শীতের রাতে জোছনার আলো
মাঘের শীতে নাকি বাঘে কাঁপে!কাঁপুক!কাঁপতে কাঁপতে পড়ে যাক, তাতে কি? নিজের গায়ে মাঘ মাসের শীতের কাঁপন কেমন, সেইটাই আসল কথা। সেই কাঁপা-কাঁপি দিনের কথাই না হয় বলি।
১৯৯৮ সালে একটি ট্রেনিং প্রোগ্রামে গিয়েছিলাম চট্রগ্রাম। জানুয়ারী মাস। কি শীত রে বাবা! ঢাকা থেকে ২৫ জনের একটি দলের সাথে আমিও ছিলাম। মাথায় মাফলার বেঁধে দিলাম রওনা। সোজা নাসিরাবাদ কারিতাস অফিসে।
ট্রেনিং শুরু হলো। দুই দিন ক্লাশ শেষে জানানো হলো আমাদের ৫ জন করে দল নিয়ে যেতে হবে এক্সপোজারে বিভিন্ন গ্রামে। এব্ং একদিন দরিদ্র একটি পরিবারে দুইজন করে থাকতে হবে। এই তো দেখি মরার উপর খাড়ার ঘা!
যথারীতি আনোয়ারা থানার একটি দরিদ্র পরিবারে গিয়ে উঠলাম। অবশ্য আগে থেকেই স্থানীয় অফিস এই বাড়িগুলি আমাদের জন্য ঠিক করে রেখে দিয়েছিল।
দিনটা শীতে শীতে কোন ভাবে কেটে গেল। যতো বিপত্তি রাতে। একটি মাত্র ঘর। থাকবো কোথায়? ঘর তো আর দেখছি না? আমার সাথে ভিনসেন্ট নামে একটি ছেলে ছিল। যা হোক খাওয়া-দাওয়া শেষে রাতে স্থান হলো, গোয়াল ঘরের অর্ধেক পার্টিশন করা একটি রুমে। পার্টিশন নয় সোলার বেড়া দেওয়া। চাঁদনী পশর রাত। গায়ে দিব কি? অবশে জোগাড় হলো একটি লেপ। পা থেকে বুক পর্যন্ত লেপটা উঠাতেই বমি করার মত অবস্থা। অরে বাপরে কি গন্ধ!!! বেটা ভূত মনে হয় পালিয়ে গেছে। এদিকে শীত ফেকতেও পারছিনা। অবশেষে বুদ্ধি এলো, আরে ব্যাগে রয়েছে বডি স্প্রে। ছিটালাম কাজ হলো না। একটি পরে দেখি সি সি শব্দ। বুঝতে বাকী রইল না। পাশে গরু-ছাগল আমাদের সঙ্গী। বেড়া ভেদ করে গায়ে ছিটছে। গরম পানি উপাই নাই! হতাশ মনে চিত হ্যে পড়ে রইলাম। আহ কি সুখ উপরে সোলার বেড়া দিয়ে চাল পাতা হয়েছে। এর ফাঁক দিয়ে জোছনার আলো চুইয়ে চুইয়ে গায়ে পড়ছে। হুমাহুন স্যার থাকলে খুব খিশি হতেন। একটু পড়ে টুপ-টাপ শিশির কনা চাঁদের আলোর সাথে চুইয়ে পড়ছে আমাদের গায়। মন্দ কি। চাঁদের আলোর সাথে বোনাস!
এদিকে গন্ধ! কি করি। পাশের ছেলেটি দেখছি হিমুর মতো বুদ্ধি। বালিশ সামান্য কেটে, তুলা বের করে তার মধ্যে বডি স্প্রে, স্প্রে করে দুই নাকের ছিদ্র বন্ধ করে হা করে শুয়ে আছে। আমিও তাই করলাম। নাকে স্প্রে করা তুলা গুজে হা করে ঘুম। সাথে শিশির, পাশের গরম পানি। মনে মনে বলি শীত তুমি ধন্য, আমাকে দিয়েছে আজব রাত!
