মেট্রো ওয়াশিংটনে পিঠা উত্সব
১১ জানুয়ারী ২০১৪,সন্ধ্যা ৭টা । মেট্রো ওয়াশিংটন এলাকার ভার্জিনিয়ার কোরা কেলী রেক্রিয়েশন সেন্টার। লোকে লোকারণ্য। ভিতরে ঢুকরে পারা যাচ্ছিল না। মানুষের কথা, হাসি সব মিলিয়ে যেন মহা মিলন মেলা। এমন সময় মাইকে ঘোষনা করা হলো পিঠা উত্সব ১৪২০(বাংলা)। শুভ উদ্বোধন। মেট্রো এলাকার অত্যন্ত জনপ্রিয় সংগঠন 'ফ্রেন্ড্স এন্ড ফ্যামেলি'র নিয়মিত আয়োজন 'পিঠা মেলা-১৪২০'।
এবারের আয়োজনেও কমতি ছিলোনা নানা ধরন্বের পিঠা। মঞ্চের তিন দিকে সারি সারি ছোট ছোট দোকান সাজানো হয়েছে। দোকানীরা নানা ধরনের পিঠার আসর সাজিয়ে বসেছে। একদিনে ছলছে সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অন্যদিকে মেলা। দুটো পর্ব ছিল উপভোগ্য। চলে এলাম নোয়াখালি পিঠা ঘরের সামনে। দোকানি ভাই বেশ রসিক মানুষ। নানা কৌশলে মানুষের আকর্ষণ করে চলেছে। ভীড় ঠেলে কাছে গেলাম নানান পিঠার আয়োজন। ভাপা কুলি পিঠা, পাটি সাপটা, পানতুয়া, গোলাপ পিঠা, নারিকেল পুলি সহ আরও কতো ধরনের পিঠা। মিষ্টি জাতিয় পিঠা হলেও বেশ মচমচে মজার।
এর পরে কুমল্লা পিঠা ঘর। তাদের আয়োজনে ছিলো, ঝাল পিঠা, কুমল্লার বিখ্যাত রস মালাই,লবঙ্গ লতিকা পিঠা, ভালবাসার পিঠা, এলেবোল পিঠা, ফুলঝুরি, মুগ পাকুন, মুগ পাকুন, সেমাই পিঠা, মাংসের ঝাল পিঠা, আলু পাক্কন, তিলের পুলি পিঠা, চাপা,, খেজুর পিঠা, মুরগীর ঝাল পিঠা।
পিঠা বিলাস আয়োজন করেছে, ভাপা কুলি সহ অনেক ধরনের পিঠা। ভীড় ঠেলে পিঠা খাওয়ার মজা বাদ দিয়ে দূর থেকে তাকিয়ে দেখছিলাম মানুষের পিঠা খাওয়ার আনন্দ। এ ছাড়া আরও ছিল ঝুমন পিঠা ঘর, ফারজানা পিঠা ঘর। শুধু কি তাই কে কত রকমারী পিঠার আয়োজন করেছে তার উপর বিশেষ পুরস্কারও দেয়া হয়েছে। স্মম্মানীত বিচারক ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের মহামান্য রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদেরের সহধর্মিনী রিফাত কাদের, ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের আনিস আহমেদ ও রোকেয়া হায়দার। তাদের বিচারে প্রথম হয় নোয়াখালি পিঠা ঘর, দ্বিতীয় কুমিল্লা পিঠা ঘর ও তৃতীয় স্থান দখল করে ফারজানা পিঠা।
মঞ্চের ডান পাশে যেন ছিল গাউছিয়া মার্কেট। বাংলার শাড়ী, সালোয়ার-কামিজ, কানের দুল সহ মেয়েদের নানান পোষাক। মহিলাদের ভীড় ঠেলে যাওয়া কোন মতেই সম্ভব হচ্ছিল না। মচ্নে উঠে দাঁড়িয়ে অবলোকন করলাম। আমেরিকার বুকে বাংলা দোকানের সামনে ভীড় ও কেনাকাটা ছিলো চোখে পড়ার মত।
ববাবরের মত এবারের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিলো বৈচিত্র। ছিলো নাচ-গান। স্যান্ড্রা-পিটার, সিনথিয়া, অড্রি ও শ্রুতি নেচে মাতিয়ে দিলো আসর। বাংলাদের ক্লোজ-আপ শিল্পী দিনা খানম শোনালেন বেশ কয়েকটি গান। এর ফাঁকে অনুষ্ঠানের কর্ণধার ও ওয়াশিংটনের প্রিয় মুখ কন্ঠ শিল্পী আবু রুমি তাদের পরবর্তী কর্মসূচি জানিয়ে দিলেন। আগামী ১৯ এপ্রিল হবে বাংলা নব বর্ষের বিশাল আয়োজন।
