগ্যবান বলছি এই কারনে যে পকেটে সামান্য কিছু টাকা এসেছিল। রাস্তায় একটা টাকা কুড়িয়ে পাওয়া আর বাবার পকেট থেকে দুই চার টাকা চুরি করাকে না ধরলে জীবনের প্রথম ইনকামও বলতে পারেন। টাকার চেয়ে আর যেটা মুল্যবান তা হল কিছু মজার ঘটনা যা মনে পড়ায় আমার গার্লফ্রেন্ড যেদিন স্যাকা দিয়ে আমার সামনে দিয়ে পেছন ফিরে না তাকিয়ে চলে গেল তখনও হেসেছিলাম। ঘটনাগুলো শেয়ার করব ভাবছি।
ঘটনা ১- আমি আর রেজাউল ভাই ( আমার পার্টনার বা বাড়ি বাড়ি ঘোরার সঙ্গী বলতে পারেন) গেলাম এক বাড়িতে ওষুধ খাওয়াতে - টিনশেড ঘর, উঠানেই আমগাছ, তার নিচেই বাড়ির কর্তা মাদুর পেতে শুয়ে আছে, গিন্নিকে বাড়িতে দেখলাম না- একটু দূরে দেখলাম ২-৩ জন ছেলেমেয়ে খাপরা (মাটির ভাঙা বাসনকোসনের খণ্ডিত অংশ দ্বারা একপ্রকার খেলা) খেলছে। যাহোক ওষুধ দেওয়ার প্রথম ধাপ অনুযায়ী বাড়ির কর্তাকে জিগ্যেস করলাম- আপনার নামঃ আয়ুব আলী
স্ত্রীর নামঃ মানে পরিবারের কতা কইতেচেন?
আমি হ্যাঁসূচক মাথা নাড়লে সে বললঃ ও তো পাশের বাড়ি পানি আনব্যার গেচে এহুনি আইস্যা পড়ব ওর কাছে শুইনেন।
কি আর করা যাবে বেচারা যেহেতু স্ত্রীর নাম বলতে লজ্জা পাচ্ছে আমাদের অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নাই। তারপর রেজাউল ভাই প্রশ্ন করলেন- কয় ছেলেমেয়েঃ ২ ছেলে ৩ মেয়ে
নাম বলেনঃ বড় ছাওয়ালের নাম আক্কাস ছোটটার নাম মবিন
আর বড় মাইয়ার নাম সালমা , মাইঝাটার নাম লালবানু আর ছোট টার নাম ... ছোটটার নাম......মাথা চুলকাতে চুলকাতে বলল- ওর মা আসুক হের কাছ থিকে শুইনেন।
....................................................................................।।চলবে?.........মন্তব্যে জানাবেন
ঘটনা ১- আমি আর রেজাউল ভাই ( আমার পার্টনার বা বাড়ি বাড়ি ঘোরার সঙ্গী বলতে পারেন) গেলাম এক বাড়িতে ওষুধ খাওয়াতে - টিনশেড ঘর, উঠানেই আমগাছ, তার নিচেই বাড়ির কর্তা মাদুর পেতে শুয়ে আছে, গিন্নিকে বাড়িতে দেখলাম না- একটু দূরে দেখলাম ২-৩ জন ছেলেমেয়ে খাপরা (মাটির ভাঙা বাসনকোসনের খণ্ডিত অংশ দ্বারা একপ্রকার খেলা) খেলছে। যাহোক ওষুধ দেওয়ার প্রথম ধাপ অনুযায়ী বাড়ির কর্তাকে জিগ্যেস করলাম- আপনার নামঃ আয়ুব আলী
স্ত্রীর নামঃ মানে পরিবারের কতা কইতেচেন?
আমি হ্যাঁসূচক মাথা নাড়লে সে বললঃ ও তো পাশের বাড়ি পানি আনব্যার গেচে এহুনি আইস্যা পড়ব ওর কাছে শুইনেন।
কি আর করা যাবে বেচারা যেহেতু স্ত্রীর নাম বলতে লজ্জা পাচ্ছে আমাদের অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নাই। তারপর রেজাউল ভাই প্রশ্ন করলেন- কয় ছেলেমেয়েঃ ২ ছেলে ৩ মেয়ে
নাম বলেনঃ বড় ছাওয়ালের নাম আক্কাস ছোটটার নাম মবিন
আর বড় মাইয়ার নাম সালমা , মাইঝাটার নাম লালবানু আর ছোট টার নাম ... ছোটটার নাম......মাথা চুলকাতে চুলকাতে বলল- ওর মা আসুক হের কাছ থিকে শুইনেন।
....................................................................................।।চলবে?.........মন্তব্যে জানাবেন
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
প্রবাসী পাঠক ২৬/১২/২০১৩
-
אולי כולנו טועים ২৫/১২/২০১৩choluk ... besh valo laglo ..
-
এফ সাকি ২৫/১২/২০১৩ফাইলরিয়া কি রোগ ফাইলেরিয়া বুঝি।আপনার সাস্থ্যই তো রোগাক্রান্ত।আর যে স্যাকা খেয়েছেন।একটু খেয়াল করলে আরো সুন্দর হবে।এগিয়ে যান আরো সামনে।
চলুক..................