আশায় বাঁধি খেলাঘর
সেইবার বড়দিনে ছেলের আসার কথা ছিল,
ছেলে-বৌ ও নাতি-নাতিনদের দেখার
আদম্য ইচ্ছায় তার চোখ ছল ছল করছিল।
এই বুঝি এলো। না। নার্সিংহোমের সুপারভাইসর শেলি
একটা চিরকোট ধরিয়ে দিয়ে হন হন করে বেড়িয়ে গেল!
বাবা চিরকোটটি খোলে মাত্র একটি লাইন পড়লেন,
'বাবা দুঃখিত আসতে পারলাম না,
তোমার বঊমার মা-বাবাকে দেখতে যাচ্ছি!'
বাবা নিথর নিঃস্তব্ধ ভাবে পড়ে রইল;
এখন আর চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে না
জল সব দুঃখের সাথে শুকিয়ে গেছে।
কে দেবে তাকে সান্তনা?
আজ বাবা দিবস-
বাবা জানে,
হয়তো আজ ছেলে-মেয়েরা আসবে,
সকাল পেরিয়ে দুপুর-দুপুর পেরিয়ে সন্ধ্যা,
কেউ আসেনা। করেনি কোন টেলিফোন!
বাবার হাতে পুরনো এলবাম
এক এক করে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখে;
বাবার কাঁধে ছেলের উজ্জ্বল চেহারা
কত সুখ কত আনন্দ।
বাবা এক এক করে সব ছবিগুলো দেখলেন,
সে প্রায়ই ছবিগুলো নার্স মিস কেলিকে দেখায় ।
বাবা জানে তার ছেলে এখন আর আসবে না;
এজন্য তার মোটেই দুঃখ নেই।
বাবার ভীষণ কস্ট হয়-
কারণ তার ছেলেও সন্তানের বাবা।
সেও একদিন বৃদ্ধ হবে।
ছেলে-বৌ ও নাতি-নাতিনদের দেখার
আদম্য ইচ্ছায় তার চোখ ছল ছল করছিল।
এই বুঝি এলো। না। নার্সিংহোমের সুপারভাইসর শেলি
একটা চিরকোট ধরিয়ে দিয়ে হন হন করে বেড়িয়ে গেল!
বাবা চিরকোটটি খোলে মাত্র একটি লাইন পড়লেন,
'বাবা দুঃখিত আসতে পারলাম না,
তোমার বঊমার মা-বাবাকে দেখতে যাচ্ছি!'
বাবা নিথর নিঃস্তব্ধ ভাবে পড়ে রইল;
এখন আর চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে না
জল সব দুঃখের সাথে শুকিয়ে গেছে।
কে দেবে তাকে সান্তনা?
আজ বাবা দিবস-
বাবা জানে,
হয়তো আজ ছেলে-মেয়েরা আসবে,
সকাল পেরিয়ে দুপুর-দুপুর পেরিয়ে সন্ধ্যা,
কেউ আসেনা। করেনি কোন টেলিফোন!
বাবার হাতে পুরনো এলবাম
এক এক করে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখে;
বাবার কাঁধে ছেলের উজ্জ্বল চেহারা
কত সুখ কত আনন্দ।
বাবা এক এক করে সব ছবিগুলো দেখলেন,
সে প্রায়ই ছবিগুলো নার্স মিস কেলিকে দেখায় ।
বাবা জানে তার ছেলে এখন আর আসবে না;
এজন্য তার মোটেই দুঃখ নেই।
বাবার ভীষণ কস্ট হয়-
কারণ তার ছেলেও সন্তানের বাবা।
সেও একদিন বৃদ্ধ হবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ২১/১০/২০১৩খুবই সুন্দর এবং করুন একটি ভাবনার অবতারণা করেছেন কবিতা য়.।যা যে বয়সের পাঠকের হৃদয় কে স্পর্শ করবে।আপনি একজন পিতার যে করুন ভালবাসা র বহিঃপ্রকাশ করেছেন কবিতা য় তা সত্যিই প্রসংশার দাবিদার।খুবই ভালো লাগলো।মন ছুঁইয়ে গেল।ধন্যবাদ ও ভালবাসা রইল।
-
মুজিবুর রহমান মুনীর ২০/১০/২০১৩খুব চমৎকার!
খুব খুব সুন্দর লেখা । -
আরজু নাসরিন পনি ২০/১০/২০১৩নচিকেতার গানটা...ছেলে আমার মস্ত বড়... শুনে বুকের ভেতরটা যেমন দু,ড়ে উঠে...আপনার লেখাটা পড়েও তেমন দুমড়ে উঠলো...
দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে এলো বুক চিড়ে...
খুব দারুণ লাগলো অনুভুতির প্রকাশটা ।।