ঘড়ির কাটায় রাত ১১টা মানুষ কমতে শুরু করেছে। কিন্তু জমে উঠেছে পিঠা উত্সaব ১৪২০। ভীড় কমে না পিঠার দোকানে।
এবারের আয়োজনেও কমতি ছিলোনা নানা ধরন্বের পিঠা। মঞ্চের তিন দিকে সারি সারি ছোট ছোট দোকান সাজানো হয়েছে। দোকানীরা নানা ধরনের পিঠার আসর সাজিয়ে বসেছে। একদিনে ছলছে সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অন্যদিকে মেলা। দুটো পর্ব ছিল উপভোগ্য। চলে এলাম নোয়াখালি পিঠা ঘরের সামনে। দোকানি ভাই বেশ রসিক মানুষ। নানা কৌশলে মানুষের আকর্ষণ করে চলেছে। ভীড় ঠেলে কাছে গেলাম নানান পিঠার আয়োজন। ভাপা কুলি পিঠা, পাটি সাপটা, পানতুয়া, গোলাপ পিঠা, নারিকেল পুলি সহ আরও কতো ধরনের পিঠা। মিষ্টি জাতিয় পিঠা হলেও বেশ মচমচে মজার।
এর পরে কুমল্লা পিঠা ঘর। তাদের আয়োজনে ছিলো, ঝাল পিঠা, কুমল্লার বিখ্যাত রস মালাই,লবঙ্গ লতিকা পিঠা, ভালবাসার পিঠা, এলেবোল পিঠা, ফুলঝুরি, মুগ পাকুন, মুগ পাকুন, সেমাই পিঠা, মাংসের ঝাল পিঠা, আলু পাক্কন, তিলের পুলি পিঠা, চাপা,, খেজুর পিঠা, মুরগীর ঝাল পিঠা।
পিঠা বিলাস আয়োজন করেছে, ভাপা কুলি সহ অনেক ধরনের পিঠা। ভীড় ঠেলে পিঠা খাওয়ার মজা বাদ দিয়ে দূর থেকে তাকিয়ে দেখছিলাম মানুষের পিঠা খাওয়ার আনন্দ। এ ছাড়া আরও ছিল ঝুমন পিঠা ঘর, ফারজানা পিঠা ঘর। শুধু কি তাই কে কত রকমারী পিঠার আয়োজন করেছে তার উপর বিশেষ পুরস্কারও দেয়া হয়েছে। স্মম্মানীত বিচারক ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের মহামান্য রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদেরের সহধর্মিনী রিফাত কাদের, ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের আনিস আহমেদ ও রোকেয়া হায়দার। তাদের বিচারে প্রথম হয় নোয়াখালি পিঠা ঘর, দ্বিতীয় কুমিল্লা পিঠা ঘর ও তৃতীয় স্থান দখল করে ফারজানা পিঠা।
মঞ্চের ডান পাশে যেন ছিল গাউছিয়া মার্কেট। বাংলার শাড়ী, সালোয়ার-কামিজ, কানের দুল সহ মেয়েদের নানান পোষাক। মহিলাদের ভীড় ঠেলে যাওয়া কোন মতেই সম্ভব হচ্ছিল না। মচ্নে উঠে দাঁড়িয়ে অবলোকন করলাম। আমেরিকার বুকে বাংলা দোকানের সামনে ভীড় ও কেনাকাটা ছিলো চোখে পড়ার মত।
ববাবরের মত এবারের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিলো বৈচিত্র। ছিলো নাচ-গান। স্যান্ড্রা-পিটার, সিনথিয়া, অড্রি ও শ্রুতি নেচে মাতিয়ে দিলো আসর। বাংলাদের ক্লোজ-আপ শিল্পী দিনা খানম শোনালেন বেশ কয়েকটি গান। এর ফাঁকে অনুষ্ঠানের কর্ণধার ও ওয়াশিংটনের প্রিয় মুখ কন্ঠ শিল্পী আবু রুমি তাদের পরবর্তী কর্মসূচি জানিয়ে দিলেন। আগামী ১৯ এপ্রিল হবে বাংলা নব বর্ষের বিশাল আয়োজন।
ঘড়ির কাটায় রাত ১১টা মানুষ কমতে শুরু করেছে। কিন্তু জমে উঠেছে পিঠা উত্সaব ১৪২০। ভীড় কমে না পিঠার দোকানে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ১৩/০১/২০১৪অভিনন্দন আপনাকে! রস আলোতে আপনার লেখা পেলাম। খুবই ভালো লাগছে। আমি আপাতত দেশে এসেছি। তাই লেখাটা হাতে পেলাম। সত্যি দারুণ!