স্বাতী নক্ষত্রের দেশে আমার উপাসনা
স্বাতী নক্ষত্রের দেশে আমার উপাসনা
সুব্রত সামন্ত (বুবাই)
একবুক দূরে, নীল স্বাতী নক্ষত্রের দেশ।
আর সামনের দিকে পা বাড়ালেই
আবহমানকালের সেই হৃদয় মোচড়ানো মাথাব্যথা এবং মরীচিকা।
কলেজে আমার তখন কাকতাড়ুয়া তৃতীয়বর্ষ ;
উপাসনা রায় আরো দু’বছরের পিছনের ঝোপের বিন্দুতে দাঁড়িয়ে
দু’চোখে দ্বীপ রেখে সাজানো লতা-পাতায় চিত্রার্পিতা হতে চায়।
এরপর থেকেই ক্রমশ দ্রুত মূর্তিমতী হয় ; নিঃসঙ্গতার নদী।
সম্ভব হয় ; নক্ষত্র জয়।
যখন— হঠাৎ একদিন অকল্পনীয়ভাবে সত্যি হয়ে স্বাক্ষর হয়:
‘তার কস্টলি-আকাশে আমার আস্কারা পাওয়া উড়াল নেমন্ত্রণ’।
তখন, সে শরীর উপুড় করা একটি পাতলা-নীল বর্ণচোরা খাতা।
তখন, আমি খুব সহজেই—
সেই খাতার পাতার উপর ভিনদেশী রক্তে-ভাবুক নৌকার মতো
অনভিজ্ঞতার কাঁটা-কম্পাস নিঙড়ে নিজেকে ভাসাই।
সেই জলকন্যা তখন :
ঝর্ণামাপিক বৃষ্টিসমাচার হয়ে আবারও এতটাই বেপরোয়া কস্তূরীমৃগ ;
তার উপদ্রুত অঞ্চলে পা না রেখেই আমি হই ইত্যাকার উত্তরীয়।
যদিও লাইভ-কাস্ট ছায়াময় ঘরে সে সুগন্ধের মতো বর্ধিত অস্থির।
বাতাসের বংশীঠোঁটে শুকনো পাতার মতো বারবার অবারিত উড়ে যায়।
তবুও একদা—
হঠাৎ বৃষ্টিতে হারিয়ে যায় সবকটি সবুজ-সোনালি উপত্যকা।
তারপর সময় সময়ের মণ্ডপে এসে ; ঘোর পিশাচী হয়।
আজপুরোপুরি মুখ ফিরিয়ে, কোনাকুনি হাঁটে উপাসনা সান্যাল।
আমি আজো তেমনই ভেসে থাকি ;
হলুদ নির্জন পাতামোড়া প্রচ্ছদের ভিতর
ভাঙা, চিড়-খাওয়া শব্দের না হয়ে ওঠা কিছু মৃত-পঙ্তিমালায়।
https://www.youtube.com/watch?v=u-p7x8tYHZY&feature=youtu.be
সুব্রত সামন্ত (বুবাই)
একবুক দূরে, নীল স্বাতী নক্ষত্রের দেশ।
আর সামনের দিকে পা বাড়ালেই
আবহমানকালের সেই হৃদয় মোচড়ানো মাথাব্যথা এবং মরীচিকা।
কলেজে আমার তখন কাকতাড়ুয়া তৃতীয়বর্ষ ;
উপাসনা রায় আরো দু’বছরের পিছনের ঝোপের বিন্দুতে দাঁড়িয়ে
দু’চোখে দ্বীপ রেখে সাজানো লতা-পাতায় চিত্রার্পিতা হতে চায়।
এরপর থেকেই ক্রমশ দ্রুত মূর্তিমতী হয় ; নিঃসঙ্গতার নদী।
সম্ভব হয় ; নক্ষত্র জয়।
যখন— হঠাৎ একদিন অকল্পনীয়ভাবে সত্যি হয়ে স্বাক্ষর হয়:
‘তার কস্টলি-আকাশে আমার আস্কারা পাওয়া উড়াল নেমন্ত্রণ’।
তখন, সে শরীর উপুড় করা একটি পাতলা-নীল বর্ণচোরা খাতা।
তখন, আমি খুব সহজেই—
সেই খাতার পাতার উপর ভিনদেশী রক্তে-ভাবুক নৌকার মতো
অনভিজ্ঞতার কাঁটা-কম্পাস নিঙড়ে নিজেকে ভাসাই।
সেই জলকন্যা তখন :
ঝর্ণামাপিক বৃষ্টিসমাচার হয়ে আবারও এতটাই বেপরোয়া কস্তূরীমৃগ ;
তার উপদ্রুত অঞ্চলে পা না রেখেই আমি হই ইত্যাকার উত্তরীয়।
যদিও লাইভ-কাস্ট ছায়াময় ঘরে সে সুগন্ধের মতো বর্ধিত অস্থির।
বাতাসের বংশীঠোঁটে শুকনো পাতার মতো বারবার অবারিত উড়ে যায়।
তবুও একদা—
হঠাৎ বৃষ্টিতে হারিয়ে যায় সবকটি সবুজ-সোনালি উপত্যকা।
তারপর সময় সময়ের মণ্ডপে এসে ; ঘোর পিশাচী হয়।
আজপুরোপুরি মুখ ফিরিয়ে, কোনাকুনি হাঁটে উপাসনা সান্যাল।
আমি আজো তেমনই ভেসে থাকি ;
হলুদ নির্জন পাতামোড়া প্রচ্ছদের ভিতর
ভাঙা, চিড়-খাওয়া শব্দের না হয়ে ওঠা কিছু মৃত-পঙ্তিমালায়।
https://www.youtube.com/watch?v=u-p7x8tYHZY&feature=youtu.be
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
প্রদীপ চৌধুরী. ১৩/০৩/২০১৬ভাল হয়েছে কিন্তু কবিতায় গদ্য ভাব এসে গেছে|
-
দেবজ্যোতিকাজল ১১/০৩/২০১৬গভীর