নদীর পাড়ের সেই চাঁপাগাছ
নদীর পাড়ের সেই চাঁপাগাছ
subrata samanta
**********
অন্ধকারে, পথ চলতি পথিকের হাত থেকে
খুচরো পয়সা পড়ে যাওয়ার মতোই
একদা হারিয়ে ফেলেছিলাম নিজেকে।
অতল নিখোঁজ-নির্জনে ছিল নিত্য বসবাস।
এভাবেই আবারও ভুলে গিয়েছিলাম...
‘বৃষ্টির মাসের মৌলিক ভাবুক নামটিকেও’।
অতএব প্রভাবশালী, অভিজাত-অতিরঞ্জিত রাজকুমারদের ভিড় ঠেলে
কখনোই সজ্ঞানে দৌড় করাই নি নিজস্ব উপদ্রুত ঘোড়াটিকে।
তবুও সেদিন—
দূর থেকেই, দত্ত বাড়ির একমাত্র মেয়ের
আধখানা ভাঙা-মুখ দেখেই পড়ে গেলাম, তার আমূল প্রেমে।
আমি তার দিকে সাহস করেই দু’পা আগাতেই
সে এগিয়ে আসল এক পা ;
তারপর থেকে সে গভীর সম্পর্ক হয়ে দু’পা আগালে
আমি বিখ্যাতভাবে আগাই এক পা এক পা করে।
দিন যেত মূলতঃ
তার মুখের অজস্র স্তবকের দিকে চেয়ে চেয়ে।
আর অনুভব করতাম দীর্ঘ তাম্রজালে ঢাকা এক উর্তি-আগ্রহী রথ
আমাকে সমুচ্চারে ডাক দিত সীমাহীন যাত্রার দিকে।
অথবা চন্দনযুক্ত গন্ধরাজ শরীর মর্দন করে
সমস্ত লোভ রূপ পেত আমার শরীরে।
একদিন সে আমার নিঃশ্বাসকে খুঁটে নিল তার ভিজে ঠোঁটে।
সে বলল, এরপর থেকে কি হবে জানো ?
আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম কি হবে ?
সে চুপিচুপি বলল, আমার যাবতীয় এলোমেলো চাঁপার গন্ধ এবার থেকে
সুদূর ইতিহাস হয়ে তোমার শরীরেও বইবে।
মধ্য-মানব বংশের অসহায় পরাজিত পুত্র আজ আবার
নির্জনে নিঃসঙ্গে শয্যা পেতে রাতের আকাশে চোখ রেখে পড়ে আছে।
তার চোখে আজ দত্ত বাড়ির মেয়ের আধখানা মুখ
ভেসে উঠে কিনা আমি জানি না ;
কিন্তু তার শরীরে চাঁপার গন্ধ আজও ঠিক অমলিন বয়ে চলে। *******
অডিও সিডি — “কাল সারারাত বৃষ্টি হয়েছিল”
সিরিজ — “আজ কবিতারা কথা বলবে” পার্ট-১
subrata samanta
**********
অন্ধকারে, পথ চলতি পথিকের হাত থেকে
খুচরো পয়সা পড়ে যাওয়ার মতোই
একদা হারিয়ে ফেলেছিলাম নিজেকে।
অতল নিখোঁজ-নির্জনে ছিল নিত্য বসবাস।
এভাবেই আবারও ভুলে গিয়েছিলাম...
‘বৃষ্টির মাসের মৌলিক ভাবুক নামটিকেও’।
অতএব প্রভাবশালী, অভিজাত-অতিরঞ্জিত রাজকুমারদের ভিড় ঠেলে
কখনোই সজ্ঞানে দৌড় করাই নি নিজস্ব উপদ্রুত ঘোড়াটিকে।
তবুও সেদিন—
দূর থেকেই, দত্ত বাড়ির একমাত্র মেয়ের
আধখানা ভাঙা-মুখ দেখেই পড়ে গেলাম, তার আমূল প্রেমে।
আমি তার দিকে সাহস করেই দু’পা আগাতেই
সে এগিয়ে আসল এক পা ;
তারপর থেকে সে গভীর সম্পর্ক হয়ে দু’পা আগালে
আমি বিখ্যাতভাবে আগাই এক পা এক পা করে।
দিন যেত মূলতঃ
তার মুখের অজস্র স্তবকের দিকে চেয়ে চেয়ে।
আর অনুভব করতাম দীর্ঘ তাম্রজালে ঢাকা এক উর্তি-আগ্রহী রথ
আমাকে সমুচ্চারে ডাক দিত সীমাহীন যাত্রার দিকে।
অথবা চন্দনযুক্ত গন্ধরাজ শরীর মর্দন করে
সমস্ত লোভ রূপ পেত আমার শরীরে।
একদিন সে আমার নিঃশ্বাসকে খুঁটে নিল তার ভিজে ঠোঁটে।
সে বলল, এরপর থেকে কি হবে জানো ?
আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম কি হবে ?
সে চুপিচুপি বলল, আমার যাবতীয় এলোমেলো চাঁপার গন্ধ এবার থেকে
সুদূর ইতিহাস হয়ে তোমার শরীরেও বইবে।
মধ্য-মানব বংশের অসহায় পরাজিত পুত্র আজ আবার
নির্জনে নিঃসঙ্গে শয্যা পেতে রাতের আকাশে চোখ রেখে পড়ে আছে।
তার চোখে আজ দত্ত বাড়ির মেয়ের আধখানা মুখ
ভেসে উঠে কিনা আমি জানি না ;
কিন্তু তার শরীরে চাঁপার গন্ধ আজও ঠিক অমলিন বয়ে চলে। *******
অডিও সিডি — “কাল সারারাত বৃষ্টি হয়েছিল”
সিরিজ — “আজ কবিতারা কথা বলবে” পার্ট-১
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ঋজু কবি ১০/১০/২০১৫অন্যন্য ভাবনা । খুব খুব ভালো লাগল আমার কবিতাটি পড়তে ।
-
শাহাদাত হোসেন রাতুল ০৫/০৬/২০১৫Valo laglo besh besh
-
দ্বীপ সরকার ০৫/০৬/২০১৫ভালো লাগলো।
-
মোহাম্মদ এনামুল হক ০৪/০৬/২০১৫So long!
-
শুভাশিস মজুমদার ০৪/০৬/২০১৫সুন্দর মেল্বন্ধন...
মনে লাগল... -
দেবাশিস্ ভট্টাচার্য্য ০৪/০৬/২০১৫বেশ ভাল....