কবিদের দুঃস্বপ্ন
পেরেরা সাবের আজ খবর আছে! কি ভূতে চাপছিল মাথায় আজ! কে বলেছিলো সাভার যেতে? না সে কারো উপর দোষ দিতে চায় না। মাথায় তার প্রচন্ড যন্ত্রণা, ইতোমধ্যে দু'বার বমিও করেছে। চোখ কেমন ঝাপসা ঝাপসা লাগছে।
না জানি ঘরের অবস্থা কি? পেরেরা ঘরের কথা ভেবে ভয়ে আরও একবার বমি করে।
আজ সকালে সাভার রেডিও কলোনীতে বীনাপানি কবিতা পরিষদের মাসিক সাহিত্য সভা ছিলো। পেরেরা সাব একজন নিয়মিত সদস্য। তার যাওয়ার ইচ্ছে না থাকলেও, সাভারের নয়ন মাষ্টার তাকে ছাড়ল না। অগ্যতা তাকে যেতেইতেই হলো। অখানেই যত বিপত্তি! সভার শুরুতে নয়ন মাষ্টার প্রথমে কবিতা পাঠ করে। আলোচনা পর্বে নকিব সমালোচনে করে বলে, এটা কি কবিতা হলো? ছন্দ মাত্রার বালাই নাই!হাবিজাবি কবিতা। আর যায় কোথায়! লেগে গেলো তর্ক-বিতর্ক, শেষ পর্যন্ত হাতাহাতি। অনেক কষ্টে নয়ন মাষ্টারকে শান্ত করে কবি আতেঁল জনির বাড়ীতে দিকে রওনা হলো।
শুক্রবার ছুটির দিন। জনিকে বাড়িতে পাওয়া গেলো। তার সামান্য মদ্যপানের অভ্যাস আছে। হাতে তার মদের গ্লাস। তা দেখিয়ে জিজ্ঞাস করল, মাষ্টার চলবে? কাটাঁ ঘায়ে নুনের ছিটা! একে তো মনে কষ্ট মাষ্টার বলল না। মাষ্টার খেয়ে দেখো, এতে যদি জ্বালা কমে। এখনও সে রাগে গদ গদ করছে। পেরেরা সাব এসবে অভ্যস্থ না, তবে চেরী ফ্লেবার ভোদকা খেতে মন্দ না। মাষ্টার খাওয়ার আগেই পেরেরা সাব কয়েক পেগ খেয়ে ফেলল। এখন মাথা ঝিম ঝিম করছে। আর বেশী কথা বলছে। জানো মাষ্টার, বউ কবিতা লিখলে ক্যাট ক্যাট করে । আর বলে তোমার কবিতার খেতা পুরি!!।মাষ্টার কও দেখি কবিতার না আছে খেতা না আছে কম্বল না আছে তোষোক। কবিতার খেতা পুড়ে এইটা কোন কথা হইল?। উত্পল মাষ্টার গোবেচারা মানুষ তারো নেশা ধরে গেছে।
আতেঁল জনির চিন্তায় পড়ে গেল সব কবরাই আজ মাতাল । সবাই বেশী কথা বলছে। কোন প্রকার ঝামেলা বাধার আগেই এদের বিদায় করতে হবে। অনেক কষ্টে নয়ন মাষ্টারের হাতে পেরেরা সাব ও উত্পল মাষ্টারকে ধরিয়ে দিয়ে বিদায় করে।
সাভার বাসষ্ট্যান্ড থেকে একটি ঢাকার বাস ধরিয়ে দিয়ে নয়ন মাষ্টার উদাও। পেরেরা সাবের নেশা ভাবটা কেটে যাচ্ছে। উত্পল মাষ্তার কয়টা বাজে? উত্পলের সাড়া নাই। মাষ্টার নাক ঢেকে ঘুমুচ্ছে। ঘুমাবারই কথা। ব্যাটা ঘাউরা আছে। না করা সত্বেও একটু বেশী টেনেছিল ।
পেরেরা সাবের নেশার ভাব কাটতে কাটতে ঘরের কথা মনে পড়ে গেলো। রাত বাজে সাড়ে এগারো। এতোক্ষণে হয়তো বাসায় তোলপার শুরু হয়ে গেছে। হয়তো ইতিমধ্যে কয়েক 'শ কবিতার খেতা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে! তার মুখটা শুকিয়ে গেল। কি করা যায়। মনে মনে পার্থনা করে,'হে ভগবান আজকের মত রক্ষা কর।' সাধু আন্তুনীর নাম নিলো তিনবার। আরে দুর সাধু আন্তনীর কাছে প্রাথনা করে লাভ হবে না মনে হয়। তিনি কিছু হারিয়ে গেলে পেয়ে দেন। মানত করতে হয়, নাগরী গীজায়। একজন সাহসী সাধুর কাছে করতে হবে।তাহলে কোন সাধুর কাছে পার্থনা করা যায়? মনে পড়ে গেল নয়ন মাষ্টারের কথা। মাষ্টার মানুষ ভালো ধর্ম জ্ঞান আছে। এতো রাতে বিরক্ত হবে না তো? হোক, কোন সমস্যা নেই। পারলে সে এখন যে কারো পায়ে ধরতে রাজি।
যেই কথা সেই কাজ। নয়ন মাষ্টার ফোনে পাওয়া গেল না। তার বউ ফোন ধরেছে।
-মাষ্টার কোথায়?
