বিন্দু থেকে সিন্ধু
কাল সারাটারাত, তোমার ব্যাপ্ত বন্দিত শরীরের রাজ-রাজকীয় আড়ম্বরে
অনেক্ষন বেজায় অসম্বিত হয়ে কাটিয়েছিলাম।
ভাসমান ও উৎসিক্ত টুকিটাকির মতো—
নিরুদ্দেশের অবিশ্বাসী অভিলাসী এবং অস্ফুট উদাসী ডাকে
অনেক আশা আর অপেক্ষায়... সর্বতম উজাড় হয়ে উপর্যুপরি দীক্ষিত
হচ্ছিলাম।
বহু সুখকর কষ্টে, প্রবল তুমুল তড়িতাবিষ্ট হতে হতে
তোমার যেসব চরম শরম বিখ্যাত-বিস্তর আতিথ্যশালাগুলোতে অনুবাদ করেছি
: তা শুনবে।
বিখ্যাতভাবে, তোমার গায়ে জড়ানো শাড়ির রহস্যজনক ভাঁজে ভাঁজে
বিশেষ বিশেষ সঙ্গিনতর ধারাগুলোকে একাট্টা পাওয়াতে
স্বপ্নের তোলপাড় উপকূলে বহুক্ষণ ইতস্তত গৌরচন্দ্রিকাতে ঘুরে বেড়ালাম।
এছাড়াও... বারবার আবার আমার চোখ ঠিকরে, একশায়
গড়িয়ে পড়ছিল ; তোমার আলাদা অস্তিত্বের অন্যসব অস্তিত্ব দেখে।
তোমার দেবী মুখের দিব্য-দুর্লভ অভিনব চমৎকারিত্ব ;
এতদিন ধরে বহু যত্নে আমার জন্যে পরিপাটি করে রাখা
তোমার গোপন অক্ষত-স্ফুরিত শরীরের লাজুক নীলাম্বরী পারিজাত ;
ঘাড় ঘুঁজে কিছুতেই আর আটকে রাখতে পারেনি—
তোমার শোভিত বয়ঃসন্ধির অতিরিক্ত সঞ্জাত হঠাৎ হঠাৎ চুঁইয়ে পড়াকে।
দশকর্মার দোকানের মতো তোমার ঐ মন্ত্রমুগ্ধ চোখে ;
আমার উপর পূর্ণ গোয়েন্দাগিরি চালাবার চালাবার মতো তোমার ঐ
ছেলেধরা মার্কা স্তনে ;
বারবার উল্টেপাল্টে আমাকে বন্দীশালাতে বন্দী করে রাখবার মতোই
রেশমসুলভ নাভি কিংবা অজয় ভাস্করবতী ঊরুতে...
অত্যন্ত হা-পিত্যেশ করতে করতে যা যা সব কান্ড ঘটিয়ে ফেলেছি
এরপর এক এক করে, নিশ্চয় সবই তা তোমার মুখস্থ হয়ে গেছে ?
