‘থ্যাঙ্কস গিভিং ডে’ একটি পারিবারিক মিলনোত্সব
আমেরিকানদের জন্য 'থ্যাঙ্কস গিভিং ডে' অতি গুরুতপূর্ণ দিন। এই দিনের অপেক্ষায় থাকে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই। প্রতি বছর নভেম্বরের চতুর্থ বৃহস্পতিবার 'থ্যাঙ্কস গিভিং ডে' হিসেবে উদ্যাপন করে আমেরিকানরা।এই দিনে পিতা-মাতা সন্তান কখনো কখনো আত্মীয় পরিজন মিলে এক সাথে মিলেমিশে রাতে খাবারের আওজন করে। এব্ং প্রধান খাবার হিসেবে খাবারের টেবিলে স্থান পায় টার্কি মোরগ(বেশ বড় ধরনের মোরগ) বিশেষ ভাবে রান্না করা এই টার্কি সবাই এক সাথে ভোজন করে। এব্ং মিলে মিশে আনন্দ ফুর্তি করে। এই দিনটিকে আবার অনেকে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেবার দিনও মনে করে। তারা সবাই একত্রিত হয়ে খাওয়া-দাওয়া পর্বের মাধ্যমে ঈশ্বরের ধ্ন্যবাদ ও প্রসংসা করে থাকেন।এই দিনটি সরকারী ছুটির দিন হিসেবে পালন করা হয়।
আসলে 'থ্যাঙ্কস গিভিং ডে' কী এব্ং কেন? এই বিষয়ে জানতে হলে একটু পিছিনে তাকাতে হব :
জানা যায়, ১৬২০ সালে এক জাহাজে চড়ে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে ধর্মচর্চা ও তীর্থ করার জন্য ইংল্যান্ড ছেড়ে নতুন আশ্রয়ের সন্ধানে বের হন এব্ং তারা মেসাচুসেটস বে তে এসে থামেন। যাত্রীদের অনেকেই না খেয়ে দুর্বল ও অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারা তীরে নেমে প্লিমথ নামে পল্লী বানিয়ে বসত বাড়ি গড়ে তোলেন।তখন অপরীচিত এক উপজাতি আমেরিকান ইন্ডিয়ানের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়। এই উপজাতি তাদের শিখিয়ে দেয় কিভাবে চাষাবাদ ও মাছ ধরতে হয়।
আমেরিকান তথ্য ভান্ডার থেকে জানা যায়, ১৬২১ সালের নভেম্বরে পল্লীবাসীরা তাদের উৎপাদিত শস্য নিজেদের ঘরে তুলতে সক্ষম হয়। তাদের ফলন এত বেশি ভালো হয়েছিল যে, গভর্নর উইলিয়াম এ উপলক্ষে সব আদিবাসী এবং এই নতুন পল্লীবাসীদের সৌজন্যে উত্সবের' আয়োজন করেন।এই উত্সবে সবাই প্রথমে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানান তাদের সুস্থভাবে বাঁচিয়ে রাখার জন্য, এব্ং অধিক শস্য ফলনের জন্য। এছাড়াও তারা একে অপরকে ধন্যবাদ জানান, পরসস্পরকে সাহায্য-সহযোগিতা করার জন্য। এই উত্সব আমেরিকার প্রথম থ্যাঙ্কস গিভিং ডে হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
তথ্যে আরও জানা যায় ১৮১৭ সালে নিউইয়র্কে সর্ব প্রথম 'থ্যাঙ্কস গিভিং ডে' সরকারি ছুটির দিন হিসেবে স্বীকৃতি পায়। পরে ১৮২৭ সালে বিখ্যাত নার্সারি রাইম সারাহ যোসেফা উদ্যোগ নেন, যেন 'থ্যাঙ্কস গিভিং ডে'-কে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘ ৩৬ বছর তিনি একটানা আর্টিক্যাল, এডিটোরিয়াল লিখাসহ আবেদনের স্বপক্ষে প্রচুর চিঠিপত্র গভর্নর, সিনেটর, প্রেসিডেন্ট, রাজনীতিবিদদের কাছে পাঠিয়েছিলেন। ১৮৬৩ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন সারাহ যোসেফের