-মাষ্টার বাড়ী নাই। কিছুক্ষণ আগে এসেছিলো, বের করে দিছি। কী গু-গবর খেয়েছে সারাদিন। কোন খবর নাই। কে জানে সারাদিন কোথায় ছিলো,? কোন বান্দরদের সাথে ছিলো? জানতে পারলে ঐ বান্দরদের খবর আছে।
না মাষ্টারকে ফোন করা ঠিক হয়নি।
-এতো কেন ফোন করেছ কবি ?
-না মানে জানতে চাইলাম্ এমন কোন সাহসী সাধু আছে? যার কাছে প্রার্থনা করলে বিপদ কেটে যায়? সাহস বাড়ে?
-কেন কেন, কোন বিপদে পড়েছো না-কি?
-না না বিপদ-টিপদ না। বলছিলাম জেনে রাখা ভালো, যা দিনকাল পড়েছে, বলা তো যায় না। হয়তো বিপদে কাজেও আসতে পারে।
-শোন কবি, সাধু যোনার কাছে করো। উনি মাছের পেটে তিন দিন ছিলেন। শেষে জীবিত বের হয়ে এসেছেন।
-ঠিক বলেছ, শুভর মা। সাধু যোনা সাহসী সাধু ছিলেন। এক মিনিট পানিতে থাকতে পারি না। আর উনি ছিলেন তিনদিন! তিন দিন হবে কেন? রাতেও তো ছিলো? বলা যায় তিন রাত, তিন দিন! আর বর্তমানের হিসেবে ৭২ ঘন্টা!
জানো কৌশলা শুভর মা, একবার হলো কি? সে এক বিরাট কাহিনী। বর্ষাকাল সাভার থেকে তিন বেয়াইন এসেছিল আমাদের বাড়ীতে। ছোট ছিলাম। কিন্তু বিয়াইন্দের সাথে দুষ্টুমি ঠিক-ই করতাম । ছিলো বষাকাল। ছারিদিকে থৈ থৈ পানি। কোন্দা দিয়ে চলাচল করতে হয়।
-কোন্দা কি কবি ভাই?
-কোন্দা হলো তাল গাছের ছোট নৌকা। আমাদের গাজীপুরের ভাষায় বলে কোন্দা। তো হয়েছে কি তাদের কোন্দায় উঠালাম। তারপর একটু দুরে নিয়ে দিলাম কোন্দা ডুবিয়ে। ওমা সেকি কান্না-কাটি। পানি অল্প ছিল। ইয়া তাগড়া দুই বিয়াইন রেগে আমাকে ধরে পানি বেশ কয়েককবার চুবিয়ে ছেড়ে দিলো। তখন বুঝলাম পানির নীচে থাকা কত কষ্টের। ভয়ে দিলাম পড়ি-মড়ি করে দৌড়। কি লজ্জা তাকিয়ে দেখি আমার লুঙ্গিটা......শুনছো শুভর মা? না সাড়া নাই। আগেই সে লাইন কেটে দিয়েছে।
বাসায় আসতে রাত সাড়ে বারোটা বেজে গেলো। আজ সূর্য কোন দিক দিয়ে উঠেছে? সে স্বপ্ন দেখছে না তো? পেরেরা সাবের বউ ভাত নিয়ে বসে আছে। মুখে হাসি হাসি ভাব। হাত মুখ ধুয়ে পেরেরা পেট ভরে খেলো। সারাদিন কিছুই খাওয়া হয়নি।
-হ্য়াগো আমি স্বপ্ন দেখছি নাতো? একটু চিমটি কেটে দেখ তো?
