সুবু নামের সেই ছেলেটি
আজ ফেসবুকে একটা লেখা পোষ্ট করেছিলাম। যে লেখাটি আমি এখানে পোষ্ট দিয়েছিলাম। লেখাটি অনেকে পড়েছে। আমার পরিচিত বেশ কয়েকজনকে কমেন্ট করতে দেখলাম। ভাল লাগল। খুব কাছের মানুষ, বন্ধু বা বড় ভাই যাই বলি না কেন চন্দন আর রিবেরূ আমার খুব কাছে এব্ং প্রিয় একজন। আমার লেখা্-লেখি জীবনে তার সানিধ্য পেয়েছি। চন্দন একটি কমেন্ট বক্সে লিখেছে, আমাদের গ্রামের একটি ছেলের কথা যার নাম সুব্রত কোড়াইয়া। ১৯৯৬ সালে ছেলেটি মারা যায়। মর্মান্তিক মৃত্যু। মেনে নেয়া যায় না। তখন ছোট ছিলাম বলে প্রতিবাদের ভাষা ছিল না। শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলাম। কীভাবে একজন ছেলে ধুকে ধুকে চোখের সামনে মৃত্যুবরণ করল!
সুবু ডাকতাম ওকে। ক্লাশ সেভেন এ পড়ার সময় এক পরীক্ষায় সে নকল করতে গিয়ে ধরা খায়। তখন নকলের খুব প্রচলন ছিল। আর যায় কোথায় সরাসরি প্রধান শিক্ষকের রুমে ডাক পড়ল। তখন তখন প্রধান শিক্ষক ছিলেন বাবু গনেশ চন্দ্র দাস। নিলেন হাতে লাঠি, এলোপাথারী পিটালেন। মনের সাধ পুরণ করেই পিটালেন। সুবু অনেক অনুনয় করল স্যার আর করব না।স্যার পিটিয়েই চলেছে। সারা শরীরে। বিশেষ করে সুবুর মাথায় কয়েকটি আঘাত করার ফলে সুবু জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
বাড়ীতে আসার পর থেকে ওর জ্বর। হাসপাতাল,ডাক্তার সব দেখানো হলো। কোন লাভ হলো না। ডাক্তার জানালো অতিরিক্ত আঘাতের কারনে ওর ব্রেণ হেমারেজ হয়েছে। চলল ছয় মাস চিকিত্সা। সব ব্যর্থ। একদিন সুবু চলে গেল অজানা ঠিকানার দেশে। কেউ একটা প্রতিবাদ করল না। সুবুর মা বাবা না থাকায়। প্রধান শিক্ষকের কিছুই হলো না।
কয়েক বছরা আগে সেই প্রধান শিক্ষর অবসর নিয়েছেন। আর সুবু তো জীবিন থেকে অবসর নিয়েছে কত বছর আগে!!!
০৯/২৮/২০১৩
সুবু ডাকতাম ওকে। ক্লাশ সেভেন এ পড়ার সময় এক পরীক্ষায় সে নকল করতে গিয়ে ধরা খায়। তখন নকলের খুব প্রচলন ছিল। আর যায় কোথায় সরাসরি প্রধান শিক্ষকের রুমে ডাক পড়ল। তখন তখন প্রধান শিক্ষক ছিলেন বাবু গনেশ চন্দ্র দাস। নিলেন হাতে লাঠি, এলোপাথারী পিটালেন। মনের সাধ পুরণ করেই পিটালেন। সুবু অনেক অনুনয় করল স্যার আর করব না।স্যার পিটিয়েই চলেছে। সারা শরীরে। বিশেষ করে সুবুর মাথায় কয়েকটি আঘাত করার ফলে সুবু জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
বাড়ীতে আসার পর থেকে ওর জ্বর। হাসপাতাল,ডাক্তার সব দেখানো হলো। কোন লাভ হলো না। ডাক্তার জানালো অতিরিক্ত আঘাতের কারনে ওর ব্রেণ হেমারেজ হয়েছে। চলল ছয় মাস চিকিত্সা। সব ব্যর্থ। একদিন সুবু চলে গেল অজানা ঠিকানার দেশে। কেউ একটা প্রতিবাদ করল না। সুবুর মা বাবা না থাকায়। প্রধান শিক্ষকের কিছুই হলো না।
কয়েক বছরা আগে সেই প্রধান শিক্ষর অবসর নিয়েছেন। আর সুবু তো জীবিন থেকে অবসর নিয়েছে কত বছর আগে!!!
০৯/২৮/২০১৩
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ডাঃ প্রবীর আচার্য নয়ন ২৯/০৯/২০১৩এত বছর পর যুদ্ধ অপরাধীর বিচার হতে পারলে, সেই শিক্ষকের বিচারও আশা করি হতে পারে, শুধু তথ্য প্রমাণ প্রয়োজন। লেখাটা আমাদের সংশোধন করতে ভূমিকা রাখবে আশা করি। খুব ভালো
-
Înšigniã Āvî ২৯/০৯/২০১৩এদেরকে জেলে পাঠান হোক.....প্রতিবাদ জানাই