১৯৯৮ সালে একটি ট্রেনিং প্রোগ্রামে গিয়েছিলাম চট্রগ্রাম। জানুয়ারী মাস। কি শীত রে বাবা! ঢাকা থেকে ২৫ জনের একটি দলের সাথে আমিও ছিলাম। মাথায় মাফলার বেঁধে দিলাম রওনা। সোজা নাসিরাবাদ কারিতাস অফিসে।
ট্রেনিং শুরু হলো। দুই দিন ক্লাশ শেষে জানানো হলো আমাদের ৫ জন করে দল নিয়ে যেতে হবে এক্সপোজারে বিভিন্ন গ্রামে। এব্ং একদিন দরিদ্র একটি পরিবারে দুইজন করে থাকতে হবে। এই তো দেখি মরার উপর খাড়ার ঘা!
যথারীতি আনোয়ারা থানার একটি দরিদ্র পরিবারে গিয়ে উঠলাম। অবশ্য আগে থেকেই স্থানীয় অফিস এই বাড়িগুলি আমাদের জন্য ঠিক করে রেখে দিয়েছিল।
দিনটা শীতে শীতে কোন ভাবে কেটে গেল। যতো বিপত্তি রাতে। একটি মাত্র ঘর। থাকবো কোথায়? ঘর তো আর দেখছি না? আমার সাথে ভিনসেন্ট নামে একটি ছেলে ছিল। যা হোক খাওয়া-দাওয়া শেষে রাতে স্থান হলো, গোয়াল ঘরের অর্ধেক পার্টিশন করা একটি রুমে। পার্টিশন নয় সোলার বেড়া দেওয়া। চাঁদনী পশর রাত। গায়ে দিব কি? অবশে জোগাড় হলো একটি লেপ। পা থেকে বুক পর্যন্ত লেপটা উঠাতেই বমি করার মত অবস্থা। অরে বাপরে কি গন্ধ!!! বেটা ভূত মনে হয় পালিয়ে গেছে। এদিকে শীত ফেকতেও পারছিনা। অবশেষে বুদ্ধি এলো, আরে ব্যাগে রয়েছে বডি স্প্রে। ছিটালাম কাজ হলো না। একটি পরে দেখি সি সি শব্দ। বুঝতে বাকী রইল না। পাশে গরু-ছাগল আমাদের সঙ্গী। বেড়া ভেদ করে গায়ে ছিটছে। গরম পানি উপাই নাই! হতাশ মনে চিত হ্যে পড়ে রইলাম। আহ কি সুখ উপরে সোলার বেড়া দিয়ে চাল পাতা হয়েছে। এর ফাঁক দিয়ে জোছনার আলো চুইয়ে চুইয়ে গায়ে পড়ছে। হুমাহুন স্যার থাকলে খুব খিশি হতেন। একটু পড়ে টুপ-টাপ শিশির কনা চাঁদের আলোর সাথে চুইয়ে পড়ছে আমাদের গায়। মন্দ কি। চাঁদের আলোর সাথে বোনাস!
এদিকে গন্ধ! কি করি। পাশের ছেলেটি দেখছি হিমুর মতো বুদ্ধি। বালিশ সামান্য কেটে, তুলা বের করে তার মধ্যে বডি স্প্রে, স্প্রে করে দুই নাকের ছিদ্র বন্ধ করে হা করে শুয়ে আছে। আমিও তাই করলাম। নাকে স্প্রে করা তুলা গুজে হা করে ঘুম। সাথে শিশির, পাশের গরম পানি। মনে মনে বলি শীত তুমি ধন্য, আমাকে দিয়েছে আজব রাত!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ১৭/০৪/২০১৮ভাল লাগল
-
বিজয় ১৬/১২/২০১৪welcome
-
বিজয় ২৩/১১/২০১৪valo laglo
-
চন্দ্রশেখর ২১/১১/২০১৪বহুদিন বাদে তারণ্যে এলাম
তোমার ঘরে ঘুরে গেলাম -
অ ০৪/১১/২০১৪বেশ মজা পেলুম ।
-
Înšigniã Āvî ০৪/১১/২০১৪হিমু তাহলে আপনাকে সেবার বাচিয়ে দিলো.......
ভালো লাগলো ।