স্বপ্নের দেশে-অবশেষে
বিয়ের কি কোন নির্দিষ্ট বয়স আছে কি? আমার তা মনে হয় না। কেউ লেখাপড়া শেষ করে বিয়ে করে, কেউ বা ক্যারিয়ার গড়ে বিয়ে করে। আবার কেউ কেউ বিয়ে করে ক্যারিয়ার গড়ে। হতে পারে স্বামী/স্ত্রীর ভাগ্যে। এ নিয়ে আর বিতর্কে যাচ্ছি না।
রমি(ছদ্ম নাম) ইন্টারমিডিয়েট সবে পাশ করেছে। তার মনে অনেক স্বপ্ন আগে পড়ালেখা শেষ করে তারপর বিয়েথা করবে। কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারে যা হয়। তার জন্য আমেরিকা থেকে একটি বিয়ের প্রস্তাব আসে। ছেলে কি করে তা জানে না। আমেরিকা থাকে আর লাগে কি! ছেলে যদি ট্রাকে মাল লোড/আনলোড করে অথবা পিএইচডি ডিগ্রী নেয় তাতে কোন যায় আসে না। আমেরিকা তো!
রমা রাজী ছিলো না, কিন্তু তা মা, পারে তো সে-ই বিয়ে করে ফেলে। অগ্যতা ছেলের খোঁজ খবর না নিয়ে রমা বিয়ের পিড়িতে পা রাখে। সংসার নামে সাত পাকের জীবনে আবদ্ধ হয়ে পড়ে তার সব আশা আকাংখা।
এক বছর অপেক্ষার পর রমা আমেরিকার নামক সোনার দেশে পাড়ি জমায়। অবাক হয়ে রমা আমেরিকা দেখে। একদিন দুই দিন এক সপ্তাহ। এভাবে দিন চলে যায়। বলা হয়েছিল তাকে লেখাপড়া করানো হবে। কিন্তু আসার পনেনো দিনের মাথায় ম্যাকডোনাল্ড খারাবের দোকানে তার জন্য কাজের ব্যাবস্থা করা হয়।
রমা প্র্যই লক্ষ করে তার স্বামী মাঝে মধ্যে বাসার ফিয়ে না। অনেক্বার সে জিজ্ঞাস করেছে। স্বামীর উত্ত্র এটা আমেরিকা। সবাই স্বাধীন। রমআ রাগে দুঃখে সব সহ্য করে। কারণ বিয়েটা দিয়েছে তার বাবা-মা। এই জন্য মূলত রাগটা তাদের উপর বর্তায়। এর পর রমা স্বামীর এক বন্ধু মাধ্যমে জানতে পারে তার স্বামী অন্য একটি ছেলের সাথে সম্পর্ক! মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে তার। এও কি সম্ভব। পরে সে জানতে পারে এদেশে ছেলে বা মেয়ে মেইয়ে বিয়ে করে! সমলিঙ্গ বিয়ে এদেশে আইনসিদ্ধ। তবে সব রাজ্যে নয়। ভাবতে অবাক লাগে, তা কি করে সম্ভব? পশু পাখী অবুঝ হয়ে যা করেনা, আমরা বুঝে শুনে এই কুকাজগুলো করি।
এর পর যা হবার তাই হলো স্বামীর সাথে ঝগড়া।কথা বন্ধ। রমা মাকে ফোন করে প-রদিন কাঁদে। মাকে সে সব খুলে বলে। দাইনী মা তারপরো মেয়েকে দৈর্য্য ধরে থাকতে বলে। মা হো আর বাবা হোক যার কষ্ট সেই কেবল বুঝে এ কষ্ট কত অপ্মানের।
একদিন রাতে রমা ফ্যানের সাথে শাড়ী প্যাচিয়ে আত্মহত্যা করে। রমার শশুর বাড়ীর লোকজন তড়িগড়ি করে লাশ দেশে পাঠিয়ে দেয়।
সাব্র মনে একটি প্রশ্ন ঘুর পাক খাচ্ছে, একি হত্যা না আত্মহত্যা আজও রহস্য!
রমি(ছদ্ম নাম) ইন্টারমিডিয়েট সবে পাশ করেছে। তার মনে অনেক স্বপ্ন আগে পড়ালেখা শেষ করে তারপর বিয়েথা করবে। কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারে যা হয়। তার জন্য আমেরিকা থেকে একটি বিয়ের প্রস্তাব আসে। ছেলে কি করে তা জানে না। আমেরিকা থাকে আর লাগে কি! ছেলে যদি ট্রাকে মাল লোড/আনলোড করে অথবা পিএইচডি ডিগ্রী নেয় তাতে কোন যায় আসে না। আমেরিকা তো!
