লেখা-লেখি জগতে আমার পদার্পণ
কখনো কল্পনা করিনি লেখা-লেখি জগতে হাতরে বেড়াব। ছোট বেলায় স্বপ্ন দেখতাম অভিনেতা হওয়ার। স্কুল বা পাড়ার ক্লাবে নাটক করেছি প্রচুর। তারপর অভিনেতা হয়ে উঠতে পারলাম না! ছোট বেলায় প্রচুর বই পড়তাম। বিশেষ করে ম্যাগাজিন। গল্প আমাকে টানতো বেশী।
একদিন দেখলাম কোন একটা ক্লাব একটি দেয়ালিকা প্রকাশ করার বিজ্ঞাপন দিয়েছে। ভাবলাম কি করা যায়? দেখি না কিছু করা যায় কি-না। এক লাইন, দুই লাইন এই ভাবে ছন্দ মিলিয়ে আট লাইনের একটি ছড়া লিখে ফেললাম। মন্দ লাগেনি। জমা দিলাম, একটা সময় প্রকাশ করা হলো। অনেকে প্রস্ংসা করল, বাহবা দিল, উত্সাহিত করল। আমিও মানুষের অনুপ্রেরণায় ছড়া লেখা শুরু করলাম। একটি সময় মনে হলো কোন এক পত্রিকার লেখাগুলো দেয়া দরকার।জাতীয় 'সাপ্তাহিক প্রতিবেশী' প্রচুর পড়তাম বিধায় ছড়াগুলো পাঠিয়ে দিলাম। ছাপা হলো। সাহস আরও বেড়ে গেলে। লিখতে থাকি প্রতিদিন। পোষ্টও করি প্রতিদিন। প্রতি স্ংখ্যায় আমার লেখা! এভাবে হয়ে গেলাম কবি।
লেখা লেখি আমাকে বিশেষ অনুপ্রেরণা যোগাত বন্ধুতুল্য চন্দন রবার্ট রিবেরূ ও তার বড় ভাই চয়ন এইচ রিবেরূ। সব সময় ছন্দ কবিতা লিখতে উত্সাহিত করত। লেখার সমালোচনা, লেখার মান নিয়ে সাহস যোগাত। এই দুই জনের কাছে আমি যে চির ঋণী হয়ে গেলাম।
কলেজে পড়ার সময় অনেক বড় বড় কবি-সাহিত্যিকদের সানিধ্য পেয়েছি। বিশেষ করে লেখক ও সাংবাদিক কর্মশালায় প্রতিবছর যোগদান করতাম। নবীন-প্রবীন লেখকদের ভালোবাসায় সিক্ত হতো মনোপ্রাণ।
আজ কিছু না কিছু লিখি। লেখা হয় কি না জানি না। তবে প্রতিদিন লিখি। দেশ ছেড়ে চলে আসার পর পাঁচ বছর একটি লেখাও লিখতে পারিনি। মনের কলম প্রায় ভোতা হয়েই গিয়েছিল। একদিন 'সুরজিত বন্ধুদের কবিতা ক্লাবের সন্ধান পেয়ে গেলাম। আবার কবিতার নৌকায় হাল বাইতে শুরু করলাম। এরপর পেয়ে গেলাম, 'বাংলা কবিতার আসর' অনেক কবি বন্ধুদের এখানে পেয়েছি। দুই বাংলা মিলিয়ে কতজন হবে জানি না। তবে অস্ংখ্য। প্রতিদিন শিখছি তাদের কাছ থেকে। পরছি তাদের লেখা। আজ সবাই আমার অগ্রজ-অনুজ বন্ধু কবি।
স্যালুট সুরজিত ও বন্ধুরা, বাংলা কবিতা ও তারুণ্য।
০৯/২৭/২০১৩
