তুমি কবে খবর পাবে
তুমি কবে খবর পাবে ?
সুব্রত সামন্ত (বুবাই)
কিছুক্ষণ আগেও যে শরীরটা ভীষণভাবে ছটপট করত
তোমার একটুখানি আদর পেতে।
আজ তাকে কয়েকজনে মিলে নিষ্ঠুরভাবে কাটাছেঁড়া করে
লাশকাটা ঘরে নিয়ে গিয়ে।
মারাত্মক ছুরি ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে অনুসন্ধান করে
‘এটা খুন নাকি নিছকই আত্মহত্যা ?’
ব্যপারটা করুণাত্মক নাকি ব্যঙ্গাত্মক সেটা ভেবে
এবার আমার সত্যি সত্যিই হাসি লাগে।
হ্যা রূপা,
যতদূর গেলে তোমাকে চাঁদকন্যা ভেবে মুঠোয় পাওয়া যায়
আজ আমি ঠিক ততটাই দূরে।
আমার বেপরোয়া খুশির ভাগ নিতে চাও ?
নাকি পুরাতন সুরে রেগেমেগে আবার বলে দেবে
‘তোমার খবর নিতে আমার বয়েই গেছে !’
সেটা শেষের ছয়মাস হবে।
তুমি তখন আমার বুকে স্পষ্ট অভিশাপ হয়ে
পড়শি হয়ে অনেকদূরে, আমি তখন ব্যথানীল সাত-সম্মুদূর।
আমি পাক-খাওয়া বাজের মতো ঘুরে ঘুরে হন্যে।
তোমার প্রতিশ্রুতি আর অস্বীকার আমাকে একের পর এক
একলা সময় নিয়ে এসে ঠেসে দিচ্ছে।
প্রতিটা সকাল থেকে সন্ধ্যাতে ধেয়ে আসা রাশি রাশি
কালফণা সহ্য করতে না পেরে ;
ভেবে নিলাম ‘ঘসে মেজে পাল্টে নেবো নিজেকে’।
বিপত্তিটা এখানেই।
ঠিকানা হল নিয়মভাঙা অচিনদেশে, পাগলাগারদ একতরফা।
তার আগে তুমি ছিলে র্যাক ভরে।
দেখা-অদেখার জনপদে।
দূরত্ব যাই হোক না কেন ছিলে ঠিকই
দিন-মাস-বছর ছুঁয়ে।
কিভাবে জানব বল মন ছুঁতে পারো নি এরপরেও ?
জানি তুমি আসতে পারবেনা।
তবুও
পারলে আজকে আর একবার চলে এসো
এবার আর সমাজের মুখে ছাই দিয়ে আসতে হবে না।
আসবে আমাকে ছাই ছাপা দিতে।
সুব্রত সামন্ত
খানাকুল , হুগলী / মানামা, বাহ-রাইন
০৯.০৫.২০১৬ (মীনা সালমন ইন্ডাসট্রিয়াল এরিয়া, মানামা/১০ am )
সুব্রত সামন্ত (বুবাই)
কিছুক্ষণ আগেও যে শরীরটা ভীষণভাবে ছটপট করত
তোমার একটুখানি আদর পেতে।
আজ তাকে কয়েকজনে মিলে নিষ্ঠুরভাবে কাটাছেঁড়া করে
লাশকাটা ঘরে নিয়ে গিয়ে।
মারাত্মক ছুরি ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে অনুসন্ধান করে
‘এটা খুন নাকি নিছকই আত্মহত্যা ?’
ব্যপারটা করুণাত্মক নাকি ব্যঙ্গাত্মক সেটা ভেবে
এবার আমার সত্যি সত্যিই হাসি লাগে।
হ্যা রূপা,
যতদূর গেলে তোমাকে চাঁদকন্যা ভেবে মুঠোয় পাওয়া যায়
আজ আমি ঠিক ততটাই দূরে।
আমার বেপরোয়া খুশির ভাগ নিতে চাও ?
নাকি পুরাতন সুরে রেগেমেগে আবার বলে দেবে
‘তোমার খবর নিতে আমার বয়েই গেছে !’
সেটা শেষের ছয়মাস হবে।
তুমি তখন আমার বুকে স্পষ্ট অভিশাপ হয়ে
পড়শি হয়ে অনেকদূরে, আমি তখন ব্যথানীল সাত-সম্মুদূর।
আমি পাক-খাওয়া বাজের মতো ঘুরে ঘুরে হন্যে।
তোমার প্রতিশ্রুতি আর অস্বীকার আমাকে একের পর এক
একলা সময় নিয়ে এসে ঠেসে দিচ্ছে।
প্রতিটা সকাল থেকে সন্ধ্যাতে ধেয়ে আসা রাশি রাশি
কালফণা সহ্য করতে না পেরে ;
ভেবে নিলাম ‘ঘসে মেজে পাল্টে নেবো নিজেকে’।
বিপত্তিটা এখানেই।
ঠিকানা হল নিয়মভাঙা অচিনদেশে, পাগলাগারদ একতরফা।
তার আগে তুমি ছিলে র্যাক ভরে।
দেখা-অদেখার জনপদে।
দূরত্ব যাই হোক না কেন ছিলে ঠিকই
দিন-মাস-বছর ছুঁয়ে।
কিভাবে জানব বল মন ছুঁতে পারো নি এরপরেও ?
জানি তুমি আসতে পারবেনা।
তবুও
পারলে আজকে আর একবার চলে এসো
এবার আর সমাজের মুখে ছাই দিয়ে আসতে হবে না।
আসবে আমাকে ছাই ছাপা দিতে।
সুব্রত সামন্ত
খানাকুল , হুগলী / মানামা, বাহ-রাইন
০৯.০৫.২০১৬ (মীনা সালমন ইন্ডাসট্রিয়াল এরিয়া, মানামা/১০ am )
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শ্রীরূপা লাহিড়ি ১৮/০৫/২০১৬বেশ ভাল
-
সূর্য মুহাম্মাদ জান ১৬/০৫/২০১৬ভালো লাগলো
-
অ ১৪/০৫/২০১৬দারুন লাগল ।
অভিনন্দন । -
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ১২/০৫/২০১৬সুন্দর কবিতা!
-
একরামুল হক ১০/০৫/২০১৬সুন্দর একটি কবিতা
-
পরশ ০৯/০৫/২০১৬মজা পেলাম
-
অঙ্কুর মজুমদার ০৯/০৫/২০১৬nice poem