ভিক্ষুক
ভিক্ষা একটি পেশা। কেউ বাধ্য হয়ে করে কেউ বা বাধিত হয়ে করে।মানে কেউ পেটের তাগিদে করে, আবার কাউকে জোর করে ভিক্ষা করতে বাধ্য করা করা হয়। তবে যে যেভাবেই করুক না কেন এটা একটা বদ পেশা বা নেশা। বাংলাদেশে যারা ভিক্ষা করে তাদের আমরা বলি ফকির/মিসকিন। ফকির মানেই গরীব। কেউ কেউ আবার ফকিন্নির পোলা বলে গালিও দেয়। কেন দেয় জানি না। গালির ফকিন্নির পোলা কিন্তু আসলে ফকির না বা ভিক্ষাও করে না!
ফার্মগেটে অনেক ভিক্ষুক ভিক্ষা করে।মূলকথা হলো এদের আমরা ভিক্ষুক বলি। কেউ কেউ এখানে বসে ভিক্ষা করে কেউ বা হেঁটে হেঁটে। কারও আবার নির্দিষ্ট একটি জায়গা থাকে, সে এখানে বসে রোজ ভিক্ষে করে। এই স্থানে অন্য কোন ভিক্ষুক বসতে পারে না। যদি কেউ ভুল করে বসেই পড়ে তাহলে কোন কথা নেই, লেগে যায় ঝগড়া, এমন কি মারপিট পর্যন্ত লেগে যায়। এ তো আমাদের দেশের চিত্র। বিদেশে??
আমেরিকার ভিক্ষুক! কেমন লাগে শুনতে? খারাপ লাগুগ তাতে কিছু যায় আসে না। তবে আমেরিকায় ভিক্ষুকদের ভিক্ষুক বলে না বলে হোমলেস। বাড়ী থাকলেও হোমলেস। কেউ ট্রাফিক সিগলানে বসে ভিক্ষে করে কেউ বা দোকানের সামনে বা মলে। মুখে কিছু বলবে না। হাতে থাকবে একটি প্লে-কার্ড। লেখা থাকে 'হোমলেস প্লিজ হেল্প মি, গড ব্লেস ইউ।' না না আপনাকে বিরক্ত করবে না। দিলে দিবেন, না দিলে নাই। আপনাকে জোড়াজুড়ি করবে না বিরক্তও করবে না। না পারলে বলতেও হবে না 'মাফ কর, ভিক্ষা নাই।' যারা নির্দিষ্ট জায়গায় বসে ভিক্ষা করে, তাদের জায়গায় কি অন্য ভিক্ষুক বসতে পারে?? কঠিন প্রশ্ন! শুনুন।
আমাদের ষ্টোরের সামনে ষ্টীভ নামের এক ভিক্ষুক প্রতিদিন ভিক্ষা করে। কেউ ডলার দেয়, কেয় বা খাবার। ষ্টীভ ডলার পেলেই সিগারেট কিনবে নয়তো বিয়ার কিনে খাবে। মাঝে মাঝে এক মহিলা ভিক্ষুক এখানে বসতে চায়। কিন্তু ষ্টীভ তাকে বসতে দেয় না। আজ সকাল ৬টায়, ঐ মহলা ভিক্ষুক ষ্টোরের সামনে বসে পড়ে। সাথে সাথে চলে আসে ষ্টীভ। ষ্টীভ সড়ে যেতে বললে মহিলা তেড়ে আসে। এই সময় ষ্টীভের সাথে যোগ দেয় তার বন্ধু গ্লেন। তুমুল ঝগড়া। আমাকে বলে কিছু করতে, এতো বিশ্রী গন্ধ তাদের কাছেই যেতে পারলাম না। কে যেন দিল পুলিশ কল। আর সাথে সাথে পুলিশ এসে দুটোকে ধরে নিয়ে যায়। হায়রে আমেরিকার ভিক্ষুক, থুক্কু হোমলেস!!
