জাতিস্মর
বিশ্ব অংকে দুর্বল ছাত্র বাছাইয়ের যদি তালিকা করা হয়, তাহলে সেই তালিকায় পেরেরা সাবের নামটা প্রথম দশ জনের সারিতেই থাকবে। অংক কি এমন জিনিষ যা পেরেরার মাথায় ঢুকে না? পেরেরা ভেবে পায় না। তার মনে আছে, পাটি গণিতের প্রতিটা অংক না বুঝার কারণে মুখস্থ করে কোন রকম তেত্রিশ পেয়ে ক্লাশগুলো পার করেছেন। কলেজে/বিশ্ববিদ্যালয়ে হিসাব বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করলেও কাজ করেছেন অন্য লাইনে। পেরেরার জীবনাটি বৃথা। এখন শুধু আফসোস করেন হায়রে নির্বোধ পেরেরা বুদ্ধি আর বাড়াতে পারলি না।
পেরেরা বুদ্ধি বাড়ানোর একটা ঔষধ পেয়েছেন। ঔষধের নাম গিংকো বিলোবা। ১২০ মিলিগ্রাম। ঔষঢ খাবার পর তার অবস্থা খারাপ। মনে হচ্ছে বুদ্ধি বেশী হয়ে যাচ্ছে। ঠিক মত ঘুম হয় না। মাথায় হাজার চিন্তা ঘুরপাক খায়। কবিতা মাথায় ঘুর ঘুর করে। সারা ক্ষণ শুধু লিখে। ঔষধটা বড়ই যন্ত্রণা দিচ্ছে। ইদানীং সে অনেক কিছু আবার ভুলেও যাচ্ছে। কার পরামর্শে ঔষধটা খাচ্ছে তার নাম-চেয়ারা মনে করতে পারছে। পেরেরা তাকে পেলে খবর আছে।
ডাক্তার তাকে ঔষধ খেতে মানা করে দিয়েছে। কিন্তু তাতেও সমস্যা দূর হচ্ছে না। বরং বাড়ছে। এখন তার প্রায়ই আগের জন্মের কিছু কিছু তাড়া করে। আচ্ছা আগের জন্মে সে কি ছিলো। তার বিশ্বাস এটাও জানা যাবে। তবে প্রেম-পিরিতে করেছে এমন কিছু স্মৃতি তার স্পষ্ট মনে আছে। পেরেরা জাতিস্মর হয়ে যাচ্ছে না তো?
আজ সকাল থেকেই পেরেরা আগের জন্মে কি ছিল, তাজার জানার প্রান চেষ্টা করছে। ক্ষণে ক্ষণে বিড়ি ফুকছে। তাও কাজ হচ্ছে। সাভারের নয়ন মাষ্টার পরামর্শ দিলো, গাঞ্জা বা সিদ্ধি খেতে। সিদ্ধি খেলে নাকি বুদ্ধি বাড়ে। না পেরেরা সিদ্ধি খাবে না। এমনিতে বুদ্ধি বেড়ে অবস্থা কাহিল। তার পরের আরও বুদ্ধি বাড়লে কেমন হবে!
তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন গাঞ্জা খাবেন। আঁতেল জনি ও আশিষ জামাই পেরেরাকে গাঞ্জা খেতে সঙ্গ দেয়।
এইবার পেরেরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে আগের জন্মে সে কি ছিলো। কিন্তু তিনি যা দেখলেন, তা দেখে হার্টফেল করার অবস্থা। ছি ছি এই ছিল তার কপালে? ইস কে যে তাকে বুদ্ধি বাড়ানোর ঔষধ খেতে পরামর্শ দিয়েছিলো? তার নামটা একবার জানতে পারলে খবর আছে।
পেরেরা আবার আগের জন্মের ছবির দিকে তাকালো, একটি কাক ডাষ্ট্বিনের পাশে দুষ্টমি করছে। তিনি চোখ ফিরিয়ে নিলেন।
নিজের হাতের দিকে একবার তাকিয়ে দেখলেন, এই রংকে আধফর্সা বলা যায় না। কালো-ই বলা যায়।
ইসস কে যে ঔষধটা দিয়েছিলো? কে?