কিন্তু তুমি একমাত্র শুধু এটাই জানতে পারো নি যে—
তোমার প্রতিটা একান্ত প্রত্যন্ত ভাঁজে ভাঁজে
ভালোবাসার ভারিত্ব উদযাপন করতে করতে
আমি যথারীতি প্রাণপণ শপথ নিয়ে বসে আছি :
এরপর থেকে
যেন তেন প্রকারে
আমাকে তোমার বরাবর হয়ে উঠতেই হবে।
*** ‘মানসীরা ছিল মানবস্রোতে’
পেজ নাম্বার-১৮/১৯
Subrata samanta
Manama, Bahrain/khanakhul, bharat
09.08.2014
অনেক্ষন বেজায় অসম্বিত হয়ে কাটিয়েছিলাম।
ভাসমান ও উৎসিক্ত টুকিটাকির মতো—
নিরুদ্দেশের অবিশ্বাসী অভিলাসী এবং অস্ফুট উদাসী ডাকে
অনেক আশা আর অপেক্ষায়... সর্বতম উজাড় হয়ে উপর্যুপরি দীক্ষিত
হচ্ছিলাম।
বহু সুখকর কষ্টে, প্রবল তুমুল তড়িতাবিষ্ট হতে হতে
তোমার যেসব চরম শরম বিখ্যাত-বিস্তর আতিথ্যশালাগুলোতে অনুবাদ করেছি
: তা শুনবে।
বিখ্যাতভাবে, তোমার গায়ে জড়ানো শাড়ির রহস্যজনক ভাঁজে ভাঁজে
বিশেষ বিশেষ সঙ্গিনতর ধারাগুলোকে একাট্টা পাওয়াতে
স্বপ্নের তোলপাড় উপকূলে বহুক্ষণ ইতস্তত গৌরচন্দ্রিকাতে ঘুরে বেড়ালাম।
এছাড়াও... বারবার আবার আমার চোখ ঠিকরে, একশায়
গড়িয়ে পড়ছিল ; তোমার আলাদা অস্তিত্বের অন্যসব অস্তিত্ব দেখে।
তোমার দেবী মুখের দিব্য-দুর্লভ অভিনব চমৎকারিত্ব ;
এতদিন ধরে বহু যত্নে আমার জন্যে পরিপাটি করে রাখা
তোমার গোপন অক্ষত-স্ফুরিত শরীরের লাজুক নীলাম্বরী পারিজাত ;
ঘাড় ঘুঁজে কিছুতেই আর আটকে রাখতে পারেনি—
তোমার শোভিত বয়ঃসন্ধির অতিরিক্ত সঞ্জাত হঠাৎ হঠাৎ চুঁইয়ে পড়াকে।
দশকর্মার দোকানের মতো তোমার ঐ মন্ত্রমুগ্ধ চোখে ;
আমার উপর পূর্ণ গোয়েন্দাগিরি চালাবার চালাবার মতো তোমার ঐ
ছেলেধরা মার্কা স্তনে ;
বারবার উল্টেপাল্টে আমাকে বন্দীশালাতে বন্দী করে রাখবার মতোই
রেশমসুলভ নাভি কিংবা অজয় ভাস্করবতী ঊরুতে...
অত্যন্ত হা-পিত্যেশ করতে করতে যা যা সব কান্ড ঘটিয়ে ফেলেছি
এরপর এক এক করে, নিশ্চয় সবই তা তোমার মুখস্থ হয়ে গেছে ?
কিন্তু তুমি একমাত্র শুধু এটাই জানতে পারো নি যে—
তোমার প্রতিটা একান্ত প্রত্যন্ত ভাঁজে ভাঁজে
ভালোবাসার ভারিত্ব উদযাপন করতে করতে
আমি যথারীতি প্রাণপণ শপথ নিয়ে বসে আছি :
এরপর থেকে
যেন তেন প্রকারে
আমাকে তোমার বরাবর হয়ে উঠতেই হবে।
*** ‘মানসীরা ছিল মানবস্রোতে’
পেজ নাম্বার-১৮/১৯
Subrata samanta
Manama, Bahrain/khanakhul, bharat
09.08.2014
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সফিউল্লাহ আনসারী ১৪/০৯/২০১৪good !
-
বিজয় রায় ১০/০৯/২০১৪ভাবটি বেশ লাগল যদিও গল্পের মত
-
কৌশিক আজাদ প্রণয় ০৯/০৯/২০১৪অসাধারণ ভাবের প্রকাশ। শব্দের অনন্য বিন্যাস। ছন্দের অপরূপ গাঁথুনি
-
মাসুম মুনাওয়ার ০৯/০৯/২০১৪ভাল লাগলো
-
মঞ্জুর হোসেন মৃদুল ০৯/০৯/২০১৪বাহ বেশ সুন্দর লেখনী।