চলুন সবাই গিয়ে ছেলেটাকে জিজ্ঞাসা করে আসি

I love you maa




(ছেলেট যখন ছোটো)
বৃষ্টির সময়, ভাঙা ঘরের সবচেয়ে শুকনো জায়গাকটাতে
বারবার উঠিয়ে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে শোয়ার
তার মা।
কনকনে শীতে, নিজের গায়ের কাপড়ের ঘের কমিয়ে
ছেলেটার গায়ের পর্জাপ্ত কাপড়ের চাহিদা মেটায়
তার মা।
অসুখ-বিসুখে, নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে
নিজের সব দুঃখ ভুলে গিয়ে ছেলের ব্যথা নিরাময়ের জন্য
একাগ্রভাবে ঘুমহীন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তার মা।
ঠাকুরের কাছে প্রতিদিন নিজের পরমায়ু দিয়ে
আয়ু বাড়াতে থাকে ছেলেটার
আর এভাবেই একটু একটু করে প্রতিদিন খরচ হয়ে যায় তার মা।  

(ছেলেটা যখন বড় হল)
কিছুদিনের মধ্যেই—
মাকে বাড়িতে কাজের মেয়ে বানালো
ছেলেটা।
খাওয়া কমিয়ে প্রথমে দু’বার, তারপর একবার
তারপরে কখনো-সখনো, তারপর তাও না।
এটাই করল ছেলেটা।
প্রথমে ছিল খাটে, তারপর মেঝেতে
তারপরে বাইরে, তারপর মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠালো
ছেলেটা।

চলুন, সবাই গিয়ে ছেলেটাকে জিজ্ঞাসা করে আসি
যে তোমার জন্য তার সারাটা জীবন দিয়ে দিল ;
তুমি তার জন্য তোমার জীবনের সুচাগ্র অংশ দিতে পারলেনা ?
সেটুকু দিলে—
কি এমন ক্ষতি হয়ে যেত তোমার ?