রমা রাজী ছিলো না, কিন্তু তা মা, পারে তো সে-ই বিয়ে করে ফেলে। অগ্যতা ছেলের খোঁজ খবর না নিয়ে রমা বিয়ের পিড়িতে পা রাখে। সংসার নামে সাত পাকের জীবনে আবদ্ধ হয়ে পড়ে তার সব আশা আকাংখা।
এক বছর অপেক্ষার পর রমা আমেরিকার নামক সোনার দেশে পাড়ি জমায়। অবাক হয়ে রমা আমেরিকা দেখে। একদিন দুই দিন এক সপ্তাহ। এভাবে দিন চলে যায়। বলা হয়েছিল তাকে লেখাপড়া করানো হবে। কিন্তু আসার পনেনো দিনের মাথায় ম্যাকডোনাল্ড খারাবের দোকানে তার জন্য কাজের ব্যাবস্থা করা হয়।
রমা প্র্যই লক্ষ করে তার স্বামী মাঝে মধ্যে বাসার ফিয়ে না। অনেক্বার সে জিজ্ঞাস করেছে। স্বামীর উত্ত্র এটা আমেরিকা। সবাই স্বাধীন। রমআ রাগে দুঃখে সব সহ্য করে। কারণ বিয়েটা দিয়েছে তার বাবা-মা। এই জন্য মূলত রাগটা তাদের উপর বর্তায়। এর পর রমা স্বামীর এক বন্ধু মাধ্যমে জানতে পারে তার স্বামী অন্য একটি ছেলের সাথে সম্পর্ক! মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে তার। এও কি সম্ভব। পরে সে জানতে পারে এদেশে ছেলে বা মেয়ে মেইয়ে বিয়ে করে! সমলিঙ্গ বিয়ে এদেশে আইনসিদ্ধ। তবে সব রাজ্যে নয়। ভাবতে অবাক লাগে, তা কি করে সম্ভব? পশু পাখী অবুঝ হয়ে যা করেনা, আমরা বুঝে শুনে এই কুকাজগুলো করি।
এর পর যা হবার তাই হলো স্বামীর সাথে ঝগড়া।কথা বন্ধ। রমা মাকে ফোন করে প-রদিন কাঁদে। মাকে সে সব খুলে বলে। দাইনী মা তারপরো মেয়েকে দৈর্য্য ধরে থাকতে বলে। মা হো আর বাবা হোক যার কষ্ট সেই কেবল বুঝে এ কষ্ট কত অপ্মানের।
একদিন রাতে রমা ফ্যানের সাথে শাড়ী প্যাচিয়ে আত্মহত্যা করে। রমার শশুর বাড়ীর লোকজন তড়িগড়ি করে লাশ দেশে পাঠিয়ে দেয়।
সাব্র মনে একটি প্রশ্ন ঘুর পাক খাচ্ছে, একি হত্যা না আত্মহত্যা আজও রহস্য!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ডাঃ প্রবীর আচার্য নয়ন ৩০/০৯/২০১৩
-
দাদা মুহাইমিন চৌধূরী ২০/০৯/২০১৩কাহিনি ঠিক আছে কিন্তু ফিনিশিং টা মনে হচ্ছে যেন বড্ড তাড়াহুড়ো
-
Înšigniã Āvî ২০/০৯/২০১৩দুর্দান্ত.......
এ দেশেও একই অবস্থা,
আর ভীষণ ভাবে মনে পড়ে গেল হিন্দী সিনেমা 'পরদেশ' {http://en.wikipedia.org/wiki/Pardes_%28film%29} এর কিছু অংশ..
শেষ দিকটা আরও একটু চললে আরও ভাল লাগতো... হটাত্ করেই শেষ হয়ে গেল । -
ওয়াহিদ ২০/০৯/২০১৩সত্য এইসব ঘটনা অহরহ ঘটছে দাদা ,
আসলেই ছেলে আমেরিকা লন্ডন থাকে শুনলে এদেশের মেয়ের মারা কিছুই চাই না ....
হাজার হলেও আমেরিকা আর লন্ডন ! -
নাজমুন নাহার ২০/০৯/২০১৩শেষের দিকে তাড়াহুড়া হল লেখাটায় যেন নিউজপেপারে যেভাবে খবর ছাপা হয় । লেখায় আরো আবেগ ঢেলে দিও ।ভাল লাগবে , শুভকামনা জেনো ।
হত্যা-আত্মহত্যা যাই হোক একদিন সত্য প্রকাশিত হবে
খুব মর্মান্তিক ঘটনা হৃদয় বিদারক ভালো লেগেছে