এলিনারা
এলিনা দারুণ সুন্দরী, স্মার্ট -বুদ্ধিমতি। ক্লাশে বরাবরই প্রথম স্থানটি তার দখলে। কোথায় নেই সে? পড়ালেখা, নাটক, আবৃত্তি, বিতর্ক? সব ক্ষেত্রেই রয়েছে তার পদচারণা। এজন্য শুধু স্কুলে নয় এলাকায় স্বার কাছে সে ছিলো পরিচিত একটি মুখ। বাবা থাকেন বিদেশে। দুই ভাই তিন বোনের মধ্যে এলিনা সবার বড়। তাই বাবার ইচ্ছে মেয়েকে পড়ালেখা শেষ করে বিয়ে দেবেন।
এভাবেই চলছিল দিন ম্যাট্রিক সে কৃতিত্বের সাথেই পাশ করে। এর মধ্যে তার এলাকার আমেরিকা প্রবাসী একটি পরিবারের নজরে পড়ে সে। সেই পরিবারের ছোট ছেলের জন্য প্রস্তাব আসে।ছেলে নাকি আমেরিকাতে ইঞ্জিনিয়ার! কিন্তু কিসের ইঞ্জিনিয়ার কেউ জানে না, জানতেও চায় না। তার মায়ের আমেরিকা পাত্রের দরকার! মেয়েটি রাজী না হলেও তার অশিক্ষিত মা আমেরিকার লোভে ছেলে পক্ষকে কথা দিয়ে দেয়। এ নিয়ে এলিনা তার মাকে অনেক অনুরোধ করে যেন তার পড়াশোনা না শেষ হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেয়। লোভী মা পারে তো সে-ই বিয়ে করে এমন অবস্থা। অসহায় এলিনা মায়ের কথায় বাধ্য হয়ে বিয়ের পিড়িতে পা রাখে।
একদিন সে আমেরিকা চলে যায়। আমেরিকা দেখে এলিনা অবাকও হয়না মুগ্ধও হয়না। সে শুধু কাঁদে। বর তার কিসের ইঞ্জিনিয়ার? সব মিছে কথা। বর কাজ করে খাদ্যের দোকানে। আয়-রুজি খুব একটা ভালো না। এলিনাকে বলা হয়েছিল আমেরিকাকে পড়াশোনা করাবে। না তাকে সেই সুযোগ দেওয়া হলো না।তাকে বাইরে কাজ করতে হলো। এ নিয়ে তার বরের সাথে প্রায় ঝগড়া হয়। এক সময় তাদের কোল জুড়ে দুই সন্তান আসে।েলিনা সন্তানদের দিকে তাকিয়ে সব মেনে নেয়। এভাবেই স্বামীর সাথে তার দুরত্ব বাড়তে থাকে। নাম মাত্র স্বামী ঘর।
একদিন এলিনার মা-বাবা আমেরিকা যায়। মেয়েকে দেখে তার বাবা খুব কষ্ট পেলেও ডাইনী মা চুপ করে থাকে। চোখের সামনে দেখে তার মেয়ে কিভাবে দিনে দিনে শেষ হয়ে যাচ্ছে! এলিনা বাবাকে বলে, আমি দেহগত ভাবে বেঁচে আছি কিন্তু মনটি অনেক আগেই মরে গেছে। এক বছর মেয়ের সংসারে থেকে এলিনার বাবা মা আলাদা বাসা নেয়। এলিনার পরিবারে নেমে আসে আরও অশান্তি। এক পর্যায়ে দুজনে আলাদা হয়ে যায়। স্বামী চলে যায় অনত্র আর এলিনা চলে আসে বাবা মার সাথে এক বাচ্চা নিয়ে!
কয়েকটি প্রশ্নঃ
-এলিনার জীবন নষ্ট করার জন্য দায়ী কে?
-আর কত এলিনা এভাবে জীবন শেষ করবে?
-এ ধরনের মুর্খ মায়েদের কি করা উচিত?
-এলিনা এখন কি করবে?
-তার ১৪ বছরের সংসার জীবন কি তাহলে অভিনয়?
