মধুকবির বীরাঙ্গনারা(7)
(পরবর্তী অংশ)
সপ্তম সর্গে ভানুমতী কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধরত তাঁর স্বামী দুর্যোধনকে পত্র লিখছেন।তিনি মহারাণী হলেও তাঁর হৃদয়ও স্বামীর বিপদ ও অকল্যাণ ভাবনায় আশঙ্কিত হয়,সেকথা তিনি পত্রের শুরুতেই প্রমাণ করে লেখেন-'অধীর সতত দাসী,যে অবধি তুমি/করি যাত্রা পশিয়াছ কুরুক্ষেত্র রণে!/নাহি নিদ্রা; নাহি রুচি,হে নাথ,আহারে!'।তারপর এই যুদ্ধের জন্য শকুনিকে দায়ী করে লিখেছেন-কুক্ষণে মাতুল তব-ক্ষম দুঃখিনীরে!/কুক্ষণে মাতুল তব,ক্ষত্র-কুল-গ্লানি,/আইল হস্তিনাপুরে! কুক্ষণে শিখিলা/পাপ অক্ষবিদ্যা,নাথ,সে পাপীর কাছে!' এবং একই সঙ্গে পান্ডবদের শক্তির বর্ণনা করে যুদ্ধে বিরত হবার কথা লিখেছেন।ভানুমতী দুর্যোধনকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন-'ক্ষত্রমণি!ভাবি দেখ,-চিত্রসেন যবে,/কুরুবধূদলে বাঁধি তব সহ রথে,/চলিল গন্ধর্ব্বদেশে,কে রাখিল আসি/কুলমান প্রাণ তব,কুরুকুলমণি?' আর তার সঙ্গে সাবধান করেছেন অর্জুন এবং ভীম সম্পর্কেও।তারপর তিনি তাঁর দুঃস্বপ্নের কথা লেখেন যেখানে তিনি কোনো রথীকে শরশয্যায়,কারো রথের চাকা মাটিতে আটকে যেতে,আবার কাউকে ভগ্নউরু নিয়ে হ্রদের তীরে গড়াগড়ি খেতে দেখেছেন।এই স্বপ্ন তাঁকে সন্ত্রস্ত করে তাই পত্রের শেষে তিনি লেখেন-'এস তুমি,প্রাণনাথ,রণ পরিহরি!/পঞ্চখানি গ্রাম মাত্র মাগে পঞ্চরথী।/কি অভাব তব,কহ?তোষ পঞ্চ জনে;/তোষ অন্ধ বাপ মায়ের;তোষ অভাগীরে;-/রক্ষ কুরুকুল,ওহে কুরুকুলমণি!'। (ক্রমশ)
সপ্তম সর্গে ভানুমতী কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধরত তাঁর স্বামী দুর্যোধনকে পত্র লিখছেন।তিনি মহারাণী হলেও তাঁর হৃদয়ও স্বামীর বিপদ ও অকল্যাণ ভাবনায় আশঙ্কিত হয়,সেকথা তিনি পত্রের শুরুতেই প্রমাণ করে লেখেন-'অধীর সতত দাসী,যে অবধি তুমি/করি যাত্রা পশিয়াছ কুরুক্ষেত্র রণে!/নাহি নিদ্রা; নাহি রুচি,হে নাথ,আহারে!'।তারপর এই যুদ্ধের জন্য শকুনিকে দায়ী করে লিখেছেন-কুক্ষণে মাতুল তব-ক্ষম দুঃখিনীরে!/কুক্ষণে মাতুল তব,ক্ষত্র-কুল-গ্লানি,/আইল হস্তিনাপুরে! কুক্ষণে শিখিলা/পাপ অক্ষবিদ্যা,নাথ,সে পাপীর কাছে!' এবং একই সঙ্গে পান্ডবদের শক্তির বর্ণনা করে যুদ্ধে বিরত হবার কথা লিখেছেন।ভানুমতী দুর্যোধনকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন-'ক্ষত্রমণি!ভাবি দেখ,-চিত্রসেন যবে,/কুরুবধূদলে বাঁধি তব সহ রথে,/চলিল গন্ধর্ব্বদেশে,কে রাখিল আসি/কুলমান প্রাণ তব,কুরুকুলমণি?' আর তার সঙ্গে সাবধান করেছেন অর্জুন এবং ভীম সম্পর্কেও।তারপর তিনি তাঁর দুঃস্বপ্নের কথা লেখেন যেখানে তিনি কোনো রথীকে শরশয্যায়,কারো রথের চাকা মাটিতে আটকে যেতে,আবার কাউকে ভগ্নউরু নিয়ে হ্রদের তীরে গড়াগড়ি খেতে দেখেছেন।এই স্বপ্ন তাঁকে সন্ত্রস্ত করে তাই পত্রের শেষে তিনি লেখেন-'এস তুমি,প্রাণনাথ,রণ পরিহরি!/পঞ্চখানি গ্রাম মাত্র মাগে পঞ্চরথী।/কি অভাব তব,কহ?তোষ পঞ্চ জনে;/তোষ অন্ধ বাপ মায়ের;তোষ অভাগীরে;-/রক্ষ কুরুকুল,ওহে কুরুকুলমণি!'। (ক্রমশ)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সোলাইমান ২২/১১/২০১৭অনন্য উপলব্ধির কাব্যিক উপস্থাপনায় মুগ্ধ হলাম।
-
এম এম মেহেরুল ২২/১১/২০১৭ভাল