আবেদন গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করেন এবং বলেন সবাই যেন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে, তাদের উপর বিশেষ আশির্বাদ দান করেন। কারণ তখ্ন আমেরিকায় 'সিভিল ওয়ার' চলছিল। এ ছাড়া জাতির যে ক্ষতি হয়েছে, তিনি যেন সে ক্ষতি পূরণে বিষেষ কৃপা দান করেন।। এরপরই আব্রাহাম লিংকন নভেম্বরের শেষ বৃহস্পতিবারকে 'থ্যাঙ্কস গিভিং ডে' হিসেবে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা দেন।১৯৩৯ সালে প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন রুজভেল্ট এ ছুটি এক সপ্তাহ এগিয়ে আনার ঘোষণা দেন এবং এরপর থেকে নভেম্বর মাসের চতুর্থ বৃহস্পতিবার 'থ্যাঙ্কস গিভিং ডে' পালিত হয়। এব্ং এখনো এভাবেই চলে আসছে।
বাংলাদেশে গারো আদিবাসী সম্প্রদায় নভেম্বর মাসে তাদের শস্য দেবতা মিসি সালজংকে উৎসর্গ করে থাকে। এটাও অনেকটা থ্যাঙ্কস গিভিং ডে' মতোই বলা চলে।
'থ্যাঙ্কস গিভিং ডে'র পএরে দিনকে বলা হয় ব্ল্যাক ফ্রাইডে। কেন এই কালো রাত্রী বলা হয় জানা জায়নি। তবে এই দিনে আমেরিকার দোকান-দিপনীগুলো বিশেষ ছাড়ে তাদের জিনিষপত্র বিত্রি করে।আমেরিকানরা এই দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকে। দেখা গেছে ক্রেতারা মধ্য রাত থেকে সকাল দোকান-বিপনীর সামনে লাইন ধরে বসে থাকে। দোকান খোলার সাথে সাথেই হোমড়ি খেয়ে পড়ে জিনিষ কেনার জন্য। এক ঘন্টার মধ্যেই নির্দিষ্ট জিনিষ বিক্রি হয়ে যায়। কোন কোন দোকানে অগ্রীম টিকিটের ব্যাবস্থার মাধ্যমে ক্রেতাদের দোকানে ঢুকতে দেয়া হয়। আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে।
তথ্য সূত্র ও কৃতজ্ঞত : en.wikipedia. ও ব্লগ বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ।
আসলে 'থ্যাঙ্কস গিভিং ডে' কী এব্ং কেন? এই বিষয়ে জানতে হলে একটু পিছিনে তাকাতে হব :
জানা যায়, ১৬২০ সালে এক জাহাজে চড়ে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে ধর্মচর্চা ও তীর্থ করার জন্য ইংল্যান্ড ছেড়ে নতুন আশ্রয়ের সন্ধানে বের হন এব্ং তারা মেসাচুসেটস বে তে এসে থামেন। যাত্রীদের অনেকেই না খেয়ে দুর্বল ও অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারা তীরে নেমে প্লিমথ নামে পল্লী বানিয়ে বসত বাড়ি গড়ে তোলেন।তখন অপরীচিত এক উপজাতি আমেরিকান ইন্ডিয়ানের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়। এই উপজাতি তাদের শিখিয়ে দেয় কিভাবে চাষাবাদ ও মাছ ধরতে হয়।
আমেরিকান তথ্য ভান্ডার থেকে জানা যায়, ১৬২১ সালের নভেম্বরে পল্লীবাসীরা তাদের উৎপাদিত শস্য নিজেদের ঘরে তুলতে সক্ষম হয়। তাদের ফলন এত বেশি ভালো হয়েছিল যে, গভর্নর উইলিয়াম এ উপলক্ষে সব আদিবাসী এবং এই নতুন পল্লীবাসীদের সৌজন্যে উত্সবের' আয়োজন করেন।এই উত্সবে সবাই প্রথমে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানান তাদের সুস্থভাবে বাঁচিয়ে রাখার জন্য, এব্ং অধিক শস্য ফলনের জন্য। এছাড়াও তারা একে অপরকে ধন্যবাদ জানান, পরসস্পরকে সাহায্য-সহযোগিতা করার জন্য। এই উত্সব আমেরিকার প্রথম থ্যাঙ্কস গিভিং ডে হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
