মানসদা (কাব্যগ্রন্থঃ তুমিই কিগো সেই মেয়েটা)
আমার প্রতিটা বিষয়ে—
প্রতিবারই সাধারণত যেমনটা হয়ে থাকে :
অনিচ্ছার বিষন্ন-ধারাবাহিকতা নিয়ে , বাধ্য হয়েই
মানসদার সাথে করতে হয় আলাপচারিতা।
উনি আমাকে কথায় কথায় জ্ঞান দেন ;
দিন দিন কতটা খারাপ হচ্ছি ?
চোখে আঙুল দিয়ে, খোলাখুলি তা দেখিয়ে দেন।
আর বাঁকা পথের দিকে পা বাড়ালেই, অমনি হাতটা টেনে ধরেন।
অথাৎ সবসময় আমার বিপরীতে থাকেন।
সেদিন কলেজস্ট্রিট হয়ে শিয়ালদা যাচ্ছিলাম ;
হঠাৎ রাস্তার মধ্যে দেখলাম : অস্বাভাবিক ভিড়।
আমি পুরানো দিনের মতোই আবারও নিজেকে ও থেকে
সম্পূর্ণ সরিয়ে রাখবার চেষ্টা করছি...
ব্যাস্ আর কি—
হয়ে গেল : পুনরায় মানসদা-র সাথে দেখা।
উনি মুখোমুখি হয়ে আমাকে আদেশ করলেন , ঐখানে যাওয়ার জন্য
আমি আমার দু’হাতের দু’আঙুল দিয়ে দু’কান বন্ধ করলাম।
কিছুক্ষণ পর দেখলাম :
আগেরই মতো উনি আবার আমায় দেখে , বিরক্ত হয়ে
মন্তব্য করে চলে যাচ্ছেন ; ‘বুঝেছো সুব্রত
একটা মানুষ সারাজীবনে মানুষ হয়ে ওঠে কয়েকবারই
আর মানুষ হয়ে মানুষের মতো কাজ করে তারো কমবার ;
তুমি অভাগা , তোমার ভাগ্যও খারাপ
তাইতো তুমি মানুষ হওয়ার স্বার্থকতা থেকে আরো একবার
বঞ্চিত হলে।
মানুষ হয়ে ওঠার এতবড় একটা চান্স্-কে—
আরো একবার মিস করলে।’
বাড়ি ফিরলাম।
টি.ভি. দেখলাম। খেলাম। শুলাম।
কিন্তু অনেকরাত পর্যন্ত কিছুতেই ঘুম আসলনা !
মাঝ রাত্রিতে স্ত্রী আমাকে জিজ্ঞাসা করল : ‘কিগো এখনো ঘুমাও নি ?’
আমি বললাম : ‘ঘুম আসছেনা।’
স্পষ্ট দেখতে পেলাম ; আমার এই কথা শুনে মানসদা হাঁসছেন...
আর বলছেন :
‘আবার মিথ্যা বললে সুব্রত , এমনিতেই তো তোমরা সবাই
ঘুমিয়েই আছো।
নতুন করে আবার কি ঘুমাবে ?’
তারপরই মানসদা চলে গেলেন।
আর আমার সামনে রেখে গেলেন
মানুষ হয়ে জন্মাবার সত্ত্বেও
দিন দিন আমরা কতখানি মামুলি হয়ে যাচ্ছি
তারই এক আপডেট করে রেখে যাওয়া পেজকে।
প্রতিবারই সাধারণত যেমনটা হয়ে থাকে :
অনিচ্ছার বিষন্ন-ধারাবাহিকতা নিয়ে , বাধ্য হয়েই
মানসদার সাথে করতে হয় আলাপচারিতা।
উনি আমাকে কথায় কথায় জ্ঞান দেন ;
দিন দিন কতটা খারাপ হচ্ছি ?
চোখে আঙুল দিয়ে, খোলাখুলি তা দেখিয়ে দেন।
আর বাঁকা পথের দিকে পা বাড়ালেই, অমনি হাতটা টেনে ধরেন।
অথাৎ সবসময় আমার বিপরীতে থাকেন।
সেদিন কলেজস্ট্রিট হয়ে শিয়ালদা যাচ্ছিলাম ;
হঠাৎ রাস্তার মধ্যে দেখলাম : অস্বাভাবিক ভিড়।
আমি পুরানো দিনের মতোই আবারও নিজেকে ও থেকে
সম্পূর্ণ সরিয়ে রাখবার চেষ্টা করছি...
ব্যাস্ আর কি—
হয়ে গেল : পুনরায় মানসদা-র সাথে দেখা।
উনি মুখোমুখি হয়ে আমাকে আদেশ করলেন , ঐখানে যাওয়ার জন্য
আমি আমার দু’হাতের দু’আঙুল দিয়ে দু’কান বন্ধ করলাম।
কিছুক্ষণ পর দেখলাম :
আগেরই মতো উনি আবার আমায় দেখে , বিরক্ত হয়ে
মন্তব্য করে চলে যাচ্ছেন ; ‘বুঝেছো সুব্রত
একটা মানুষ সারাজীবনে মানুষ হয়ে ওঠে কয়েকবারই
আর মানুষ হয়ে মানুষের মতো কাজ করে তারো কমবার ;
তুমি অভাগা , তোমার ভাগ্যও খারাপ
তাইতো তুমি মানুষ হওয়ার স্বার্থকতা থেকে আরো একবার
বঞ্চিত হলে।
মানুষ হয়ে ওঠার এতবড় একটা চান্স্-কে—
আরো একবার মিস করলে।’
বাড়ি ফিরলাম।
টি.ভি. দেখলাম। খেলাম। শুলাম।
কিন্তু অনেকরাত পর্যন্ত কিছুতেই ঘুম আসলনা !
মাঝ রাত্রিতে স্ত্রী আমাকে জিজ্ঞাসা করল : ‘কিগো এখনো ঘুমাও নি ?’
আমি বললাম : ‘ঘুম আসছেনা।’
স্পষ্ট দেখতে পেলাম ; আমার এই কথা শুনে মানসদা হাঁসছেন...
আর বলছেন :
‘আবার মিথ্যা বললে সুব্রত , এমনিতেই তো তোমরা সবাই
ঘুমিয়েই আছো।
নতুন করে আবার কি ঘুমাবে ?’
তারপরই মানসদা চলে গেলেন।
আর আমার সামনে রেখে গেলেন
মানুষ হয়ে জন্মাবার সত্ত্বেও
দিন দিন আমরা কতখানি মামুলি হয়ে যাচ্ছি
তারই এক আপডেট করে রেখে যাওয়া পেজকে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।