-'চিমটি কি কাটবো? এই দেখ তোমার জন্য খঞ্চা নিয়ে বসে আছি। দেখছ কত চোখা? এই বলেই খনচা দিয়ে খুব জোড়ে গুতা মারল । পেরেরা সাব ব্য়াথায় 'ও মাগো' বলে চিতকার করে উঠল পেরেরা।
-এই এই কি হলো তোমার? কাঁদছ কেন?
পেরেরা লাফ দিয়ে বসে পড়ল। ঘামে সারা শরীর ভিজে গেছে।
- না না একটা দুঃস্বপ্ন দেখলাম। এখন কয়টা বাজে?
-ভোর চারটা।
পেরেরা সাব মনে মনে হাসে। ঘুমিয়ে স্বপ্নেও শান্তি নেই, বাস্তবেও শান্তি নেই। কবির বউরা সব জায়গায় যন্ত্রণা করে। খোঁচা-খাঁচি করে!
কবিদের সব স্বপ্ন বুঝি দুঃস্বপ্ন?
উত্পল মাষ্টার আতেঁল জনি, এদের জীবনের স্বপ্ন কেমন? পেরেরা সাবের বড় জানতে ইচ্ছে করে। কারণ ওরাও তো কবি!!!
০৯/২৪/২০১৩
না জানি ঘরের অবস্থা কি? পেরেরা ঘরের কথা ভেবে ভয়ে আরও একবার বমি করে।
আজ সকালে সাভার রেডিও কলোনীতে বীনাপানি কবিতা পরিষদের মাসিক সাহিত্য সভা ছিলো। পেরেরা সাব একজন নিয়মিত সদস্য। তার যাওয়ার ইচ্ছে না থাকলেও, সাভারের নয়ন মাষ্টার তাকে ছাড়ল না। অগ্যতা তাকে যেতেইতেই হলো। অখানেই যত বিপত্তি! সভার শুরুতে নয়ন মাষ্টার প্রথমে কবিতা পাঠ করে। আলোচনা পর্বে নকিব সমালোচনে করে বলে, এটা কি কবিতা হলো? ছন্দ মাত্রার বালাই নাই!হাবিজাবি কবিতা। আর যায় কোথায়! লেগে গেলো তর্ক-বিতর্ক, শেষ পর্যন্ত হাতাহাতি। অনেক কষ্টে নয়ন মাষ্টারকে শান্ত করে কবি আতেঁল জনির বাড়ীতে দিকে রওনা হলো।
শুক্রবার ছুটির দিন। জনিকে বাড়িতে পাওয়া গেলো। তার সামান্য মদ্যপানের অভ্যাস আছে। হাতে তার মদের গ্লাস। তা দেখিয়ে জিজ্ঞাস করল, মাষ্টার চলবে? কাটাঁ ঘায়ে নুনের ছিটা! একে তো মনে কষ্ট মাষ্টার বলল না। মাষ্টার খেয়ে দেখো, এতে যদি জ্বালা কমে। এখনও সে রাগে গদ গদ করছে। পেরেরা সাব এসবে অভ্যস্থ না, তবে চেরী ফ্লেবার ভোদকা খেতে মন্দ না। মাষ্টার খাওয়ার আগেই পেরেরা সাব কয়েক পেগ খেয়ে ফেলল। এখন মাথা ঝিম ঝিম করছে। আর বেশী কথা বলছে। জানো মাষ্টার, বউ কবিতা লিখলে ক্যাট ক্যাট করে । আর বলে তোমার কবিতার খেতা পুরি!!।মাষ্টার কও দেখি কবিতার না আছে খেতা না আছে কম্বল না আছে তোষোক। কবিতার খেতা পুড়ে এইটা কোন কথা হইল?। উত্পল মাষ্টার গোবেচারা মানুষ তারো নেশা ধরে গেছে।
আতেঁল জনির চিন্তায় পড়ে গেল সব কবরাই আজ মাতাল । সবাই বেশী কথা বলছে। কোন প্রকার ঝামেলা বাধার আগেই এদের বিদায় করতে হবে। অনেক কষ্টে নয়ন মাষ্টারের হাতে পেরেরা সাব ও উত্পল মাষ্টারকে ধরিয়ে দিয়ে বিদায় করে।