তথ্যে আরও জানা যায় ১৮১৭ সালে নিউইয়র্কে সর্ব প্রথম 'থ্যাঙ্কস গিভিং ডে' সরকারি ছুটির দিন হিসেবে স্বীকৃতি পায়। পরে ১৮২৭ সালে বিখ্যাত নার্সারি রাইম সারাহ যোসেফা উদ্যোগ নেন, যেন 'থ্যাঙ্কস গিভিং ডে'-কে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘ ৩৬ বছর তিনি একটানা আর্টিক্যাল, এডিটোরিয়াল লিখাসহ আবেদনের স্বপক্ষে প্রচুর চিঠিপত্র গভর্নর, সিনেটর, প্রেসিডেন্ট, রাজনীতিবিদদের কাছে পাঠিয়েছিলেন। ১৮৬৩ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন সারাহ যোসেফের আবেদন গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করেন এবং বলেন সবাই যেন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে, তাদের উপর বিশেষ আশির্বাদ দান করেন। কারণ তখ্ন আমেরিকায় 'সিভিল ওয়ার' চলছিল। এ ছাড়া জাতির যে ক্ষতি হয়েছে, তিনি যেন সে ক্ষতি পূরণে বিষেষ কৃপা দান করেন।। এরপরই আব্রাহাম লিংকন নভেম্বরের শেষ বৃহস্পতিবারকে 'থ্যাঙ্কস গিভিং ডে' হিসেবে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা দেন।১৯৩৯ সালে প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন রুজভেল্ট এ ছুটি এক সপ্তাহ এগিয়ে আনার ঘোষণা দেন এবং এরপর থেকে নভেম্বর মাসের চতুর্থ বৃহস্পতিবার 'থ্যাঙ্কস গিভিং ডে' পালিত হয়। এব্ং এখনো এভাবেই চলে আসছে।
বাংলাদেশে গারো আদিবাসী সম্প্রদায় নভেম্বর মাসে তাদের শস্য দেবতা মিসি সালজংকে উৎসর্গ করে থাকে। এটাও অনেকটা থ্যাঙ্কস গিভিং ডে' মতোই বলা চলে।
'থ্যাঙ্কস গিভিং ডে'র পএরে দিনকে বলা হয় ব্ল্যাক ফ্রাইডে। কেন এই কালো রাত্রী বলা হয় জানা জায়নি। তবে এই দিনে আমেরিকার দোকান-দিপনীগুলো বিশেষ ছাড়ে তাদের জিনিষপত্র বিত্রি করে।আমেরিকানরা এই দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকে। দেখা গেছে ক্রেতারা মধ্য রাত থেকে সকাল দোকান-বিপনীর সামনে লাইন ধরে বসে থাকে। দোকান খোলার সাথে সাথেই হোমড়ি খেয়ে পড়ে জিনিষ কেনার জন্য। এক ঘন্টার মধ্যেই নির্দিষ্ট জিনিষ বিক্রি হয়ে যায়। কোন কোন দোকানে অগ্রীম টিকিটের ব্যাবস্থার মাধ্যমে ক্রেতাদের দোকানে ঢুকতে দেয়া হয়। আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে।
তথ্য সূত্র ও কৃতজ্ঞত : en.wikipedia. ও ব্লগ বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কামরুজ্জামান সাদ ০৩/০৩/২০১৮...
-
সায়েম খান ২৫/১১/২০১৩মুসলমানরাই সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়া আদায়ে কার্পণ্য করে। ধন্যবাদ, আমার ব্লগে দাওয়াত রইলো।
-
Înšigniã Āvî ২৫/১১/২০১৩খুব সুন্দর.... নতুন কিছু জানলাম