০৯/২২/২০১৩
এভাবেই চলছিল দিন ম্যাট্রিক সে কৃতিত্বের সাথেই পাশ করে। এর মধ্যে তার এলাকার আমেরিকা প্রবাসী একটি পরিবারের নজরে পড়ে সে। সেই পরিবারের ছোট ছেলের জন্য প্রস্তাব আসে।ছেলে নাকি আমেরিকাতে ইঞ্জিনিয়ার! কিন্তু কিসের ইঞ্জিনিয়ার কেউ জানে না, জানতেও চায় না। তার মায়ের আমেরিকা পাত্রের দরকার! মেয়েটি রাজী না হলেও তার অশিক্ষিত মা আমেরিকার লোভে ছেলে পক্ষকে কথা দিয়ে দেয়। এ নিয়ে এলিনা তার মাকে অনেক অনুরোধ করে যেন তার পড়াশোনা না শেষ হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেয়। লোভী মা পারে তো সে-ই বিয়ে করে এমন অবস্থা। অসহায় এলিনা মায়ের কথায় বাধ্য হয়ে বিয়ের পিড়িতে পা রাখে।
একদিন সে আমেরিকা চলে যায়। আমেরিকা দেখে এলিনা অবাকও হয়না মুগ্ধও হয়না। সে শুধু কাঁদে। বর তার কিসের ইঞ্জিনিয়ার? সব মিছে কথা। বর কাজ করে খাদ্যের দোকানে। আয়-রুজি খুব একটা ভালো না। এলিনাকে বলা হয়েছিল আমেরিকাকে পড়াশোনা করাবে। না তাকে সেই সুযোগ দেওয়া হলো না।তাকে বাইরে কাজ করতে হলো। এ নিয়ে তার বরের সাথে প্রায় ঝগড়া হয়। এক সময় তাদের কোল জুড়ে দুই সন্তান আসে।েলিনা সন্তানদের দিকে তাকিয়ে সব মেনে নেয়। এভাবেই স্বামীর সাথে তার দুরত্ব বাড়তে থাকে। নাম মাত্র স্বামী ঘর।
একদিন এলিনার মা-বাবা আমেরিকা যায়। মেয়েকে দেখে তার বাবা খুব কষ্ট পেলেও ডাইনী মা চুপ করে থাকে। চোখের সামনে দেখে তার মেয়ে কিভাবে দিনে দিনে শেষ হয়ে যাচ্ছে! এলিনা বাবাকে বলে, আমি দেহগত ভাবে বেঁচে আছি কিন্তু মনটি অনেক আগেই মরে গেছে। এক বছর মেয়ের সংসারে থেকে এলিনার বাবা মা আলাদা বাসা নেয়। এলিনার পরিবারে নেমে আসে আরও অশান্তি। এক পর্যায়ে দুজনে আলাদা হয়ে যায়। স্বামী চলে যায় অনত্র আর এলিনা চলে আসে বাবা মার সাথে এক বাচ্চা নিয়ে!
কয়েকটি প্রশ্নঃ
-এলিনার জীবন নষ্ট করার জন্য দায়ী কে?
-আর কত এলিনা এভাবে জীবন শেষ করবে?
-এ ধরনের মুর্খ মায়েদের কি করা উচিত?
-এলিনা এখন কি করবে?
-তার ১৪ বছরের সংসার জীবন কি তাহলে অভিনয়?
০৯/২২/২০১৩
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ভূপতি চক্রবর্তী জনি ২৫/০৯/২০১৩সব কিছুর জন্য দায়ী অশিক্ষা ।
-
ভানম আলয় ২৩/০৯/২০১৩আমি কিছুই বলতে পারছিনা সুবীর দা...... এই প্রশ্নের যদি সঠিক উত্তর এবং প্রতিকার হয় তাহলে আমরাই পৃথিবীর বুকে .........
-
আহমেদ রব্বানী ২৩/০৯/২০১৩ভাল লাগল দাদা।
-
Înšigniã Āvî ২৩/০৯/২০১৩অসাধারণ ....
তবে জানি না শুধুই কি সমাজের ব্যর্থতা না
আমাদের লোভী মানসিকতা !! -
ইব্রাহীম রাসেল ২৩/০৯/২০১৩--সব প্রশ্নের একটা উত্তর, সমাজের ব্যর্থতা।--
-
ডাঃ প্রবীর আচার্য নয়ন ২৩/০৯/২০১৩খুব ভালো, আমার মনে হয়- দায়ী আমাদের সমাজ ব্যবস্থা, এলিনারাই তা পরিবর্তন করবে, তবে সবটা সময়ের ব্যাপার