সাভার বাসষ্ট্যান্ড থেকে একটি ঢাকার বাস ধরিয়ে দিয়ে নয়ন মাষ্টার উদাও। পেরেরা সাবের নেশা ভাবটা কেটে যাচ্ছে। উত্পল মাষ্তার কয়টা বাজে? উত্পলের সাড়া নাই। মাষ্টার নাক ঢেকে ঘুমুচ্ছে। ঘুমাবারই কথা। ব্যাটা ঘাউরা আছে। না করা সত্বেও একটু বেশী টেনেছিল ।
পেরেরা সাবের নেশার ভাব কাটতে কাটতে ঘরের কথা মনে পড়ে গেলো। রাত বাজে সাড়ে এগারো। এতোক্ষণে হয়তো বাসায় তোলপার শুরু হয়ে গেছে। হয়তো ইতিমধ্যে কয়েক 'শ কবিতার খেতা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে! তার মুখটা শুকিয়ে গেল। কি করা যায়। মনে মনে পার্থনা করে,'হে ভগবান আজকের মত রক্ষা কর।' সাধু আন্তুনীর নাম নিলো তিনবার। আরে দুর সাধু আন্তনীর কাছে প্রাথনা করে লাভ হবে না মনে হয়। তিনি কিছু হারিয়ে গেলে পেয়ে দেন। মানত করতে হয়, নাগরী গীজায়। একজন সাহসী সাধুর কাছে করতে হবে।তাহলে কোন সাধুর কাছে পার্থনা করা যায়? মনে পড়ে গেল নয়ন মাষ্টারের কথা। মাষ্টার মানুষ ভালো ধর্ম জ্ঞান আছে। এতো রাতে বিরক্ত হবে না তো? হোক, কোন সমস্যা নেই। পারলে সে এখন যে কারো পায়ে ধরতে রাজি।
যেই কথা সেই কাজ। নয়ন মাষ্টার ফোনে পাওয়া গেল না। তার বউ ফোন ধরেছে।
-মাষ্টার কোথায়?
-মাষ্টার বাড়ী নাই। কিছুক্ষণ আগে এসেছিলো, বের করে দিছি। কী গু-গবর খেয়েছে সারাদিন। কোন খবর নাই। কে জানে সারাদিন কোথায় ছিলো,? কোন বান্দরদের সাথে ছিলো? জানতে পারলে ঐ বান্দরদের খবর আছে।
না মাষ্টারকে ফোন করা ঠিক হয়নি।
-এতো কেন ফোন করেছ কবি ?
-না মানে জানতে চাইলাম্ এমন কোন সাহসী সাধু আছে? যার কাছে প্রার্থনা করলে বিপদ কেটে যায়? সাহস বাড়ে?
-কেন কেন, কোন বিপদে পড়েছো না-কি?
-না না বিপদ-টিপদ না। বলছিলাম জেনে রাখা ভালো, যা দিনকাল পড়েছে, বলা তো যায় না। হয়তো বিপদে কাজেও আসতে পারে।
-শোন কবি, সাধু যোনার কাছে করো। উনি মাছের পেটে তিন দিন ছিলেন। শেষে জীবিত বের হয়ে এসেছেন।
-ঠিক বলেছ, শুভর মা। সাধু যোনা সাহসী সাধু ছিলেন। এক মিনিট পানিতে থাকতে পারি না। আর উনি ছিলেন তিনদিন! তিন দিন হবে কেন? রাতেও তো ছিলো? বলা যায় তিন রাত, তিন দিন! আর বর্তমানের হিসেবে ৭২ ঘন্টা!
জানো কৌশলা শুভর মা, একবার হলো কি? সে এক বিরাট কাহিনী। বর্ষাকাল সাভার থেকে তিন বেয়াইন এসেছিল আমাদের বাড়ীতে। ছোট ছিলাম। কিন্তু বিয়াইন্দের সাথে দুষ্টুমি ঠিক-ই করতাম । ছিলো বষাকাল। ছারিদিকে থৈ থৈ পানি। কোন্দা দিয়ে চলাচল করতে হয়।
-কোন্দা কি কবি ভাই?