পেরেরা বুদ্ধি বাড়ানোর একটা ঔষধ পেয়েছেন। ঔষধের নাম গিংকো বিলোবা। ১২০ মিলিগ্রাম। ঔষঢ খাবার পর তার অবস্থা খারাপ। মনে হচ্ছে বুদ্ধি বেশী হয়ে যাচ্ছে। ঠিক মত ঘুম হয় না। মাথায় হাজার চিন্তা ঘুরপাক খায়। কবিতা মাথায় ঘুর ঘুর করে। সারা ক্ষণ শুধু লিখে। ঔষধটা বড়ই যন্ত্রণা দিচ্ছে। ইদানীং সে অনেক কিছু আবার ভুলেও যাচ্ছে। কার পরামর্শে ঔষধটা খাচ্ছে তার নাম-চেয়ারা মনে করতে পারছে। পেরেরা তাকে পেলে খবর আছে।
ডাক্তার তাকে ঔষধ খেতে মানা করে দিয়েছে। কিন্তু তাতেও সমস্যা দূর হচ্ছে না। বরং বাড়ছে। এখন তার প্রায়ই আগের জন্মের কিছু কিছু তাড়া করে। আচ্ছা আগের জন্মে সে কি ছিলো। তার বিশ্বাস এটাও জানা যাবে। তবে প্রেম-পিরিতে করেছে এমন কিছু স্মৃতি তার স্পষ্ট মনে আছে। পেরেরা জাতিস্মর হয়ে যাচ্ছে না তো?
আজ সকাল থেকেই পেরেরা আগের জন্মে কি ছিল, তাজার জানার প্রান চেষ্টা করছে। ক্ষণে ক্ষণে বিড়ি ফুকছে। তাও কাজ হচ্ছে। সাভারের নয়ন মাষ্টার পরামর্শ দিলো, গাঞ্জা বা সিদ্ধি খেতে। সিদ্ধি খেলে নাকি বুদ্ধি বাড়ে। না পেরেরা সিদ্ধি খাবে না। এমনিতে বুদ্ধি বেড়ে অবস্থা কাহিল। তার পরের আরও বুদ্ধি বাড়লে কেমন হবে!
তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন গাঞ্জা খাবেন। আঁতেল জনি ও আশিষ জামাই পেরেরাকে গাঞ্জা খেতে সঙ্গ দেয়।
এইবার পেরেরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে আগের জন্মে সে কি ছিলো। কিন্তু তিনি যা দেখলেন, তা দেখে হার্টফেল করার অবস্থা। ছি ছি এই ছিল তার কপালে? ইস কে যে তাকে বুদ্ধি বাড়ানোর ঔষধ খেতে পরামর্শ দিয়েছিলো? তার নামটা একবার জানতে পারলে খবর আছে।
পেরেরা আবার আগের জন্মের ছবির দিকে তাকালো, একটি কাক ডাষ্ট্বিনের পাশে দুষ্টমি করছে। তিনি চোখ ফিরিয়ে নিলেন।
নিজের হাতের দিকে একবার তাকিয়ে দেখলেন, এই রংকে আধফর্সা বলা যায় না। কালো-ই বলা যায়।
ইসস কে যে ঔষধটা দিয়েছিলো? কে?
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
বিজয় ১৬/১২/২০১৪oh
-
অ ৩০/১১/২০১৪বেশ ভালো লাগল ।
-
উদ্বাস্তু নিশাচর ২৬/১১/২০১৪জাতিস্স্মর ব্যাপারটা আমাকে খুব ভাবায়। যাহোক দারুন লিখেছেন
-
স্ব্পন ২৫/১১/২০১৪খুব সুন্দর হয়েছে
-
আলোকিত অন্ধকার ২৪/১১/২০১৪পেরেরা সাহেব কি ঔষধের খোঁজ করছেন? নাকি ঔষধদাতার খোঁজ করছেন?
-
সাইদুর রহমান ২৩/১১/২০১৪খুব সুন্দর হয়েছে।
শুভেচ্ছা জানবেন। -
... ২৩/১১/২০১৪পাঠককে টেনে রেখে গল্প পড়ানোর কৌশলটা ভালোই আছে। এভাবেই থাকুক নিরন্তর প্রিয় সুবীর।
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ২৩/১১/২০১৪গল্প খুবই সুন্দর হয়েছে.................