০৯/২৮/২০১৩
ফার্মগেটে অনেক ভিক্ষুক ভিক্ষা করে।মূলকথা হলো এদের আমরা ভিক্ষুক বলি। কেউ কেউ এখানে বসে ভিক্ষা করে কেউ বা হেঁটে হেঁটে। কারও আবার নির্দিষ্ট একটি জায়গা থাকে, সে এখানে বসে রোজ ভিক্ষে করে। এই স্থানে অন্য কোন ভিক্ষুক বসতে পারে না। যদি কেউ ভুল করে বসেই পড়ে তাহলে কোন কথা নেই, লেগে যায় ঝগড়া, এমন কি মারপিট পর্যন্ত লেগে যায়। এ তো আমাদের দেশের চিত্র। বিদেশে??
আমেরিকার ভিক্ষুক! কেমন লাগে শুনতে? খারাপ লাগুগ তাতে কিছু যায় আসে না। তবে আমেরিকায় ভিক্ষুকদের ভিক্ষুক বলে না বলে হোমলেস। বাড়ী থাকলেও হোমলেস। কেউ ট্রাফিক সিগলানে বসে ভিক্ষে করে কেউ বা দোকানের সামনে বা মলে। মুখে কিছু বলবে না। হাতে থাকবে একটি প্লে-কার্ড। লেখা থাকে 'হোমলেস প্লিজ হেল্প মি, গড ব্লেস ইউ।' না না আপনাকে বিরক্ত করবে না। দিলে দিবেন, না দিলে নাই। আপনাকে জোড়াজুড়ি করবে না বিরক্তও করবে না। না পারলে বলতেও হবে না 'মাফ কর, ভিক্ষা নাই।' যারা নির্দিষ্ট জায়গায় বসে ভিক্ষা করে, তাদের জায়গায় কি অন্য ভিক্ষুক বসতে পারে?? কঠিন প্রশ্ন! শুনুন।
আমাদের ষ্টোরের সামনে ষ্টীভ নামের এক ভিক্ষুক প্রতিদিন ভিক্ষা করে। কেউ ডলার দেয়, কেয় বা খাবার। ষ্টীভ ডলার পেলেই সিগারেট কিনবে নয়তো বিয়ার কিনে খাবে। মাঝে মাঝে এক মহিলা ভিক্ষুক এখানে বসতে চায়। কিন্তু ষ্টীভ তাকে বসতে দেয় না। আজ সকাল ৬টায়, ঐ মহলা ভিক্ষুক ষ্টোরের সামনে বসে পড়ে। সাথে সাথে চলে আসে ষ্টীভ। ষ্টীভ সড়ে যেতে বললে মহিলা তেড়ে আসে। এই সময় ষ্টীভের সাথে যোগ দেয় তার বন্ধু গ্লেন। তুমুল ঝগড়া। আমাকে বলে কিছু করতে, এতো বিশ্রী গন্ধ তাদের কাছেই যেতে পারলাম না। কে যেন দিল পুলিশ কল। আর সাথে সাথে পুলিশ এসে দুটোকে ধরে নিয়ে যায়। হায়রে আমেরিকার ভিক্ষুক, থুক্কু হোমলেস!!
০৯/২৮/২০১৩
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ডাঃ প্রবীর আচার্য নয়ন ২৮/০৯/২০১৩ভিক্ষুকদেরও এসোসিয়েশন আছে। তারা আন্দোলন করলে তারুন্যও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।ওদের দাবী ভিক্ষা কোনো সুযোগ নয় ভিক্ষা একটা অধিকার ভিক্ষুকদের পূণর্বাসন অবিলম্বে করতে হবে। খুব ভালো বিষয় উত্থাপন করেছেন।
-
Înšigniã Āvî ২৮/০৯/২০১৩খুব সমসাময়িক বিষয়.... আর অনেক কিছু জানলাম
-
ইব্রাহীম রাসেল ২৮/০৯/২০১৩--দারুণ বিষয় নিয়ে লিখেছ, এমন সাধারণত কেউ লেখেনা--