লোকায়ত রবীন্দ্রনাথ(2)
(পরবর্তী অংশ)
রবীন্দ্রনাথের পক্ষেও লোকায়ত দর্শনের পথ অনুসারী হওয়া নিতান্তই সহজ ছিল না কিন্তু তা সহজতর হয়েছিল গানের মাধ্যমে।গানের মাধ্যমেই দুই যুগপুরুষের মরমী হৃদয়ের আকুলতা হয়ে উঠেছিল বাঙ্ময়,ইতিহাসও হয়েছিল বিমোহিত; সেই বিমুগ্ধতা এখনো অটুট।1893 সালের কোনো একসময়ে জমিদারি দেখাশোনা করতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে পরিচয় হয় গগন হরকরার।এর কাছে রবীন্দ্রনাথ বিভিন্ন বাউল গান শোনেন,শোনেন লালনের "খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়" গানটি।এই গানটির অনুরণন আজীবন রবীন্দ্রনাথকে উদ্বেলিত করেছে যার স্বাক্ষর পাই রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন সময়ের লেখায়।1907 সালে 'প্রবাসী' পত্রিকার ভাদ্র সংখ্যায় রবীন্দ্রনাথ এই গানটির উল্লেখ করেন,আবার 1912 সালে 'জীবনস্মৃতি' বইটিতে রবীন্দ্রনাথ এই গানটিকে কেন্দ্র করে বক্তব্য রাখেন-"দেখিলাম বাউলের গানও ঠিক ওই একই কথা বলিতেছে মাঝে মাঝে বদ্ধ খাঁচার মধ্যে আসিয়া অচিন পাখি বন্ধনহীন অচেনার কথা বলিয়া যায়;মন তাহাকে চিরন্তন করিয়া ধরিয়া রাখিতে চায়,কিন্তু পারে না।এই অচিন পাখির যাওয়া-আসার খবর গানের সুর ছাড়া আর কে দিতে পারে?"1925 সালে ভারতীয় দর্শন মহাসভার অধিবেশনে 'The philosophy of our people' শীর্ষক সভাপতির ভাষণে রবীন্দ্রনাথ গানটির একটি বিশেষ অংশের ইংরেজি তর্জমা উদ্ধৃত করে এটিকে শেলীর কবিতার সঙ্গে তুলনা করেছেন এবং গানটিকে শ্রেষ্ঠ বলে চিহ্নিত করেছেন। (ক্রমশ)
রবীন্দ্রনাথের পক্ষেও লোকায়ত দর্শনের পথ অনুসারী হওয়া নিতান্তই সহজ ছিল না কিন্তু তা সহজতর হয়েছিল গানের মাধ্যমে।গানের মাধ্যমেই দুই যুগপুরুষের মরমী হৃদয়ের আকুলতা হয়ে উঠেছিল বাঙ্ময়,ইতিহাসও হয়েছিল বিমোহিত; সেই বিমুগ্ধতা এখনো অটুট।1893 সালের কোনো একসময়ে জমিদারি দেখাশোনা করতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে পরিচয় হয় গগন হরকরার।এর কাছে রবীন্দ্রনাথ বিভিন্ন বাউল গান শোনেন,শোনেন লালনের "খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়" গানটি।এই গানটির অনুরণন আজীবন রবীন্দ্রনাথকে উদ্বেলিত করেছে যার স্বাক্ষর পাই রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন সময়ের লেখায়।1907 সালে 'প্রবাসী' পত্রিকার ভাদ্র সংখ্যায় রবীন্দ্রনাথ এই গানটির উল্লেখ করেন,আবার 1912 সালে 'জীবনস্মৃতি' বইটিতে রবীন্দ্রনাথ এই গানটিকে কেন্দ্র করে বক্তব্য রাখেন-"দেখিলাম বাউলের গানও ঠিক ওই একই কথা বলিতেছে মাঝে মাঝে বদ্ধ খাঁচার মধ্যে আসিয়া অচিন পাখি বন্ধনহীন অচেনার কথা বলিয়া যায়;মন তাহাকে চিরন্তন করিয়া ধরিয়া রাখিতে চায়,কিন্তু পারে না।এই অচিন পাখির যাওয়া-আসার খবর গানের সুর ছাড়া আর কে দিতে পারে?"1925 সালে ভারতীয় দর্শন মহাসভার অধিবেশনে 'The philosophy of our people' শীর্ষক সভাপতির ভাষণে রবীন্দ্রনাথ গানটির একটি বিশেষ অংশের ইংরেজি তর্জমা উদ্ধৃত করে এটিকে শেলীর কবিতার সঙ্গে তুলনা করেছেন এবং গানটিকে শ্রেষ্ঠ বলে চিহ্নিত করেছেন। (ক্রমশ)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সোলাইমান ০৮/১১/২০১৭
-
দীপঙ্কর বেরা ০৮/১১/২০১৭ভাল কথা।
-
কামরুজ্জামান সাদ ০৮/১১/২০১৭রবিকে এভাবে কখনো ভেবে দেখিনি
-
সোলাইমান ০৭/১১/২০১৭দারুণ ভাবনা। সুন্দর লিখন ।
প্রিয় কবির জন্য এক রাশ রক্তিম শুভেচ্ছা ও গভীর ভালোবাসা রেখে গেলাম।
ভালো থাকুন সবসময়!!