একদিন দেখলাম কোন একটা ক্লাব একটি দেয়ালিকা প্রকাশ করার বিজ্ঞাপন দিয়েছে। ভাবলাম কি করা যায়? দেখি না কিছু করা যায় কি-না। এক লাইন, দুই লাইন এই ভাবে ছন্দ মিলিয়ে আট লাইনের একটি ছড়া লিখে ফেললাম। মন্দ লাগেনি। জমা দিলাম, একটা সময় প্রকাশ করা হলো। অনেকে প্রস্ংসা করল, বাহবা দিল, উত্সাহিত করল। আমিও মানুষের অনুপ্রেরণায় ছড়া লেখা শুরু করলাম। একটি সময় মনে হলো কোন এক পত্রিকার লেখাগুলো দেয়া দরকার।জাতীয় 'সাপ্তাহিক প্রতিবেশী' প্রচুর পড়তাম বিধায় ছড়াগুলো পাঠিয়ে দিলাম। ছাপা হলো। সাহস আরও বেড়ে গেলে। লিখতে থাকি প্রতিদিন। পোষ্টও করি প্রতিদিন। প্রতি স্ংখ্যায় আমার লেখা! এভাবে হয়ে গেলাম কবি।
লেখা লেখি আমাকে বিশেষ অনুপ্রেরণা যোগাত বন্ধুতুল্য চন্দন রবার্ট রিবেরূ ও তার বড় ভাই চয়ন এইচ রিবেরূ। সব সময় ছন্দ কবিতা লিখতে উত্সাহিত করত। লেখার সমালোচনা, লেখার মান নিয়ে সাহস যোগাত। এই দুই জনের কাছে আমি যে চির ঋণী হয়ে গেলাম।
কলেজে পড়ার সময় অনেক বড় বড় কবি-সাহিত্যিকদের সানিধ্য পেয়েছি। বিশেষ করে লেখক ও সাংবাদিক কর্মশালায় প্রতিবছর যোগদান করতাম। নবীন-প্রবীন লেখকদের ভালোবাসায় সিক্ত হতো মনোপ্রাণ।
আজ কিছু না কিছু লিখি। লেখা হয় কি না জানি না। তবে প্রতিদিন লিখি। দেশ ছেড়ে চলে আসার পর পাঁচ বছর একটি লেখাও লিখতে পারিনি। মনের কলম প্রায় ভোতা হয়েই গিয়েছিল। একদিন 'সুরজিত বন্ধুদের কবিতা ক্লাবের সন্ধান পেয়ে গেলাম। আবার কবিতার নৌকায় হাল বাইতে শুরু করলাম। এরপর পেয়ে গেলাম, 'বাংলা কবিতার আসর' অনেক কবি বন্ধুদের এখানে পেয়েছি। দুই বাংলা মিলিয়ে কতজন হবে জানি না। তবে অস্ংখ্য। প্রতিদিন শিখছি তাদের কাছ থেকে। পরছি তাদের লেখা। আজ সবাই আমার অগ্রজ-অনুজ বন্ধু কবি।
স্যালুট সুরজিত ও বন্ধুরা, বাংলা কবিতা ও তারুণ্য।
০৯/২৭/২০১৩
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ডাঃ প্রবীর আচার্য নয়ন ৩০/০৯/২০১৩স্যালুট আপনাকেও এমন সুন্দর করে জীবনের কথা তুলে ধরার জন্য। আমাদের অনেকের জন্য এর অনেক অংশই সত্যি। যথেষ্ট অনুপ্রেরণাদায়ক লেখা
-
ইব্রাহীম রাসেল ২৮/০৯/২০১৩--জেনে ভালো লাগলো এ জগতে তোমার আসার গল্প
-
Înšigniã Āvî ২৮/০৯/২০১৩দারুন, মনের কথাগুলোর সাবলীলতা অন্যদের মনকে ছুঁয়ে যায়, আমার মনকেও ছুঁয়ে গেল .......
আর সত্যি মনে হয় জীবনের বা বেঁচে থাকার মূলমন্ত্র হল এই প্রতিনিয়ত কিছু শেখা, না হলে কিসের জন্য বাঁচা । -
মীর শওকত ২৮/০৯/২০১৩এই দুই ওয়েবসাইট ক্ষুদে কবিদের অনেক সুযোগ এনে দিয়েছে । আমি আজ তারুণ্যে যোগ দিলাম সুবীর দা ।
-
দাদা মুহাইমিন চৌধূরী ২৭/০৯/২০১৩ভালা হইছে অভিনেতা হননাই। নাইলে এত সুন্দর লেখা গুলা পাইতাম কেমনে?