বৃদ্ধাশ্রম থেকে পাঠানো মায়ের চিঠি (কাব্যগ্রন্থ তুমিই কিগো সেই মেয়েটি)
খোকা , তুই কেমন আছিস ?
বউমা আর আমাদের ছোটো দাদুভাই—
সবাই ভালো আছে তো ?
জানি , তোদের তিনজনের ছোটো-আধুনিক সংসারে
প্রত্যেকেরই খুব কাজ ;
তবুও তোদের কাছে আমার একান্ত অনুরোধ :
একদিন একটু সময় করে
এই বুড়িটাকে দেখতে আয় না !
কিরে , আসবি না ?
ওঃ বুঝতে পেরেছি !
এখনো আমার উপর থেকে অভিমান যায় নি বুঝি ?
জানি , শেষ দিনটাতে একটু বেশিরকমেরই বাড়াবাড়ি করে ফেলেছিলাম ;
তাছাড়া কিই-বা আর আমি করতে পারতাম বল !
যথাসময়ে ওরা এসে
আমার জিনিসপত্তর সব জোর করে ওদের গাড়িতে উঠিয়ে নিল।
তারপর বারবার তাগাদা দিতে লাগল।
আমি কিন্তু তবুও তোর আসবার অপেক্ষায় বুক বেঁধেছিলাম।
আমি তোকে জন্ম দিয়েছি ;
‘জল-আগুন-অসুখ’ থেকে তোকে এতগুলো বছর বাঁচিয়ে রেখেছি ;
তাই যাবার আগে আমাকে কি তুই আর না দেখে থাকতে পারবি ?
কিন্তু তুই এলি না !
আর সেদিন আমার সেই জেদ দেখে বউমা তো রেগেই আগুন ;
তাছাড়া তার তো রাগবারই কথা বাবা !
আমাকে নিয়ে যেতে যারা এসেছিলো ;
অল্প কিছুক্ষনের মধ্যেই তারা যা তড়িঘড়ি শুরু করে দিল...
তা দেখবার জন্য
পাশের বাড়ি থেকে কেউ কেউ উঁকি দিচ্ছিল।
সেদিন তোদেরকে যে অপমান করে এসেছি :
তোরা সেসব এত সহজে ভুলে যাস কেমন করে বলত !
আমার কথা ভাবিস না।
আমি খুব ভালো আছি !
আর কেনই-বা ভালো থাকবনা বল ?
তোরা তো আমার ভালো থাকবারই বন্দোবস্ত করে দিয়েছিস।
আর যেদিন থেকে আমি বুঝতে পেরে গেছি :
আমাকে এখানে পাঠিয়ে তোরা বেঁচে গেছিস ;
ভুল করেও , সাত জন্ম কেউ আর এ পথ মারাবিনা ;
বিশ্বাস কর—
সেদিন থেকে আরো ভালো আছি।
তবে একটা কথা :
আমার কথা যদি তোর কখনো-কোনোদিন মনে পড়ে ;
তখন যেন নিজেকে তুই শেষ করে দিস না।
তুই এখনো একশ বছর বেঁচে থাক।
আমি তো মা :
তোর জন্য কত সয়েছি !
এরপরেও সইব। আর সয়ে যাবো।
বউমা আর আমাদের ছোটো দাদুভাই—
সবাই ভালো আছে তো ?
জানি , তোদের তিনজনের ছোটো-আধুনিক সংসারে
প্রত্যেকেরই খুব কাজ ;
তবুও তোদের কাছে আমার একান্ত অনুরোধ :
একদিন একটু সময় করে
এই বুড়িটাকে দেখতে আয় না !
কিরে , আসবি না ?
ওঃ বুঝতে পেরেছি !
এখনো আমার উপর থেকে অভিমান যায় নি বুঝি ?
জানি , শেষ দিনটাতে একটু বেশিরকমেরই বাড়াবাড়ি করে ফেলেছিলাম ;
তাছাড়া কিই-বা আর আমি করতে পারতাম বল !
যথাসময়ে ওরা এসে
আমার জিনিসপত্তর সব জোর করে ওদের গাড়িতে উঠিয়ে নিল।
তারপর বারবার তাগাদা দিতে লাগল।
আমি কিন্তু তবুও তোর আসবার অপেক্ষায় বুক বেঁধেছিলাম।
আমি তোকে জন্ম দিয়েছি ;
‘জল-আগুন-অসুখ’ থেকে তোকে এতগুলো বছর বাঁচিয়ে রেখেছি ;
তাই যাবার আগে আমাকে কি তুই আর না দেখে থাকতে পারবি ?
কিন্তু তুই এলি না !
আর সেদিন আমার সেই জেদ দেখে বউমা তো রেগেই আগুন ;
তাছাড়া তার তো রাগবারই কথা বাবা !
আমাকে নিয়ে যেতে যারা এসেছিলো ;
অল্প কিছুক্ষনের মধ্যেই তারা যা তড়িঘড়ি শুরু করে দিল...
তা দেখবার জন্য
পাশের বাড়ি থেকে কেউ কেউ উঁকি দিচ্ছিল।
সেদিন তোদেরকে যে অপমান করে এসেছি :
তোরা সেসব এত সহজে ভুলে যাস কেমন করে বলত !
আমার কথা ভাবিস না।
আমি খুব ভালো আছি !
আর কেনই-বা ভালো থাকবনা বল ?
তোরা তো আমার ভালো থাকবারই বন্দোবস্ত করে দিয়েছিস।
আর যেদিন থেকে আমি বুঝতে পেরে গেছি :
আমাকে এখানে পাঠিয়ে তোরা বেঁচে গেছিস ;
ভুল করেও , সাত জন্ম কেউ আর এ পথ মারাবিনা ;
বিশ্বাস কর—
সেদিন থেকে আরো ভালো আছি।
তবে একটা কথা :
আমার কথা যদি তোর কখনো-কোনোদিন মনে পড়ে ;
তখন যেন নিজেকে তুই শেষ করে দিস না।
তুই এখনো একশ বছর বেঁচে থাক।
আমি তো মা :
তোর জন্য কত সয়েছি !
এরপরেও সইব। আর সয়ে যাবো।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সুব্রত সামন্ত (বুবাই) ১৪/১২/২০১৩আমার সকল ব্ন্ধুদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ । সবাই খুব ভালো থাকবেন ।
-
সুবীর কাস্মীর পেরেরা ১৩/১২/২০১৩অবাক নয়নে পড়লাম
-
Înšigniã Āvî ১৩/১২/২০১৩মন ছুঁয়ে গেল..
-
আতিক রহমান ১৩/১২/২০১৩বেশ হয়েছে।