-কোন্দা হলো তাল গাছের ছোট নৌকা। আমাদের গাজীপুরের ভাষায় বলে কোন্দা। তো হয়েছে কি তাদের কোন্দায় উঠালাম। তারপর একটু দুরে নিয়ে দিলাম কোন্দা ডুবিয়ে। ওমা সেকি কান্না-কাটি। পানি অল্প ছিল। ইয়া তাগড়া দুই বিয়াইন রেগে আমাকে ধরে পানি বেশ কয়েককবার চুবিয়ে ছেড়ে দিলো। তখন বুঝলাম পানির নীচে থাকা কত কষ্টের। ভয়ে দিলাম পড়ি-মড়ি করে দৌড়। কি লজ্জা তাকিয়ে দেখি আমার লুঙ্গিটা......শুনছো শুভর মা? না সাড়া নাই। আগেই সে লাইন কেটে দিয়েছে।
বাসায় আসতে রাত সাড়ে বারোটা বেজে গেলো। আজ সূর্য কোন দিক দিয়ে উঠেছে? সে স্বপ্ন দেখছে না তো? পেরেরা সাবের বউ ভাত নিয়ে বসে আছে। মুখে হাসি হাসি ভাব। হাত মুখ ধুয়ে পেরেরা পেট ভরে খেলো। সারাদিন কিছুই খাওয়া হয়নি।
-হ্য়াগো আমি স্বপ্ন দেখছি নাতো? একটু চিমটি কেটে দেখ তো?
-'চিমটি কি কাটবো? এই দেখ তোমার জন্য খঞ্চা নিয়ে বসে আছি। দেখছ কত চোখা? এই বলেই খনচা দিয়ে খুব জোড়ে গুতা মারল । পেরেরা সাব ব্য়াথায় 'ও মাগো' বলে চিতকার করে উঠল পেরেরা।
-এই এই কি হলো তোমার? কাঁদছ কেন?
পেরেরা লাফ দিয়ে বসে পড়ল। ঘামে সারা শরীর ভিজে গেছে।
- না না একটা দুঃস্বপ্ন দেখলাম। এখন কয়টা বাজে?
-ভোর চারটা।
পেরেরা সাব মনে মনে হাসে। ঘুমিয়ে স্বপ্নেও শান্তি নেই, বাস্তবেও শান্তি নেই। কবির বউরা সব জায়গায় যন্ত্রণা করে। খোঁচা-খাঁচি করে!
কবিদের সব স্বপ্ন বুঝি দুঃস্বপ্ন?
উত্পল মাষ্টার আতেঁল জনি, এদের জীবনের স্বপ্ন কেমন? পেরেরা সাবের বড় জানতে ইচ্ছে করে। কারণ ওরাও তো কবি!!!
০৯/২৪/২০১৩
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ডাঃ প্রবীর আচার্য নয়ন ৩০/০৯/২০১৩
-
সহিদুল হক ২৫/০৯/২০১৩বাঃ নতুন ভাবনার লেখাটি দারুণ লাগলো।
-
ভানম আলয় ২৫/০৯/২০১৩সুবীর দা আপনার লেখাটি পড়ে এখন লোভ হচ্ছে তাড়াতাড়ি পিড়িতে বসে যাই......... দেখিনা কি হয়!!...... মনে হচ্ছে দারুণ অভিজ্ঞতা হবে...... হা হা হা হা......
দারুণ লিখেছেন......... -
স্বাতী বিশ্বাস ২৫/০৯/২০১৩হা হা হা! বউদের নামে এত নিন্দা কেন ভাই? উনি না থাকলে কি দশা হত একবার ভেবেছ কি?
-
ভূপতি চক্রবর্তী জনি ২৫/০৯/২০১৩চরম মজা পেয়েছি । কবিদের বউরা স্বপ্নেও জ্বালা দেয় । হা হা হা হা ।
-
সালমান মাহফুজ ২৪/০৯/২০১৩অসাধারণ ! হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারছি না । আসলে কবিতা যে বুঝি না, তার কাছ এটা পাগলের কাজ । তবে এসব কথায় কান না দেয়ায় ভালো ।
-
ইব্রাহীম রাসেল ২৪/০৯/২০১৩-বেশ লাগলো সুবীর দা----
-
Înšigniã Āvî ২৪/০৯/২০১৩ও ভগবান বিরাট টাইপিং মিস্টেক.....
লিখতে গেছিলাম - (আমি যে 'অভি'কে চিনি ও কবি নয় , হবার চেষ্টাও করে না , বরং ওটা ইনসিগনিয়া)
বাকিটা একই আছে । -
Înšigniã Āvî ২৪/০৯/২০১৩বেশ দারুন..... নতুন কিছু জানলাম,
আর আমি যে 'অভি' নয় হবার চেষ্টাও করে না, বরং ইনসিগনিয়া হলেও হতে পারে,
আর কবিদের দুঃস্বপ্ন থাকে বলেই তারা অতুলনীয় অনবদ্য কিছু সৃষ্টি করতে পারে তাদের লেখনীর মাধ্যমে ।
কবিদের সব স্বপ্ন আসলেই দুঃস্বপ্ন