“আজ শুধু কবিতারা কথা বলবে” পর্ব-০১
সু— উপস্থিত প্রিয় সুধী দর্শকমণ্ডলী, আমাদের আজকের এই ছোটো আয়োজনে আপনাদের সবাইকে আমাদের পক্ষ থেকে স্বাদর আমন্ত্রণ। আমি রজত। উচ্চতা ১৭৩ সেন্টিমিটার, গায়ের রঙ ঈষৎ কালো, রক্তের গ্রুপ ও প্রজেটিভ, বিশেষচিহ্ন ডানদিকের কানের উপরের দিকে লম্বালম্বিভাবে ছোটো একটা কাটা দাগ আছে, নেশা অবশ্য একটা আছে। আর সেটা হল কবিতা। আজকে আপনারা শুনবেন আমার কথা, আমার জীবনের কথা, আমার প্রেমের কথা। সেসব শুনতে হয়ত কারো ভালো লাগবে ; আবার হয়ত-বা কারো মোটেই ভালো লাগবেনা। কিন্তু সেসবে আমার কিছুই যায় আসে না। কেননা আমি গতকাল,পরশু ও তরশু রূপাকে ভালোবেসেছিলাম। আজও বাসি। আর আগামিকাল, পরশু এবং তরশুও এই রূপাকেই একইরকমভাবে রাশহীন উদ্দাম ভালোবেসে যাবো। আর তার বিনিময়ে বাকি সারাটা জীবন যদি শুধু শূন্য বুকেতে সোনার বরণ গুচ্ছ গুচ্ছ দুঃখ বয়ে নিয়ে বেড়াতে হয় তো বেড়াবো।
জানেন, রূপাকে দেখার আগে পর্যন্ত আমি ভাবতাম সারা পৃথিবীতে অহরহ কতশত প্রেম ঘটে চলেছে তবে এতদিনেও কেন কেউ আমার জীবনে আসছেনা ? আর মনে মনে কেবলই বলতাম, হে ঈশ্বর এবার অন্তত কাউকে পাঠান ; যার পঞ্চমুখী আগমনে এই পোড়খাওয়া হৃদয়কে আমিও উল্লেখ করতে পারি প্রেমের মহকুমার হিসাবে। যার আগমনে ভিতরের সবকটা বন্ধ দরজা আবার খুলে যাবে ক্যাঁচ ক্যাঁচ শব্দ তুলে। সীমাহীন সুখের সুশ্রী-শুভকাঙ্ক্ষী বাতি হাতে না হোক ; অন্তত চরম সর্বনাশের চলমান লাভা নিয়েই একজনকে পাঠান। তবুও পাঠান। আমার যে আর একা একা ভালো লাগে না। বলাবাহুল্য, অবশেষে তাঁর সেই হাইকোর্টে আমার সেই আর্জি একদিন মঞ্জুর হল। তবে সেটা প্রথম প্রার্থনার হাহাকারভরা উচ্চারণ শুনে না ; রবং দ্বিতীয় প্রার্থনার বেপরোয়া অস্থিরতা দেখেই। তিনি রূপা নামের একটি মেয়েকে আমার কাছে পাঠালেন।
রূপা এমন একটি মায়াবি মধুর নাম যা শোনামাত্রই আমাকে মাথা থেকে পা পর্জন্ত ডিস্টাব হতে হয়। রূপা এমন একটি প্রস্ফূটিত লাজুক কমল যাকে হৃদয়ের ভিতরে বহুযত্ন করে রেখে তালা ঝুলিয়ে চাবিটিকে ফেলে দিই, বহুদূরের কোনো অজানা গ্রহে। রূপা এমন একটি মেয়ে যার জন্য বাঁচব ; আর বাঁচতে না পারলে তার জন্যই মরব। সেই রূপার রেশমি সুবাসই আমাকে সর্বদা বিভোর করে রাখে। সেই রূপাই আমার সারাজীবনের উপসনা।
মানামা, বাহরাইন / পশ্চিামবাংলা, ভারত।
০৬।০৭।২০১৪।
জানেন, রূপাকে দেখার আগে পর্যন্ত আমি ভাবতাম সারা পৃথিবীতে অহরহ কতশত প্রেম ঘটে চলেছে তবে এতদিনেও কেন কেউ আমার জীবনে আসছেনা ? আর মনে মনে কেবলই বলতাম, হে ঈশ্বর এবার অন্তত কাউকে পাঠান ; যার পঞ্চমুখী আগমনে এই পোড়খাওয়া হৃদয়কে আমিও উল্লেখ করতে পারি প্রেমের মহকুমার হিসাবে। যার আগমনে ভিতরের সবকটা বন্ধ দরজা আবার খুলে যাবে ক্যাঁচ ক্যাঁচ শব্দ তুলে। সীমাহীন সুখের সুশ্রী-শুভকাঙ্ক্ষী বাতি হাতে না হোক ; অন্তত চরম সর্বনাশের চলমান লাভা নিয়েই একজনকে পাঠান। তবুও পাঠান। আমার যে আর একা একা ভালো লাগে না। বলাবাহুল্য, অবশেষে তাঁর সেই হাইকোর্টে আমার সেই আর্জি একদিন মঞ্জুর হল। তবে সেটা প্রথম প্রার্থনার হাহাকারভরা উচ্চারণ শুনে না ; রবং দ্বিতীয় প্রার্থনার বেপরোয়া অস্থিরতা দেখেই। তিনি রূপা নামের একটি মেয়েকে আমার কাছে পাঠালেন।
রূপা এমন একটি মায়াবি মধুর নাম যা শোনামাত্রই আমাকে মাথা থেকে পা পর্জন্ত ডিস্টাব হতে হয়। রূপা এমন একটি প্রস্ফূটিত লাজুক কমল যাকে হৃদয়ের ভিতরে বহুযত্ন করে রেখে তালা ঝুলিয়ে চাবিটিকে ফেলে দিই, বহুদূরের কোনো অজানা গ্রহে। রূপা এমন একটি মেয়ে যার জন্য বাঁচব ; আর বাঁচতে না পারলে তার জন্যই মরব। সেই রূপার রেশমি সুবাসই আমাকে সর্বদা বিভোর করে রাখে। সেই রূপাই আমার সারাজীবনের উপসনা।
মানামা, বাহরাইন / পশ্চিামবাংলা, ভারত।
০৬।০৭।২০১৪।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কবি মোঃ ইকবাল ০৭/০৭/২০১৪অনবদ্য! দারুন লাগলো কবি। অনন্য ভাবনায় লিখেছেন। খুব ভালো হয়েছে। শুভেচ্ছা রইলো।
-
শিমুল শুভ্র ০৭/০৭/২০১৪আমি ও তাই বলছি রূপা কে জীব্ন সঙ্গী করে নাও । যদি গল্প বাস্তব হয় ।
-
মোঃ আল-আমিন ০৬/০৭/২০১৪প্রেমময় ছন্দ,
হৃদয় হয় বন্ধ।
তবু ছরায় গন্ধ।
আপনার রূপার মাঝে,
যেন আপনাকেই সাজে;
বেশি বেশি যেন নাহি বাজে
দৌড়ান বেশি বেশি কাজে। -
রামবল্লভ দাস ০৬/০৭/২০১৪ভালো লাগলো ।।
পাশে থাকুন ।। -
টি আই রাজন ০৬/০৭/২০১৪রুপাকে পথচলার সাথী করে নিন। ভাল থাকুন।