রাত্রি
সন্ধ্যার পরে নামে রাত্রি
আমি চলে যাই লক্ষকোটি বছর আগে
কোন এক ক্ষুদ্র গুহায়
আস্তে আস্তে রাত নিঝুম হয়
অন্ধকারে ছেে যায় পুরো পৃথিবী
গুহার সব পোকামাকড় আমার সঙ্গী
দূরে ঐ হিংস্র দানবের মত্ত
হাসির শব্দ হৃদয়ে উন্মাদনা তোলে।
আমি গ্লাডিয়েটরদের মতো লড়াই
করে বেঁচে থাকি।
রাতের আকাশের অদ্ভুত
সব সুন্দর লক্ষ-কোটি তারা
হাসিতে মশগুল চাঁদ
আমাকে স্বাগত জানায়।
বনের গাছপালা তাদের
কাণ্ড শাখা-প্রশাখা নেড়ে নেড়ে
হাত তালি দেয়।
পৃথিবীর মৃত্তিকা তার এই
মনুষ্য সন্তান নিয়ে গর্ব করে।
আস্তে আস্তে গুহা ছেড়ে বাইরে আসি
ডালপালা কেটে ঘর বাঁধি
আগুন জ্বেলে পাতা গায়ে শুয়ে পড়ি।
নিঝুম ঘুমে হারিয়ে যাই।
তারার নিক্কন- চাঁদের হাসি
বাতাসের গর্জন আর কানে আসে না।
মাঝে মাঝে স্বপ্ন দেখি
হিংস্র পশুর সাথে যুদ্ধ করছি
বিকট চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়।
সজাগ হয়ে ভাবি-সেই গুহায়
কাটানো রাত্রির কথা
আধা ঘুম আধা যুদ্ধের কথা
দাঁতওয়ালা দানবের কথা।
যুদ্ধ জয়ের গৌরব গাঁথাকে
রোমন্থন করতে করতে আবার
ঘুমিয়ে পড়ি-নিশ্চিন্ত সে ঘুম।
টাইম মেশিনটারে দ্রুত বদলাই
ফিরে আসি মাত্র শত বছর
আগের দুনিয়ায়।
আমি বসে আছি
কোন এক গানের আসরে
আমার যুবক কিংবা বৃদ্ধ দাদারা
একতারা, দোতারা, ঢাকঢোল
পিটিয়ে গান গাচ্ছে
আমিও সুর মেলাচ্ছি
হৃদয়কে সুরের সাথে গেঁথে।
কিংবা আমার বৃদ্ধ তাঐ
কেচ্ছা বলছে সুরে সুরে
আমি হা করে তাকিয়ে তাকিয়ে শুনছি।
এরপর মাটির ঘরে খরের বিছানায়
গা এলিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছি।
এবার বর্তমানে ফিরি
কোথা দিয়ে রাত্রি নামে
কখন জ্যোৎস্নার খেলা চলে
তারাগুলার নির্বাক চাহনি
দেখার অবকাশ নাই।
ফেচবুকিং সবসময় চলে
টিভি তে খেলা দেখি
মোবাইল এ কথা বলি।
বাতিটা নিভিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি।
ঘুমের মধ্যে - স্বপ্নে কর্মময়
দিনের ছবি ভেসে উঠে
আমি ক্লান্ত হই।
আমি চলে যাই লক্ষকোটি বছর আগে
কোন এক ক্ষুদ্র গুহায়
আস্তে আস্তে রাত নিঝুম হয়
অন্ধকারে ছেে যায় পুরো পৃথিবী
গুহার সব পোকামাকড় আমার সঙ্গী
দূরে ঐ হিংস্র দানবের মত্ত
হাসির শব্দ হৃদয়ে উন্মাদনা তোলে।
আমি গ্লাডিয়েটরদের মতো লড়াই
করে বেঁচে থাকি।
রাতের আকাশের অদ্ভুত
সব সুন্দর লক্ষ-কোটি তারা
হাসিতে মশগুল চাঁদ
আমাকে স্বাগত জানায়।
বনের গাছপালা তাদের
কাণ্ড শাখা-প্রশাখা নেড়ে নেড়ে
হাত তালি দেয়।
পৃথিবীর মৃত্তিকা তার এই
মনুষ্য সন্তান নিয়ে গর্ব করে।
আস্তে আস্তে গুহা ছেড়ে বাইরে আসি
ডালপালা কেটে ঘর বাঁধি
আগুন জ্বেলে পাতা গায়ে শুয়ে পড়ি।
নিঝুম ঘুমে হারিয়ে যাই।
তারার নিক্কন- চাঁদের হাসি
বাতাসের গর্জন আর কানে আসে না।
মাঝে মাঝে স্বপ্ন দেখি
হিংস্র পশুর সাথে যুদ্ধ করছি
বিকট চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়।
সজাগ হয়ে ভাবি-সেই গুহায়
কাটানো রাত্রির কথা
আধা ঘুম আধা যুদ্ধের কথা
দাঁতওয়ালা দানবের কথা।
যুদ্ধ জয়ের গৌরব গাঁথাকে
রোমন্থন করতে করতে আবার
ঘুমিয়ে পড়ি-নিশ্চিন্ত সে ঘুম।
টাইম মেশিনটারে দ্রুত বদলাই
ফিরে আসি মাত্র শত বছর
আগের দুনিয়ায়।
আমি বসে আছি
কোন এক গানের আসরে
আমার যুবক কিংবা বৃদ্ধ দাদারা
একতারা, দোতারা, ঢাকঢোল
পিটিয়ে গান গাচ্ছে
আমিও সুর মেলাচ্ছি
হৃদয়কে সুরের সাথে গেঁথে।
কিংবা আমার বৃদ্ধ তাঐ
কেচ্ছা বলছে সুরে সুরে
আমি হা করে তাকিয়ে তাকিয়ে শুনছি।
এরপর মাটির ঘরে খরের বিছানায়
গা এলিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছি।
এবার বর্তমানে ফিরি
কোথা দিয়ে রাত্রি নামে
কখন জ্যোৎস্নার খেলা চলে
তারাগুলার নির্বাক চাহনি
দেখার অবকাশ নাই।
ফেচবুকিং সবসময় চলে
টিভি তে খেলা দেখি
মোবাইল এ কথা বলি।
বাতিটা নিভিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি।
ঘুমের মধ্যে - স্বপ্নে কর্মময়
দিনের ছবি ভেসে উঠে
আমি ক্লান্ত হই।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোখলেছুর রহমান ২৯/১২/২০১৩তুমি অদ্ভুত লেখ, আমার পাতায় আমন্ত্রণ রইল।
-
সুমাইয়া বরকতউল্লাহ্ ১৭/১২/২০১৩এত বড় কবিতা আমি পড়তে পড়তে শেষ
কবিতা দিয়ে গড়ে তুলি চলো সোনার বাংলাদেশ -
Înšigniã Āvî ১৭/১২/২০১৩অসাধারণ....