মধুকবির বীরাঙ্গনারা(8)
(পরবর্তী অংশ)
অষ্টম সর্গে ধৃতরাষ্ট্রকন্যা দুঃশলা চিঠি লিখছেন তাঁর স্বামী জয়দ্রথকে।সেই চিঠিতে সঞ্জয়ের বর্ণনায় অভিমন্যুর বীরত্বের কথাও রয়েছে।আর স্বাভাবিকভাবেই আসে অর্জুনের ক্রোধান্বিত হওয়ার কথাও।'আছ যত,শুন সবে!না বিনাশী যদি/কালি জয়দ্রথ রণে,মরিব আপনি!/অগ্নিকুণ্ডে পশি তবে যাব ভূতদেশে,/না ধরিব অস্ত্র আর এ ভব-সংসারে!';যা শুনে দুঃশলা অজ্ঞান হয়ে যান,তার শরীর ও হৃদয় কাঁপতে থাকে।তিনি তাঁর সেই ভয়মিশ্রিত ব্যাকুলতায় লেখেন-'কাল অজগর_গ্রাসে পড়িলে কি বাঁচে/প্রাণী?ক্ষুধাতুর সিংহ ঘোর সিংহনাদে/ধরে যবে বনচরে,কে তারে তাহারে?/কে কহ,রক্ষিবে তোমা,ফাল্গুনি রুষিলে?' আর বিলাপ করেন যে কেন জয়দ্রথ এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লেন।তাই তিনি জয়দ্রথকে লেখেন যে পান্ডব ও কৌরব দুপক্ষই তো জয়দ্রথের কুটুম্ব।অতএব তিনি কেন একপক্ষ নিয়ে বিরাগভাজন হচ্ছেন।তারপরেই তিনি বলেন যে দোষগুণের কথা উঠলে-'পাপ অক্ষক্রীড়া-ফাঁদ কে পাতিল,কহ?/কে আনিল সভাতলে(কি লজ্জা!) ধরিয়া/রজস্বলা ভ্রাতৃবধূ?দেখাইল তাঁরে/ঊরু?কাড়ি নিতে তাঁর বসন চাহিল-'।তিনি জয়দ্রথকে বলেন অর্জুন দেবতাদেরও পরাস্ত করেছেন অতএব তাঁর ভয়ে যদি জয়দ্রথ যুদ্ধ থেকে বিরত হন তবে কেউ তাকে কাপুরুষ বলবে না।চিঠির একেবারে শেষে দুঃশলার মধ্যেকার সেই চিরন্তন সংসারী নারী যে কিনা শুধুমাত্র তার সংসারের কথাই ভাবে তার প্রকাশ ঘটেছে-'না কয়ে কাহারে কিছু! অবিলম্বে যাব/এ পাপ নগর ত্যজি সিন্ধুরাজালয়ে!/কপোতমিথুন সম যাব উড়ি নীড়ে!-/ঘটুক যা থাকে ভাগ্যে কুরু পান্ডু কুলে!'। (ক্রমশ)
অষ্টম সর্গে ধৃতরাষ্ট্রকন্যা দুঃশলা চিঠি লিখছেন তাঁর স্বামী জয়দ্রথকে।সেই চিঠিতে সঞ্জয়ের বর্ণনায় অভিমন্যুর বীরত্বের কথাও রয়েছে।আর স্বাভাবিকভাবেই আসে অর্জুনের ক্রোধান্বিত হওয়ার কথাও।'আছ যত,শুন সবে!না বিনাশী যদি/কালি জয়দ্রথ রণে,মরিব আপনি!/অগ্নিকুণ্ডে পশি তবে যাব ভূতদেশে,/না ধরিব অস্ত্র আর এ ভব-সংসারে!';যা শুনে দুঃশলা অজ্ঞান হয়ে যান,তার শরীর ও হৃদয় কাঁপতে থাকে।তিনি তাঁর সেই ভয়মিশ্রিত ব্যাকুলতায় লেখেন-'কাল অজগর_গ্রাসে পড়িলে কি বাঁচে/প্রাণী?ক্ষুধাতুর সিংহ ঘোর সিংহনাদে/ধরে যবে বনচরে,কে তারে তাহারে?/কে কহ,রক্ষিবে তোমা,ফাল্গুনি রুষিলে?' আর বিলাপ করেন যে কেন জয়দ্রথ এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লেন।তাই তিনি জয়দ্রথকে লেখেন যে পান্ডব ও কৌরব দুপক্ষই তো জয়দ্রথের কুটুম্ব।অতএব তিনি কেন একপক্ষ নিয়ে বিরাগভাজন হচ্ছেন।তারপরেই তিনি বলেন যে দোষগুণের কথা উঠলে-'পাপ অক্ষক্রীড়া-ফাঁদ কে পাতিল,কহ?/কে আনিল সভাতলে(কি লজ্জা!) ধরিয়া/রজস্বলা ভ্রাতৃবধূ?দেখাইল তাঁরে/ঊরু?কাড়ি নিতে তাঁর বসন চাহিল-'।তিনি জয়দ্রথকে বলেন অর্জুন দেবতাদেরও পরাস্ত করেছেন অতএব তাঁর ভয়ে যদি জয়দ্রথ যুদ্ধ থেকে বিরত হন তবে কেউ তাকে কাপুরুষ বলবে না।চিঠির একেবারে শেষে দুঃশলার মধ্যেকার সেই চিরন্তন সংসারী নারী যে কিনা শুধুমাত্র তার সংসারের কথাই ভাবে তার প্রকাশ ঘটেছে-'না কয়ে কাহারে কিছু! অবিলম্বে যাব/এ পাপ নগর ত্যজি সিন্ধুরাজালয়ে!/কপোতমিথুন সম যাব উড়ি নীড়ে!-/ঘটুক যা থাকে ভাগ্যে কুরু পান্ডু কুলে!'। (ক্রমশ)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রায়হান আজিজ ২৩/১১/২০১৭সুন্দর লিখনী ।
-
কে. পাল ২৩/১১/২০১৭Bess lekha.
Aro jante chai bhai -
সাঁঝের তারা ২৩/১১/২০১৭চলুক এমনিভাবে