৮ নম্বর কেবিন
— হ্যালো, কে নন্দিনী ?
— হ্যাঁ, শুনতে পারছি বল।
— আজ বিকালে একবার পার্কে আসবে গো ?
— মা জানলে মেরে ফেলবে।
— জানি। তবুও।
— ঠিক আছে চেষ্টা করে দেখব।
— চেষ্টা নয়। আসতেই হবে।
— ঠিক আছে বাবা ! আসব। কিন্তু কেন বলত ?
— তুমি তো সবই জানো। একদিন তোমাকে না দেখলে আমার সমস্ত কিছু কেমন যেন গোলমাল হয়ে যায়। তাই।
— ওঃ ! এই ব্যাপার ? আমি ভেবেছিলাম স্পেশাল কিছু হবে হয়ত।
— স্পেশাল কিছু মানে ! এর চেয়ে বড় কোনো কিছু হতে পারে ?
— না। অন্তত তোমার চেয়ে বড় ভয়ংকর কোনো কিছুই হবে না জানি।
— ব্যাশ্ ! অমনি আমাকে নিয়ে মজা করা শুরু করে দিলে তো ? ঠিক আছে তোমাকে আসতে হবে না, যাও।
— বাবা ! এটুকুতেই বাবুর রাগ হয়ে গেল দেখছি। বললাম তো আসব।
— ঠিক আছে। তাহলে লাল শাড়ি, লাল টিপ, লাল চুঁড়ি, লাল লিপস্টিক পড়ে আসো।
— কেন ? সবকিছু লাল কেন ?
— তোমাকে মায়ের কাছে নিয়ে যাবো।
— সত্যি ?
— সত্যি-সত্যি-সত্যি। তিন সত্যি।
কিন্তু অজ্ঞাত-অনিবার্য কোনো কারণবশত, এরপর আর কোনোদিনই ছেলেটির সাথে মেয়েটির দেখা হয় নি। মেয়েটির কথা আমি বলতে পারবনা। তবে ছেলেটিকে দেখতে পাবেন এই পাগলা গারদের ৮ নম্বরের অন্ধকার-ছোটো কেবিনে।
আসলে কি জানেন ?
অধিকাংশ ভালোবাসাতেই
শুধুমাত্র একজন মানুষই যা সুখি হয়
খুব বেশি হলে সর্বোচ্চ দু’জন।
কোনো ভালোবাসাই এরচেয়ে বেশি মানুষকে
কখনোই সুখি করতে পারে না।
আর বেশিরভাগক্ষেত্রেই যেটা হয়, সেটা হল
দু’জনের মধ্যে কেউই সুখি হয় না।
উপরিউক্ত ফলাফলগুলি ভালোবাসার আগে বা পরে
যেকোনো জায়গাতেই সমানভাবে প্রযোজ্য।
— হ্যাঁ, শুনতে পারছি বল।
— আজ বিকালে একবার পার্কে আসবে গো ?
— মা জানলে মেরে ফেলবে।
— জানি। তবুও।
— ঠিক আছে চেষ্টা করে দেখব।
— চেষ্টা নয়। আসতেই হবে।
— ঠিক আছে বাবা ! আসব। কিন্তু কেন বলত ?
— তুমি তো সবই জানো। একদিন তোমাকে না দেখলে আমার সমস্ত কিছু কেমন যেন গোলমাল হয়ে যায়। তাই।
— ওঃ ! এই ব্যাপার ? আমি ভেবেছিলাম স্পেশাল কিছু হবে হয়ত।
— স্পেশাল কিছু মানে ! এর চেয়ে বড় কোনো কিছু হতে পারে ?
— না। অন্তত তোমার চেয়ে বড় ভয়ংকর কোনো কিছুই হবে না জানি।
— ব্যাশ্ ! অমনি আমাকে নিয়ে মজা করা শুরু করে দিলে তো ? ঠিক আছে তোমাকে আসতে হবে না, যাও।
— বাবা ! এটুকুতেই বাবুর রাগ হয়ে গেল দেখছি। বললাম তো আসব।
— ঠিক আছে। তাহলে লাল শাড়ি, লাল টিপ, লাল চুঁড়ি, লাল লিপস্টিক পড়ে আসো।
— কেন ? সবকিছু লাল কেন ?
— তোমাকে মায়ের কাছে নিয়ে যাবো।
— সত্যি ?
— সত্যি-সত্যি-সত্যি। তিন সত্যি।
কিন্তু অজ্ঞাত-অনিবার্য কোনো কারণবশত, এরপর আর কোনোদিনই ছেলেটির সাথে মেয়েটির দেখা হয় নি। মেয়েটির কথা আমি বলতে পারবনা। তবে ছেলেটিকে দেখতে পাবেন এই পাগলা গারদের ৮ নম্বরের অন্ধকার-ছোটো কেবিনে।
আসলে কি জানেন ?
অধিকাংশ ভালোবাসাতেই
শুধুমাত্র একজন মানুষই যা সুখি হয়
খুব বেশি হলে সর্বোচ্চ দু’জন।
কোনো ভালোবাসাই এরচেয়ে বেশি মানুষকে
কখনোই সুখি করতে পারে না।
আর বেশিরভাগক্ষেত্রেই যেটা হয়, সেটা হল
দু’জনের মধ্যে কেউই সুখি হয় না।
উপরিউক্ত ফলাফলগুলি ভালোবাসার আগে বা পরে
যেকোনো জায়গাতেই সমানভাবে প্রযোজ্য।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাদা কাঁক(মেহেদী হাসান) ২৮/০৩/২০১৪লেখা খুব ভাল লাগলো..... আমার পাতায় আসবেন কিন্তু....
-
রায়হান রহমান ২৮/০৩/২০১৪সঠিক র্পযবেক্ষন